নিউইয়র্ক ১০:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সরকারী নির্দেশনা জারী : যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী বৈধতা পাচ্ছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৮১৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে সরকারী নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। নির্দেশনায় বৈধভাবে বসবাসের আবেদন ফি ও আবেদনের নিয়মকানুন সার্কুলার হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বৈধ কাগজপত্রহীন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী এই নির্বাহী আদেশের আওতায় বৈধভাবে থাকা ও কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বছরের ২০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে সিটিজেন ও গ্রিনকার্ডধারী সন্তানের বৈধ কাগজপত্রহীন মা-বাবাদের বহিষ্কারের আদেশ বাতিল করেন। তাদের বৈধভাবে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিতে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ প্রয়োগ করেন তিনি।
কিন্তু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনী পাস করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ফেব্রুয়ারী রোববার ওবামা আবারও ইমিগ্র্যান্টবিরোধী রিপাবলিকানদের বিলের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার হুমকি দেন।
এর আগে স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ওবামা বলেন, সংশোধনীটি সিনেটে পাস হলে তিনি ভেটো দেবেন। আশা-নিরাশার দোলাচলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের হতাশা কাটিয়ে অবশেষে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নির্বাহী আদেশ কার্যকর করতে গত রোববারই সার্কুলার প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশনবিষয়ক আইনজীবী নাজমুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাহী আদেশ নিয়ে সব ধরনের অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। কংগ্রেসের হাউস ফরেন রিলেশনস কমিটির অন্যতম সদস্য কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেংও আশার বাণী শোনান।
বৈধ কাগজপত্রহীনদের আবেদনের বিষয়েও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রে মোট অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। তবে নির্বাহী আদেশের আওতাধীন হবে ৫০ লাখ অভিবাসী। যারা এবার বৈধভাবে কাজের অনুমতি পাবে।
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আইনজীবীদের তথ্য মতে, নিউইয়র্কসহ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ থেকে ছয় লাখ বাংলাদেশী অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ রয়েছে বৈধ কাগজপত্রহীন। যারা এই নির্বাহী আদেশের আওতায় বৈধভাবে থাকা ও কাজের সুযোগ পাবে। (দৈনিক কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সরকারী নির্দেশনা জারী : যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী বৈধতা পাচ্ছে

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করে নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে সরকারী নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। নির্দেশনায় বৈধভাবে বসবাসের আবেদন ফি ও আবেদনের নিয়মকানুন সার্কুলার হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বৈধ কাগজপত্রহীন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী এই নির্বাহী আদেশের আওতায় বৈধভাবে থাকা ও কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত বছরের ২০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে সিটিজেন ও গ্রিনকার্ডধারী সন্তানের বৈধ কাগজপত্রহীন মা-বাবাদের বহিষ্কারের আদেশ বাতিল করেন। তাদের বৈধভাবে বসবাস ও কাজের অনুমতি দিতে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ প্রয়োগ করেন তিনি।
কিন্তু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস এই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনী পাস করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ফেব্রুয়ারী রোববার ওবামা আবারও ইমিগ্র্যান্টবিরোধী রিপাবলিকানদের বিলের বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার হুমকি দেন।
এর আগে স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে ওবামা বলেন, সংশোধনীটি সিনেটে পাস হলে তিনি ভেটো দেবেন। আশা-নিরাশার দোলাচলে প্রায় অর্ধকোটি মানুষের হতাশা কাটিয়ে অবশেষে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ নির্বাহী আদেশ কার্যকর করতে গত রোববারই সার্কুলার প্রকাশ করে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশনবিষয়ক আইনজীবী নাজমুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাহী আদেশ নিয়ে সব ধরনের অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। কংগ্রেসের হাউস ফরেন রিলেশনস কমিটির অন্যতম সদস্য কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেংও আশার বাণী শোনান।
বৈধ কাগজপত্রহীনদের আবেদনের বিষয়েও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রে মোট অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ। তবে নির্বাহী আদেশের আওতাধীন হবে ৫০ লাখ অভিবাসী। যারা এবার বৈধভাবে কাজের অনুমতি পাবে।
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন আইনজীবীদের তথ্য মতে, নিউইয়র্কসহ গোটা যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ থেকে ছয় লাখ বাংলাদেশী অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ রয়েছে বৈধ কাগজপত্রহীন। যারা এই নির্বাহী আদেশের আওতায় বৈধভাবে থাকা ও কাজের সুযোগ পাবে। (দৈনিক কালের কন্ঠ)