নিউইয়র্ক ১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদার জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানায় আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৪৭ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানায় আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধী রাজনৈতিক চর্চার অবাধ সুযোগ থাকা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে ২৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ সংকট বাংলাদশের নেতাদেরই সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সংঘাতের রাজনৈতিক কোনো স্থান নেই।
নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, বিরোধীদের মুক্ত রাজনীতি চর্চার সুযোগ আর নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।
সভায় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার বিষয়ে গত সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে হোয়াইট হাউস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অনেকগুলো দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের সাইড লাইনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠককালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে আলোচনায় এসব নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এবং সংকট উত্তরণে উন্নতির প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন। জন কেরি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা সহিংস কৌশলের কোনো স্থান নেই। একইসঙ্গে এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, সরকার বাধাহীন রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেবে। একটি অংশগ্রহণমূলক বিরোধী রাজনৈতিক চর্চা নিশ্চিত করবে। গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের মৌলিক অধিকারে প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে তা প্রতিয়মান হতে হবে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন নিশা দেশাই।
প্রথম প্রশ্নে ওয়াশিংটনের জনৈক সাংবাদিক জানতে চান, এ সপ্তাহে বিরোধী নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে কিনা? এবং যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে; এক বছর আগের নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া অচলাবস্থা নিরসনে আপনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছেন কিনা?
এর জবাবে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, প্রথমত আমি আরোপিত (খালেদা জিয়ার ওপর) অভিযোগগুলো নিয়ে কোনো জল্পনা-কল্পনা করতে চাই না; শুধু এটুকু বলতে চাই আমরা প্রত্যাশা করি কোনো প্রকার অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে, কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সক্ষম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নিয়ে আমাদের ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের সহিংসতা পরিহার করা প্রয়োজন। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকারের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সক্রিয় থাকার সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি উন্মুক্ত করা। এসব বিষয়গুলো অভ্যন্তরীণভাবে মোকাবিলা করতে হবে। জন কেরি জানিয়েছেন, সংকট নিরসনে যে কোনো প্রকার সহায়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজের সকল বিষয় নিয়ে আমরা নিয়মিত অবগত রয়েছি। তবে এসব মৌলিক ইস্যুগুলোর অভ্যন্তরীণ সমাধান হওয়া দরকার।
সভায় নিউইয়র্কে অবস্থিত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন প্রেস সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান- শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আপনারা বর্তমান সরকারকে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার বলেছে এ ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো বিদেশী চাপ মেনে নেবে না। আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এটা প্রভাব ফেলবে কিনা? বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পরও সমঝোতার পথ উন্মুক্ত আছে বলে কি আপনি মনে করেন?
উত্তরে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, আগের প্রশ্নে আপনার প্রশ্নের শেষ অংশের উত্তর দিয়েছি। আমি এটুকু বলবো, আমরা মৌলিকভাবে বিশ্বাস করি অভ্যন্তরীণ বিষয় বাংলাদেশের জনগণকে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের এটা করতে হবে। বিরাজমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সহিংসতা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি সরকার ও বিরোধী নেতারা এসব বিষয়ের সমাধানে উপনীত হতে পারবে এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থার উত্তরণ ঘটবে। সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে বলে আমরা আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছি। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি এবং বিরোধী দলের সক্রিয় থাকার সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরী।
মতবিনিময় সভায় ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক সেলিম হোসেন জানতে চান- সম্প্রতি মাহমুদুর রহমান মান্না নামক এক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কে অবস্থানকারী এক বিরোধী নেতার সঙ্গে তিনি ফোনালাপ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি সামরিক অভ্যূত্থানে উস্কানিমূলক আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয় আলোচনা করেছেন। আপনি কি মনে করেন এ ধরনের গ্রেফতার বৈধ?
উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। এসব বিষয়ে মন্তব্য করার মতো আমার কাছে তেমন কোনো তথ্য-উপাথ্য নেই। তবে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক একটি দেশে নাগরিক সমাজের অবাধ সুযোগ ও গণমাধ্যমের জন্য মৌলিক স্বাধীনতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।(জাস্ট নিউজ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

খালেদার জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানায় আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশের সময় : ১০:২১:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানায় আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধী রাজনৈতিক চর্চার অবাধ সুযোগ থাকা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ফরেন প্রেস সেন্টারে ২৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ সংকট বাংলাদশের নেতাদেরই সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। গণতান্ত্রিক দেশে সংঘাতের রাজনৈতিক কোনো স্থান নেই।
নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, বিরোধীদের মুক্ত রাজনীতি চর্চার সুযোগ আর নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী।
সভায় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সহিংস জঙ্গিবাদ প্রতিহত করার বিষয়ে গত সপ্তাহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণে হোয়াইট হাউস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার অনেকগুলো দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের সাইড লাইনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠককালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে আলোচনায় এসব নীতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ এবং সংকট উত্তরণে উন্নতির প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন। জন কেরি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা সহিংস কৌশলের কোনো স্থান নেই। একইসঙ্গে এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে, সরকার বাধাহীন রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের সুযোগ করে দেবে। একটি অংশগ্রহণমূলক বিরোধী রাজনৈতিক চর্চা নিশ্চিত করবে। গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের মৌলিক অধিকারে প্রতি সম্মান দেখানো হচ্ছে তা প্রতিয়মান হতে হবে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন নিশা দেশাই।
প্রথম প্রশ্নে ওয়াশিংটনের জনৈক সাংবাদিক জানতে চান, এ সপ্তাহে বিরোধী নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করে কিনা? এবং যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে; এক বছর আগের নির্বাচন থেকে শুরু হওয়া অচলাবস্থা নিরসনে আপনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছেন কিনা?
এর জবাবে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, প্রথমত আমি আরোপিত (খালেদা জিয়ার ওপর) অভিযোগগুলো নিয়ে কোনো জল্পনা-কল্পনা করতে চাই না; শুধু এটুকু বলতে চাই আমরা প্রত্যাশা করি কোনো প্রকার অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে, কোনো প্রকার আইনি প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য সক্ষম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা নিয়ে আমাদের ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। সকল রাজনৈতিক দলের সহিংসতা পরিহার করা প্রয়োজন। একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো সরকারের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সক্রিয় থাকার সুযোগ নিশ্চিত করা এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার প্রতি উন্মুক্ত করা। এসব বিষয়গুলো অভ্যন্তরীণভাবে মোকাবিলা করতে হবে। জন কেরি জানিয়েছেন, সংকট নিরসনে যে কোনো প্রকার সহায়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। বাংলাদেশের সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজের সকল বিষয় নিয়ে আমরা নিয়মিত অবগত রয়েছি। তবে এসব মৌলিক ইস্যুগুলোর অভ্যন্তরীণ সমাধান হওয়া দরকার।
সভায় নিউইয়র্কে অবস্থিত স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন প্রেস সেন্টার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান- শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আপনারা বর্তমান সরকারকে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার বলেছে এ ক্ষেত্রে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো বিদেশী চাপ মেনে নেবে না। আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এটা প্রভাব ফেলবে কিনা? বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পরও সমঝোতার পথ উন্মুক্ত আছে বলে কি আপনি মনে করেন?
উত্তরে নিশা দেশাই বিসওয়াল বলেন, আগের প্রশ্নে আপনার প্রশ্নের শেষ অংশের উত্তর দিয়েছি। আমি এটুকু বলবো, আমরা মৌলিকভাবে বিশ্বাস করি অভ্যন্তরীণ বিষয় বাংলাদেশের জনগণকে সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের এটা করতে হবে। বিরাজমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সহিংসতা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি সরকার ও বিরোধী নেতারা এসব বিষয়ের সমাধানে উপনীত হতে পারবে এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থার উত্তরণ ঘটবে। সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সহিংসতা পরিহার করতে হবে বলে আমরা আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছি। একইসঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি এবং বিরোধী দলের সক্রিয় থাকার সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরী।
মতবিনিময় সভায় ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক সেলিম হোসেন জানতে চান- সম্প্রতি মাহমুদুর রহমান মান্না নামক এক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কে অবস্থানকারী এক বিরোধী নেতার সঙ্গে তিনি ফোনালাপ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি সামরিক অভ্যূত্থানে উস্কানিমূলক আলোচনা করেছেন। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয় আলোচনা করেছেন। আপনি কি মনে করেন এ ধরনের গ্রেফতার বৈধ?
উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট কোনো ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। এসব বিষয়ে মন্তব্য করার মতো আমার কাছে তেমন কোনো তথ্য-উপাথ্য নেই। তবে আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মতো গণতান্ত্রিক একটি দেশে নাগরিক সমাজের অবাধ সুযোগ ও গণমাধ্যমের জন্য মৌলিক স্বাধীনতা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।(জাস্ট নিউজ)