নিউইয়র্ক ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বার্থ চাইল্ড সিটিজেশনশীপ : হিলারী’র পৌষমাস, ট্রাম্প’র সর্বনাশ!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • / ৮৩৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: আমেরিকার মাটিতে জন্ম নিলেও নাগরিক হতে পারবেন না আমেরকিার। যদি কারো পিতা মাতা অবৈধ অভিবাসী হন তাদের ব্যাপারে এরকম নীতি নেবার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি রিপাবলিকানদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক জরিপে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের বির্কিত বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর অন্যতম অভিবাসী বান্ধব দেশ হচ্ছে আমেরিকা। এ দেশটিতে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্বের পলিসি ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রচারণার ইঁদুর দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎ করেই তার কিছু বিতর্কিত বক্তব্য খোদ রিপাবলিকানদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। একই ভাবে আফ্রিকান-আমেরিাকন ও বাংলাদেশী-আমেরিকান’সহ বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির অভিবাসীদের কাছে ট্রাম্প একজন ঘৃণ্য ব্যক্তিতে রূপ নিয়েছেন।
অন্যদিকে, সাবেক ফার্স্টলেডি ও সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারী ক্লিটন হচ্ছেন, ড্যামোক্রেটদের মনোনীত প্রার্থী। সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ইমেইল সংক্রান্ত ইস্যুতে খানিকটা সমালোচনার মুখে পড়লেও; আগামীর সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটদের কাছে তার বিকল্প নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদাও ছিলেন জার্মানের নাগরিক। একজন জার্মান-আমেরিকান অভিবাসীর সন্তান হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্ব নিয়ে তার এই বেফাঁস মন্তব্য আহত করেছে বাংলাদেশী-আমেরিকানদেরও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন, মূলধারার সংগঠন এলাইন্স অব সাউথ এশিয়ান-আমেরিকান লেবার আ্যাসাল’র প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহউদ্দিন।
এবিষয়ে আলাপকালে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী-আমেরিকান মূলধারার রাজনীতিক, কমিউনিটি নেতারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা বলেন, নির্বাচনী প্রচারনায় যুক্তরাষ্ট্রে চাইল্ড বার্থ সিটিজেনশীপ নিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প’র বক্তব্য সংবিধান বিরোধী। প্রাইমারীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যে দিযে ঝড় তুললেও চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সটকে পড়বেন। তার এসব বক্তব্য রিপাবলিকানদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে; আর পৌষমাসের দিকে এগুচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। এর সুফল হিলারী ক্লিন্টনের ঘরে যাবে বলেও আশা করছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান ও মূলধারার রাজনীতিবিদরা।
মাফ মিসবাহ বলেন, ‘ইমিগ্র্যান্টদের স্বার্থ রক্ষায় বিগত ৩০ বছরে হিলারী ক্লিন্টনের অবদান ভুলবেনা অভিবাসীরা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারী’ই হচ্ছেন যোগ্য প্রার্থী।’ তিনি বলেন, ‘আপনি খেয়াল ককরে দেখবেন অতীতের নির্বাচনের প্রাইমারিতে অনেক প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন; কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তার আর কোন পাত্তাই থাকে না। এমন নজির অসংখ্য রয়েছে আমেরিকার নির্বাচনে। আর হিলারী ক্লিন্টনের যে ইমেইল ক্যালেঙ্কারি এটা ইচ্ছাকৃত তাকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়; রিপাবলিকানরা যেহেতু সিনেটে সংখ্যাঘরিষ্ঠ্য তাই তারা চাইবে হিলারীকে বেকায়দা ফেলতে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ডোনাল্ট ট্রাম্পই তা আরো সহজ করে দিয়েছেন। অভিবাসী বান্ধব এই দেশে তার ওই বিতর্কিত বক্তব্য আমেরিকার বেশীরভাগ জনগনই মেনে নিবেন না।’
আমেরিকাকে বলা হয় অভিবাসীদের দেশ। কেন অভিবাসীদের উপর এত ক্ষোভ ট্রাম্পের? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে। ট্রাম্পের দাবি, অভিবাসীরা আমেরিকায় অপরাধ, মাদক আর ধর্ষণ নিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে ট্রাম্প যা বলছেন ঠিক তার উল্টোটা। বিভিন্ন জরীপের তথ্য মতে, আমেরিকায় অভিবাসীদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠির প্রায় ৩১ শতাংশ। যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার হার তুলনামুলক কম। এর অন্যতম কারণ অভিবাসীরা আমেরিকাকে তাদের স্বপ্নের জীবন তৈরীর সিড়ি হিসেবে গ্রহন করতে চান, উটকো ঝামেলা করে বা ঝামেলায় পড়ে স্বপ্ন্ এবং সম্ভাবনা হারাতে চান না। সন্তানদের মানুষ করে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করাতে চান। এশিয়ান বেশিরভাগ অভিবাসী তথা বাংলাদেশী ইন্ডিয়ানরাও বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। আফ্রিকান, চাইনিজ ও হেস্পেনিকদের অবস্থানও সবার জানা। এত কিছুর পরও ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে কী ভাবছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি ও মূলধারার নেতারা। বাংলা পত্রিকার সাথে আলাপকালে উঠে আসে তাদের মন্তব্যঃ-
সাবুল উদ্দীন- অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক ২৪’র জুডিশিয়াল ডেলিগেট:
‘দেখুন আমরা সবাই এদেশে ইমিগ্র্যান্ট। আর ডক্যুমেন্ট কিংবা আনডক্যুমেন্ট সবরাই বেলাতেই সংবিধানিক কিছু বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, যে এখানে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্ব নিয়ে। তা সত্যিই দু:খজনক। আমি মেন করি এর ফলে সেই নিজেই নিজের পাড়ে কুড়াল মেরেছে। কারণ শীপে হোক কিংবা প্লেনে আমেরিকার মাটিতে জন্ম নেয়া সকল শিশুরই নাগরিকত্বের অধিকার যুগ-যুগের সংবিধান স্বীকৃত। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে রিপাবলিকান দলের অনেকেই সাপোর্ট করবে না। সে বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসতে চাইছে। এতে করে নির্বাচনে ভোটে তার জনপ্রিয়া হ্রাস পাবে। একই ভাবে দু’জন সাংবাদিকরে অপমান করে ডোনাল্ড’র বর্তমান জনপ্রিয়তার জরীপ তলানিতে। আস্তে আস্তে আরো কমে যাবে। আমরা আশা করছি হিলারীই হচ্ছেন এবারের যোগ্য প্রার্থী।’
মাজেদা উদ্দীন- ভোটার এসিস্ট্যান্ট এ্যাডভাইজরি কমিশনার-ব্যাক’র মেম্বার:
‘কী বলবো রিপাবলিকান এই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরণের বিকর্তিত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন, তা মেনে নেয়ার মত নয়। ইউনাইটেড স্টেস অব আমেরিকা। এই দেশটি বিল্ড বাই ইমিগ্রেন্ট কমিউনিটি। ডোনাল্ড নিজেও ইমিগ্র্যান্ট পরিবারের। তার দাদা জার্মানীর নাগরিক। বাবা ছিলেন জার্মান-আমেরিকান। তার মুখে এসব কথা মানায় না। আমি মনে করি বাংলাদেশী ইমিগ্রেন্ট হিসেবে কোন অভিবাসী এটা মেনে নেবে না। রপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট কেউ যদি ট্র্যাম্পের এই বিষয়টি ভুলেও সমর্থন করে তাদেরও বয়কট করবে পুরো ইমিগ্র্যান্টরা।’
কাজী ফৌজিয়া- ডেসিস রাইজিং আপ এন্ড মুভিং-ড্রাম’র কমিউনিটি অর্গেনাইজার:
‘এটা সত্যি অভিবাসীদের জন্য ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য ভালো সংবাদ নয়। আমরা এতদিন ধরে মনে করেছিলাম যে, রিপাবলিকানদের রাজনীতি তথা হোয়াইট সুপারমেসি কিংবা ‘টি-পার্টি’র দৌরাত্ব; তারা তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে গেছে। যার মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান তরুণরা পুরো আমেরিকাকে ঢেলে সাজাবে। কিন্তু না, বাস্তবে তা নয়। অতীতের রিপাবলিকান দলে প্রগ্রেসিভদের প্রাধান্যতা; গুটিকয়েক বৃদ্ধ/প্রবীণ ’টি-পার্টির’ প্রভাব এখনো রয়েছে। যারা সমস্ত ফ্যাসাদের মূল হোতা। তারা তাদের অবস্থান থেকে এখনো তারা সরে আসেনি। হোয়াইট সুপারমেসি ও অর্থনৈতিক পূঁজিবাদির সেই প্রমাণ ডোনাল্ড ট্র্যাম্প তার বক্তব্যের মাধ্যমে আবারো তুলে ধরেছে। আমরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। এসব মন্তব্য ও বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তবে, আমি আশা করি সময় এখন পরিবর্তন হয়েছে। হুট করেই হোয়াইট সুপারমেসি আমেরিকান তরুণ প্রজন্মের ওপর এখন চাপিয়ে দেয়া যাবে না।’
সাঈদ রহমান মান্নান- ব্যবসায়ী ও কমিউনিট নেতা:
‘দেখুন আমি একজন ডেমোক্র্যাট। আমরা যারাই এই দেশে এসেছি অভিবাসী হয়ে সবাই বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরী করা; কেউ বা আবার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে ড়ে তুলেছে। সব কিছুরই সুফল এই দেশে পাচ্ছে। কিন্তু রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এটার ফলাফল চূড়ান্ত পর্যায়ে ডেমোক্রেট শিবিরেরই লাভ হবে।’
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার-কমিউনিটি নেতা ও কমিউনিট বোর্ড ৮ এর সদস্য:
‘দেখুন এদেশ হচ্ছে ইমিগ্র্যান্টদের দেশ। ইমিগ্র্যান্টদের ধারাই ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা ঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশ, ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠি ও ভাষার মানুষের ধারাই আজকের আমেরিকা। তাই এখানে কেউ ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আর যাই হোক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না। কারণ আপনি দেখেন এদেশে কেই আমেরিকান না। প্রতিটি নাগরিকই কেউ আফ্রিকান-আমেরিকান, আইরিশ-আমেরিকান, আরব-আমেরিকান, চাইনিজ-আমেরিকান, ইউরোপ-আমেরিকান আর আমরা হচ্ছি এশিয়ান-আমেনিরকান। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একজন জার্মান আমেরিকান হয়ে এসব কথা বলছেন। আমি মনে করি এটার তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বিভিন্ন জেনারেশন এই দেশকে গড়েছে। আজকে অর্থের জোরে ডোনালন্ড ট্রাম্প মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু বাস্তবে এটার প্রতিফলন ঘটবে না। সত্যিকার অর্থে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত কোন যৌক্তিক যুক্তি কিংবা কথাই ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় তুলে ধরতে পারেন নি।
অভিবাসীদের নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী পলিসির সমালোচনায় বাংলাদেশী অভিবাসীরাও। এদের মতে, আমেরিকায় জন্ম নেয়া শিশুর নাগরিকত্ব না দেবার যে পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্প করছেন; তা আমেরিকার সংবিধানের স্পষ্ট বিরুদ্ধাচারণ। ‘সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীতে বলা আছে আমেরিকায় জন্ম নেয়া অথবা ন্যাচারাইলজড পদ্ধতি সম্পন্ন করা যে কোন ব্যক্তিই এখানকার নাগরিক’। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নীতি থেকে সরে না এসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলে তাকে আমেরিকার শত বছরের সংবিধানকেই বদলাতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় কি? – তারা দাদা ছিলেন জার্মানীর নাগরিক। যদি কেউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখনকার নীতি সেসময়ে বাস্তবায়ন করতেন; তবে তার বাবারও ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার নাগরিক হবার পথ আটকে যাবার সম্ভাবনা ছিল। আর এক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন যে টাকার কুমীরদের সংগঠন বিলিওনিয়ার ক্লাবের মেম্বার সেটি হতে পারতেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটির নেতারা। ট্রাম্পের মুল ব্যবসা রিয়েল এস্টেট, যে সেক্টরটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী কাজ করেন। সব মিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী নির্বাচনে কি আমেরিকার জনগন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে নাকি তার জনপ্রিয় টিভি শো এপ্রেনটিস এর বিখ্যাত সংলাপ ‘ইউ আর ফায়ার্ড’ (তোমার চাকুরী শেষ)। এমন রেডকার্ড ভোটের মাধ্যমে আমেরিকান জনগণ দিবে না কী ট্রাম্প তার নীতির বাস্তবায়ন ঘটাবেন; তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বার্থ চাইল্ড সিটিজেশনশীপ : হিলারী’র পৌষমাস, ট্রাম্প’র সর্বনাশ!

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

নিউইয়র্ক: আমেরিকার মাটিতে জন্ম নিলেও নাগরিক হতে পারবেন না আমেরকিার। যদি কারো পিতা মাতা অবৈধ অভিবাসী হন তাদের ব্যাপারে এরকম নীতি নেবার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি রিপাবলিকানদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক জরিপে এগিয়ে থাকা ট্রাম্পের বির্কিত বক্তব্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়েছে। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর অন্যতম অভিবাসী বান্ধব দেশ হচ্ছে আমেরিকা। এ দেশটিতে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্বের পলিসি ইস্যুতে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রচারণার ইঁদুর দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎ করেই তার কিছু বিতর্কিত বক্তব্য খোদ রিপাবলিকানদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। একই ভাবে আফ্রিকান-আমেরিাকন ও বাংলাদেশী-আমেরিকান’সহ বিশ্বের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির অভিবাসীদের কাছে ট্রাম্প একজন ঘৃণ্য ব্যক্তিতে রূপ নিয়েছেন।
অন্যদিকে, সাবেক ফার্স্টলেডি ও সেক্রেটারি অব স্টেট হিলারী ক্লিটন হচ্ছেন, ড্যামোক্রেটদের মনোনীত প্রার্থী। সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত ইমেইল সংক্রান্ত ইস্যুতে খানিকটা সমালোচনার মুখে পড়লেও; আগামীর সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটদের কাছে তার বিকল্প নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাদাও ছিলেন জার্মানের নাগরিক। একজন জার্মান-আমেরিকান অভিবাসীর সন্তান হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্ব নিয়ে তার এই বেফাঁস মন্তব্য আহত করেছে বাংলাদেশী-আমেরিকানদেরও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন, মূলধারার সংগঠন এলাইন্স অব সাউথ এশিয়ান-আমেরিকান লেবার আ্যাসাল’র প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহউদ্দিন।
এবিষয়ে আলাপকালে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী-আমেরিকান মূলধারার রাজনীতিক, কমিউনিটি নেতারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেন। তারা বলেন, নির্বাচনী প্রচারনায় যুক্তরাষ্ট্রে চাইল্ড বার্থ সিটিজেনশীপ নিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প’র বক্তব্য সংবিধান বিরোধী। প্রাইমারীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যে দিযে ঝড় তুললেও চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সটকে পড়বেন। তার এসব বক্তব্য রিপাবলিকানদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে; আর পৌষমাসের দিকে এগুচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। এর সুফল হিলারী ক্লিন্টনের ঘরে যাবে বলেও আশা করছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান ও মূলধারার রাজনীতিবিদরা।
মাফ মিসবাহ বলেন, ‘ইমিগ্র্যান্টদের স্বার্থ রক্ষায় বিগত ৩০ বছরে হিলারী ক্লিন্টনের অবদান ভুলবেনা অভিবাসীরা। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে হিলারী’ই হচ্ছেন যোগ্য প্রার্থী।’ তিনি বলেন, ‘আপনি খেয়াল ককরে দেখবেন অতীতের নির্বাচনের প্রাইমারিতে অনেক প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন; কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে তার আর কোন পাত্তাই থাকে না। এমন নজির অসংখ্য রয়েছে আমেরিকার নির্বাচনে। আর হিলারী ক্লিন্টনের যে ইমেইল ক্যালেঙ্কারি এটা ইচ্ছাকৃত তাকে হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়; রিপাবলিকানরা যেহেতু সিনেটে সংখ্যাঘরিষ্ঠ্য তাই তারা চাইবে হিলারীকে বেকায়দা ফেলতে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। ডোনাল্ট ট্রাম্পই তা আরো সহজ করে দিয়েছেন। অভিবাসী বান্ধব এই দেশে তার ওই বিতর্কিত বক্তব্য আমেরিকার বেশীরভাগ জনগনই মেনে নিবেন না।’
আমেরিকাকে বলা হয় অভিবাসীদের দেশ। কেন অভিবাসীদের উপর এত ক্ষোভ ট্রাম্পের? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মাঝে। ট্রাম্পের দাবি, অভিবাসীরা আমেরিকায় অপরাধ, মাদক আর ধর্ষণ নিয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে ট্রাম্প যা বলছেন ঠিক তার উল্টোটা। বিভিন্ন জরীপের তথ্য মতে, আমেরিকায় অভিবাসীদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠির প্রায় ৩১ শতাংশ। যাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতার হার তুলনামুলক কম। এর অন্যতম কারণ অভিবাসীরা আমেরিকাকে তাদের স্বপ্নের জীবন তৈরীর সিড়ি হিসেবে গ্রহন করতে চান, উটকো ঝামেলা করে বা ঝামেলায় পড়ে স্বপ্ন্ এবং সম্ভাবনা হারাতে চান না। সন্তানদের মানুষ করে মূলধারার সাথে সম্পৃক্ত করাতে চান। এশিয়ান বেশিরভাগ অভিবাসী তথা বাংলাদেশী ইন্ডিয়ানরাও বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছেন। আফ্রিকান, চাইনিজ ও হেস্পেনিকদের অবস্থানও সবার জানা। এত কিছুর পরও ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে কী ভাবছেন বাংলাদেশী কমিউনিটি ও মূলধারার নেতারা। বাংলা পত্রিকার সাথে আলাপকালে উঠে আসে তাদের মন্তব্যঃ-
সাবুল উদ্দীন- অ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক ২৪’র জুডিশিয়াল ডেলিগেট:
‘দেখুন আমরা সবাই এদেশে ইমিগ্র্যান্ট। আর ডক্যুমেন্ট কিংবা আনডক্যুমেন্ট সবরাই বেলাতেই সংবিধানিক কিছু বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, যে এখানে জন্ম নেয়া শিশুদের নাগরিকত্ব নিয়ে। তা সত্যিই দু:খজনক। আমি মেন করি এর ফলে সেই নিজেই নিজের পাড়ে কুড়াল মেরেছে। কারণ শীপে হোক কিংবা প্লেনে আমেরিকার মাটিতে জন্ম নেয়া সকল শিশুরই নাগরিকত্বের অধিকার যুগ-যুগের সংবিধান স্বীকৃত। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে রিপাবলিকান দলের অনেকেই সাপোর্ট করবে না। সে বিতর্কের জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসতে চাইছে। এতে করে নির্বাচনে ভোটে তার জনপ্রিয়া হ্রাস পাবে। একই ভাবে দু’জন সাংবাদিকরে অপমান করে ডোনাল্ড’র বর্তমান জনপ্রিয়তার জরীপ তলানিতে। আস্তে আস্তে আরো কমে যাবে। আমরা আশা করছি হিলারীই হচ্ছেন এবারের যোগ্য প্রার্থী।’
মাজেদা উদ্দীন- ভোটার এসিস্ট্যান্ট এ্যাডভাইজরি কমিশনার-ব্যাক’র মেম্বার:
‘কী বলবো রিপাবলিকান এই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরণের বিকর্তিত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন, তা মেনে নেয়ার মত নয়। ইউনাইটেড স্টেস অব আমেরিকা। এই দেশটি বিল্ড বাই ইমিগ্রেন্ট কমিউনিটি। ডোনাল্ড নিজেও ইমিগ্র্যান্ট পরিবারের। তার দাদা জার্মানীর নাগরিক। বাবা ছিলেন জার্মান-আমেরিকান। তার মুখে এসব কথা মানায় না। আমি মনে করি বাংলাদেশী ইমিগ্রেন্ট হিসেবে কোন অভিবাসী এটা মেনে নেবে না। রপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট কেউ যদি ট্র্যাম্পের এই বিষয়টি ভুলেও সমর্থন করে তাদেরও বয়কট করবে পুরো ইমিগ্র্যান্টরা।’
কাজী ফৌজিয়া- ডেসিস রাইজিং আপ এন্ড মুভিং-ড্রাম’র কমিউনিটি অর্গেনাইজার:
‘এটা সত্যি অভিবাসীদের জন্য ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য ভালো সংবাদ নয়। আমরা এতদিন ধরে মনে করেছিলাম যে, রিপাবলিকানদের রাজনীতি তথা হোয়াইট সুপারমেসি কিংবা ‘টি-পার্টি’র দৌরাত্ব; তারা তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে গেছে। যার মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান তরুণরা পুরো আমেরিকাকে ঢেলে সাজাবে। কিন্তু না, বাস্তবে তা নয়। অতীতের রিপাবলিকান দলে প্রগ্রেসিভদের প্রাধান্যতা; গুটিকয়েক বৃদ্ধ/প্রবীণ ’টি-পার্টির’ প্রভাব এখনো রয়েছে। যারা সমস্ত ফ্যাসাদের মূল হোতা। তারা তাদের অবস্থান থেকে এখনো তারা সরে আসেনি। হোয়াইট সুপারমেসি ও অর্থনৈতিক পূঁজিবাদির সেই প্রমাণ ডোনাল্ড ট্র্যাম্প তার বক্তব্যের মাধ্যমে আবারো তুলে ধরেছে। আমরা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি। এসব মন্তব্য ও বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তবে, আমি আশা করি সময় এখন পরিবর্তন হয়েছে। হুট করেই হোয়াইট সুপারমেসি আমেরিকান তরুণ প্রজন্মের ওপর এখন চাপিয়ে দেয়া যাবে না।’
