নিউইয়র্ক ১১:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

শিগগীরই নিউইয়র্ক-ঢাকা শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি : চমক থাকবে বাংলাদেশ ডে অনুষ্ঠানে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২৬৬ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ সফর করে অভিভূত নিউইয়র্কের পাঁচ স্টেট সিনেটর। ওই সফরের অংশ হিসেবে শিগগীরই তারা শুরু করতে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক-ঢাকা শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-কিউনি এবং স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-সুনীর সঙ্গে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন করার লক্ষ্যে ওই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) ব্রঙ্কসে অনুষ্ঠিত সিনেটরদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
গেলো অক্টোবরে নিউইয়র্কের পাঁচজন স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি এবং কেভিন এ পার্কার বাংলাদেশ সফর করেন। জেমস স্কুফিস বাদে বাকী চারজনের সিনেট নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী কমিউনিটির আধিপত্য ক্রমশই বাড়ছে। বাংলাদেশী ভোটারদের সঙ্গে সেতুবন্ধন বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তারা গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সিলেটের ইস্পাহানী চা বাগান। সিলেট এবং নারায়ণগঞ্জের দু’টি তৈরী পোষাক কারখানা পরিদর্শনের পাশাপাশি মতবিনিময় করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। এসময় উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি নিউইয়র্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে আলোচনা করেন। সপ্তাহব্যাপী ওই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরতে রোববার ব্রঙ্কসের আল আকসা রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। এতে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, জন ল্যু এবং লিরয় কমরি। তারা বলেন, বাংলাদেশ সফর তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সফর, চিরদিন মনে থাকবে।
সফরকারী পাঁচ সিনেটরের টিম লিডার লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশ সরকারের আতিথেয়তার প্রশংসা করে বলেন, ওই সফর তার জীবনে স্মরণীয় এবং শ্রেষ্ঠ সফর হয়ে থাকবে। একই মন্তব্য করে জন ল্যু বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে তা দেখে তিনি অভিভূত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। নিরাপত্তা বলয়ের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জন ল্যু বলেন-‘ইটস এ্যা অ্যামেইজিং কান্ট্রি, আই ওয়ান্ট টু গো ব্যাক এ্যাগেইন’।
স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের কথা বলতেই সবাই উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন। কমরি বলেন, ঢাকার ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম দেখার পর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউইয়র্কের ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে তিনি আর কখনো কোনও অভিযোগ করবেন না। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং নির্মানাধীন মেট্রো রেলের কথা উল্লেখ করে কমরি বলেন, তিনি আশা করছেন উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ হলে বহুল ঘনবসতি শহর ঢাকার মানুষ ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে লুইস সেপুলভেদা জানান, বাংলাদেশ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিলো নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটির জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের আরো ভালোভাবে মূল্যায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করা। সেদিক থেকে তাদের সফর সফল হয়েছে। তিনি বলেন, কিউনি এবং সুনী’র সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটকে কিভাবে যুক্ত করে শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি চালু করা যায় তার রুপরেখা প্রণয়ন চলছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেমন এখানে আসতে পারবে তেমনি নিউইয়র্কের অন্যান্য কমিউনিটির শিক্ষার্থীরা যেনো বাংলাদেশে গিয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার পরিধি বাড়াতে পারে- সেটাই তাদের লক্ষ্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লুইস সেপুলভেদা জানান, নিউইয়র্কের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ দিবসে কমিউনিটির জন্য আসছে সারপ্রাইজ। তিনি অবশ্য পরিষ্কার করে বলেননি- কি ধরণের ঘোষণা আসছে। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনী-তে প্রতিবছর ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। ২০২০ সালের বাংলাদেশ দিবসে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য ওই ‘সারপ্রাইজ’ দেয়া হবে বলে জানান লুইস সেপুলভেদা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি লিডার মঈন চৌধুরী, মোহম্মদ শাহ নেওয়াজ ও আব্দুর রহীম হাওলাদার। স্টেট সিনেটরদের বাংলাদেশ সফরসঙ্গীদের মধ্যে তারা ছিলেন। তিনজনই তুলে ধরেন ওই সফরে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। (বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

শিগগীরই নিউইয়র্ক-ঢাকা শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি : চমক থাকবে বাংলাদেশ ডে অনুষ্ঠানে

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

হককথা ডেস্ক: বাংলাদেশ সফর করে অভিভূত নিউইয়র্কের পাঁচ স্টেট সিনেটর। ওই সফরের অংশ হিসেবে শিগগীরই তারা শুরু করতে যাচ্ছেন নিউইয়র্ক-ঢাকা শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি। সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-কিউনি এবং স্টেইট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-সুনীর সঙ্গে বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন করার লক্ষ্যে ওই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সফর নিয়ে রোববার (২৪ নভেম্বর) ব্রঙ্কসে অনুষ্ঠিত সিনেটরদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
গেলো অক্টোবরে নিউইয়র্কের পাঁচজন স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, জন ল্যু, জেমস স্কুফিস, লিরয় কমরি এবং কেভিন এ পার্কার বাংলাদেশ সফর করেন। জেমস স্কুফিস বাদে বাকী চারজনের সিনেট নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশী কমিউনিটির আধিপত্য ক্রমশই বাড়ছে। বাংলাদেশী ভোটারদের সঙ্গে সেতুবন্ধন বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে তারা গত ২০ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরিদর্শন করেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সিলেটের ইস্পাহানী চা বাগান। সিলেট এবং নারায়ণগঞ্জের দু’টি তৈরী পোষাক কারখানা পরিদর্শনের পাশাপাশি মতবিনিময় করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। এসময় উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি নিউইয়র্কের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে আলোচনা করেন। সপ্তাহব্যাপী ওই সফরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরতে রোববার ব্রঙ্কসের আল আকসা রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। এতে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, জন ল্যু এবং লিরয় কমরি। তারা বলেন, বাংলাদেশ সফর তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সফর, চিরদিন মনে থাকবে।
সফরকারী পাঁচ সিনেটরের টিম লিডার লুইস সেপুলভেদা বাংলাদেশ সরকারের আতিথেয়তার প্রশংসা করে বলেন, ওই সফর তার জীবনে স্মরণীয় এবং শ্রেষ্ঠ সফর হয়ে থাকবে। একই মন্তব্য করে জন ল্যু বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে তা দেখে তিনি অভিভূত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছবে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। নিরাপত্তা বলয়ের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জন ল্যু বলেন-‘ইটস এ্যা অ্যামেইজিং কান্ট্রি, আই ওয়ান্ট টু গো ব্যাক এ্যাগেইন’।
স্টেট সিনেটর লিরয় কমরি ঢাকার ট্রাফিক জ্যামের কথা বলতেই সবাই উচ্চস্বরে হেসে ওঠেন। কমরি বলেন, ঢাকার ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম দেখার পর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউইয়র্কের ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে তিনি আর কখনো কোনও অভিযোগ করবেন না। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং নির্মানাধীন মেট্রো রেলের কথা উল্লেখ করে কমরি বলেন, তিনি আশা করছেন উন্নয়ন কর্মকান্ড শেষ হলে বহুল ঘনবসতি শহর ঢাকার মানুষ ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে লুইস সেপুলভেদা জানান, বাংলাদেশ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিলো নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী কমিউনিটির জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের আরো ভালোভাবে মূল্যায়ন করার সুযোগ সৃষ্টি করা। সেদিক থেকে তাদের সফর সফল হয়েছে। তিনি বলেন, কিউনি এবং সুনী’র সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েটকে কিভাবে যুক্ত করে শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি চালু করা যায় তার রুপরেখা প্রণয়ন চলছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যেমন এখানে আসতে পারবে তেমনি নিউইয়র্কের অন্যান্য কমিউনিটির শিক্ষার্থীরা যেনো বাংলাদেশে গিয়ে জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার পরিধি বাড়াতে পারে- সেটাই তাদের লক্ষ্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লুইস সেপুলভেদা জানান, নিউইয়র্কের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ দিবসে কমিউনিটির জন্য আসছে সারপ্রাইজ। তিনি অবশ্য পরিষ্কার করে বলেননি- কি ধরণের ঘোষণা আসছে। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনী-তে প্রতিবছর ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। ২০২০ সালের বাংলাদেশ দিবসে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য ওই ‘সারপ্রাইজ’ দেয়া হবে বলে জানান লুইস সেপুলভেদা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি লিডার মঈন চৌধুরী, মোহম্মদ শাহ নেওয়াজ ও আব্দুর রহীম হাওলাদার। স্টেট সিনেটরদের বাংলাদেশ সফরসঙ্গীদের মধ্যে তারা ছিলেন। তিনজনই তুলে ধরেন ওই সফরে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। (বাংলা পত্রিকা)