নিউইয়র্ক ০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ০ বার পঠিত

দমন নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা উচিত: ওয়াং ই

চীনকে দমন করার নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বাধা সৃষ্টি না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিআরআই জানিয়েছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার এক ফোনালাপে মিলিত হন। তারা মূলত দু’দেশের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসে পার্টি ও জনগণের অভিন্ন আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে। চীন বিশ্বের শান্তি সুরক্ষা করতে, অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কূটনীতি মেনে চলতে, এবং বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের মৌলিক নীতি মেনে চলতে কাজ করে যাবে।

তিনি আরও বলেন, চীন নিজস্ব বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকতা দিয়ে সমস্ত মানবজাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি হবে অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ থেকে বড় স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত।

চীনের দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকারের চীনকে জানতে চায়, তাহলে ভালোভাবে সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদন পড়তে হবে।

ওয়াং বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ককে স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনা কেবল চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ স্বার্থেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাধারণ স্বার্থেই জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনকে দমন করার নীতি থেকে সরে আসা এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বাধা সৃষ্টি না-করা।

এ সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র-চীন সহযোগিতা দেখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে, সহযোগিতা চালিয়ে যেতে, এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।

এদিন ইউক্রেন নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশই এ যুদ্ধ বন্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই তাইওয়ান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রকাশের সময় : ০৮:১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

দমন নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা উচিত: ওয়াং ই

চীনকে দমন করার নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বাধা সৃষ্টি না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিআরআই জানিয়েছে, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার এক ফোনালাপে মিলিত হন। তারা মূলত দু’দেশের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসে পার্টি ও জনগণের অভিন্ন আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে। চীন বিশ্বের শান্তি সুরক্ষা করতে, অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার কূটনীতি মেনে চলতে, এবং বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের মৌলিক নীতি মেনে চলতে কাজ করে যাবে।

তিনি আরও বলেন, চীন নিজস্ব বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকতা দিয়ে সমস্ত মানবজাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে এবং বিশ্বের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এটি হবে অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ থেকে বড় স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত।

চীনের দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র সত্যিকারের চীনকে জানতে চায়, তাহলে ভালোভাবে সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিবেদন পড়তে হবে।

ওয়াং বলেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ককে স্থিতিশীল উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনা কেবল চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ স্বার্থেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাধারণ স্বার্থেই জরুরি। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনকে দমন করার নীতি থেকে সরে আসা এবং দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বাধা সৃষ্টি না-করা।

এ সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র-চীন সহযোগিতা দেখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে, সহযোগিতা চালিয়ে যেতে, এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।

এদিন ইউক্রেন নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশই এ যুদ্ধ বন্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই তাইওয়ান এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক অচলাবস্থা বিরাজ করছে। এরইমধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো।