নিউজার্সী রাজ্যে মরদেহ দাফন
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী মাজিদের রহস্যজনক মৃত্যু
![](https://hakkatha.com/wp-content/uploads/2024/05/hakkathafav.png)
- প্রকাশের সময় : ০৩:১১:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
- / ২১০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক সিটির সাউথ জ্যামাইকাতে এক বাংলাদেশীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়ে। অজ্ঞাত কারণে নিহত বাংলাদেশীর নাম মাজিদুল ভুইয়া। তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর। মুত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ৬ বছরের এক শিশু রেখে গেছেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। খবর ইউএনএ’র।
জানা যায়, বুধবার (২২ মে) ভোর ১টায় সিটি পুলিশ তার সাউথ জ্যামাইকার বাড়ী থেকে মাজিদুল ভুইয়ার মনরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব কনি আইল্যান্ডের মক্কী মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৪ মে) নিউজার্সী রাজ্যের একটি কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নিহত মাজিদুলের বাড়ী ঢাকার আরামবাগে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে তার স্ত্রী কামরুন্নাহার রাখি নিউইয়র্কের টাইম টেলিভিশনের প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে বলেন, ‘আমি ঐদিন বাসায় ছিলাম না। তবে ক্লোজ সার্কিট ক্য্যামেরার ভিডিও নিয়ে গেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে বিধায় এই মুহুর্তে আমি কোন কথা বলতে পারছি না।’
নিহত মাজিদুল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। মাস খানেক আগে তিনি নিউইয়র্ক আসেন। সাথে নিয়ে এসেছিলেন স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে। বৃহস্পতিবার জানাজা অনুষ্ঠানে মাত্র কয়েকজন বাংলাদেশী যোগ দেন। তবে জানাজার পুরো বিষয়টি ইকনা’র তত্ত্বাবধানে হয়েছে বলে জানা গেছে। জানাজা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নিহত মাজিদুলের কানাডা প্রবাসী এক বোন উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মাজিদুলের বোন বলেন, আমার ভাই ৫ মাস আগে পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্সাস রাজ্যের মিজৌরিতে এসেছিল। সে অত্যন্ত মেধাবী একজন ছাত্র ছিল। আমরা ২ বোন আর সে একমাত্র ভাই ছিলো। ভাইটি আমার সবার পরে এসে, সবার আগে চলে গেলো। আমরা আর তাকে দেখবো না। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নিহত মাজেদুলের স্ত্রীও কোন কথা বলতে নারাজ। যার ফলে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে একটি অসমর্থিত সূত্র জানায়, সিসি ক্যামেরাতে একজন আগন্তকের ভিডিও দেখা গেছে। তিনি ঘরে প্রবেশ করে পরে বেরিয়ে যান। পুলিশ ভিডিও সহ বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। নিহত মাজেদুলের স্ত্রী বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটির সানি সাইডে তার এক বান্ধবীর বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।