সাঈদ রহমান মান্নান- ব্যবসায়ী ও কমিউনিট নেতা:
‘দেখুন আমি একজন ডেমোক্র্যাট। আমরা যারাই এই দেশে এসেছি অভিবাসী হয়ে সবাই বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরী করা; কেউ বা আবার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে ড়ে তুলেছে। সব কিছুরই সুফল এই দেশে পাচ্ছে। কিন্তু রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প যে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এটার ফলাফল চূড়ান্ত পর্যায়ে ডেমোক্রেট শিবিরেরই লাভ হবে।’
ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার-কমিউনিটি নেতা ও কমিউনিট বোর্ড ৮ এর সদস্য:
‘দেখুন এদেশ হচ্ছে ইমিগ্র্যান্টদের দেশ। ইমিগ্র্যান্টদের ধারাই ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা ঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশ, ধর্ম-বর্ণ, জাতিগোষ্ঠি ও ভাষার মানুষের ধারাই আজকের আমেরিকা। তাই এখানে কেউ ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আর যাই হোক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত যোগ্যতা রাখে না। কারণ আপনি দেখেন এদেশে কেই আমেরিকান না। প্রতিটি নাগরিকই কেউ আফ্রিকান-আমেরিকান, আইরিশ-আমেরিকান, আরব-আমেরিকান, চাইনিজ-আমেরিকান, ইউরোপ-আমেরিকান আর আমরা হচ্ছি এশিয়ান-আমেনিরকান। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একজন জার্মান আমেরিকান হয়ে এসব কথা বলছেন। আমি মনে করি এটার তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে আরো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। বিভিন্ন দেশ থেকে এসে বিভিন্ন জেনারেশন এই দেশকে গড়েছে। আজকে অর্থের জোরে ডোনালন্ড ট্রাম্প মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু বাস্তবে এটার প্রতিফলন ঘটবে না। সত্যিকার অর্থে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হওয়ার মত কোন যৌক্তিক যুক্তি কিংবা কথাই ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় তুলে ধরতে পারেন নি।
অভিবাসীদের নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী পলিসির সমালোচনায় বাংলাদেশী অভিবাসীরাও। এদের মতে, আমেরিকায় জন্ম নেয়া শিশুর নাগরিকত্ব না দেবার যে পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্প করছেন; তা আমেরিকার সংবিধানের স্পষ্ট বিরুদ্ধাচারণ। ‘সংবিধানের ১৪ তম সংশোধনীতে বলা আছে আমেরিকায় জন্ম নেয়া অথবা ন্যাচারাইলজড পদ্ধতি সম্পন্ন করা যে কোন ব্যক্তিই এখানকার নাগরিক’। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নীতি থেকে সরে না এসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারলে তাকে আমেরিকার শত বছরের সংবিধানকেই বদলাতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিচয় কি? – তারা দাদা ছিলেন জার্মানীর নাগরিক। যদি কেউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এখনকার নীতি সেসময়ে বাস্তবায়ন করতেন; তবে তার বাবারও ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার নাগরিক হবার পথ আটকে যাবার সম্ভাবনা ছিল। আর এক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন যে টাকার কুমীরদের সংগঠন বিলিওনিয়ার ক্লাবের মেম্বার সেটি হতে পারতেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মূলধারার রাজনীতিক ও কমিউনিটির নেতারা। ট্রাম্পের মুল ব্যবসা রিয়েল এস্টেট, যে সেক্টরটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী কাজ করেন। সব মিলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগামী নির্বাচনে কি আমেরিকার জনগন প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করবে নাকি তার জনপ্রিয় টিভি শো এপ্রেনটিস এর বিখ্যাত সংলাপ ‘ইউ আর ফায়ার্ড’ (তোমার চাকুরী শেষ)। এমন রেডকার্ড ভোটের মাধ্যমে আমেরিকান জনগণ দিবে না কী ট্রাম্প তার নীতির বাস্তবায়ন ঘটাবেন; তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পার্টির চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)