নিউইয়র্ক ০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ফ্লোরিডায় ঐতিহাসিক সম্মেলন উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০১৭
  • / ৬৭০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ‘মানবতার জন্য ঐক্য’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ৬-৮ অক্টোবর ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ৩১তম ফোবানা সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের সূর্যালোকের রাজ্যখ্যাত ফ্লোরিডার এবারের সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে অগ্রাধিকার। পাশাপাশি আতিথিয়তায় কোন কমতি থাকবে না। সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন আয়োজন সংগঠন ও ফেবানার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এবারের ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা (বিএএফ)। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফোবানা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ফোবানা সম্মেলন হবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায়।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে গত ১৩ মে শনিবার দুপুরে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে চলতি বছরের ফোবানা সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে আয়োজক সংগঠন বিএএফ-এর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান, ফোবানা সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক এম রহমান জহির, সদস্য সচিব আরিফ আহমেদ আশরাফ, ফোবানা কিিটর চেয়ারম্যান আজাদুল হক, কালচারাল কমিটির চেয়ারম্যান এবিএম গোলাম মোস্তফা প্রমুখ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এবং তথ্য তুলে ধরেন। এসময় ফোবানার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে বেদারুল ইসলাম বাবলা, এমরানুল হক চাকলাদার, রফিকুল হক, মোহাম্মদ আলমগীর, শরাফত হোসেন বাবু, এম মওলা দীলু, জাকারিয়া চৌধুরী, শিব্বির আহমেদ ও বিএনএফ-এর প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহিদ মাহফুজ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। এছাড়াও ফোবানার সাবেক কর্মকর্তা এবং নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, ওয়াশিংটন ডিসি ও ফ্লোরিডার বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মীর চৌধুরী, জসীম উদ্দিন, রেহান রেজা, নাহিদ চৌধুরী, নূরুল আমীন, ডিউক খান, শামসুল আলম চৌধুরী, আব্দুল হাই জিয়া, জাকির হোসেন, ভজন সরকার, গোলাম মোস্তফা, নূরুন নবী, আবীর আলমগীর, তামান্না আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফোবানা সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আজাদুল হক, বিএএফ-এর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান, ফোবানা সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক এম রহমান জহির, নির্বাহী সচিব এম মাওলা দিলু, প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহেদ মাহফুজ, সদস্য সচিব আরিফ আহমেদ আশরাফ ও ইয়্যুথ কমিটির চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও ফোবানা সম্মেলনের রেজিষ্ট্রেশন কমিটির চেয়ারম্যান তামান্না আহমেদ।
মোহাম্মদ এমরান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ৩১তম ফোবানা সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। সম্মেলনের জন্য বুক করা হোটেলে অতিথি আপ্যায়নে চ্যাম্পিয়ন মায়ামীর বাঙালীরা। এবারের ফোবানা সম্মেলনে এর ব্যতিক্রম হবে না। সম্মেলন হবে সুন্দর ও সাবলিল। থাকবে নানা বিনোদনের ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে এম রহমান জহির জানান, এবারের ফোবানা সম্মেলন হবে সুন্দর সম্মেলন। তিনি বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মেলন সফল করা হবে। তিনি বলেন, ৩১তম ফেবানা সম্মেলনে দেশ ও প্রবাসের শিল্পরা অংশ নিলেও প্রবাসে জন্মগ্রহণকারী আমাদের নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অগ্রাধিকার থাকবে। তারা যাতে বাঙালী সংস্কৃতির প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে ওঠে এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে মেতে থাকে, সে লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএএফ’র জন্ম ২৭ বছর আগে। সামাজিক কর্মকান্ড সহ ফোবানা সম্মেলন আয়োজনে এই সংগঠনের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তাই আমাদের সংগঠনের অতীত অভিজ্ঞতার আলোকেই এবার অত্যান্ত সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পারবো বলে আশা রাখি।
প্রসঙ্গত এম রহমান জহির বলেন, বিগত তত্বাবধায়ত সরকারের সময় বাংলাদেশ এসোসিশেন অব ফ্লোরিড়া ৯৬৩ হাজার ডলার বাংলাদেশের বর্ন্যার্তদের সাহায্যে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে চার মাস আগে গুলিবিদ্ধ এক দোকানীর সাহায্যে ২৭ হাজার ডলার সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনের উদ্যোগে ফ্লোরিডার কয়েকটি বাংলাদেশী পরিবারকে তাদের বাড়ী পেইড আপ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩০ হাজার ডলার সাহায্য দিয়ে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আজাদুল হক বলেন, ৩৬৫ দিনের ফোবানা সম্মেলন হয় মাত্র তিন দিন। মূলত: ফোবানা সম্মেলন কোন পথমেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, এটা উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের বার্ষিক সম্মেলন। তিনি বলেন, সময় অনেক পার হয়ে গেছে। এখন ফোবানাকে নতুন প্রজন্মের উপযোগী করে তুলতে হবে। ফোবানার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য প্রবাসে জাতীয় মঞ্চ তৈরী করতে হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
জাকারিয়া চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যেই শতাধিক তরুণ-তরুণীর সমন্বয়ে ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুশীলন শুরু হয়েছে। তারা সকলেই আমেরিকায় জন্মেছে। তবে সকলেই বাংলায় কথা বলে এবং পুরো অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।
এবারের ফোবানা সম্মেলনে থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার। ইউএস কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সকলকেই কেন মূলধারায় সম্পৃক্ত হওয়া জরুরী সে আলোকে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আমেরিকানদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেও সেমিনার হবে।
সম্মেলনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি পেশাগতভাবে বিশেষ সাফল্য প্রদর্শনকারী কয়েকজন প্রবাসীদের সম্মানিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মিট দ্য প্রেসে জানানো হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা জানান, ঐক্যের ব্যাপারে ফোবানার দরজা সবসময় খোলা। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, ফোবানা কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক সংগঠন নয়। কোন ব্যক্তি এককভাবে এর কোন সদস্য হতে পারেন না, সদস্য হয় সয়গঠন। ফোবানার পক্ষ থেকে ছোট-বড় বাংলাদেশী সকল সংগঠনকেই সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। সদস্যপদ বহাল রাখতে প্রতিবছর সকল সংগঠনের রিনিউ করার নিয়ম রয়েছে।
এবারের ফোবানা সম্মেলনের বাজেট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনো চুড়ান্ত বাজেট নিরূপন হয়নি। তবে সম্মেলনের মান ধরে রাখতে, সম্মেলনের মান উন্নত করতে যেমন বাজেট দরকার তা ই থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা জানান, দেশ ও প্রবাসে ফোবানা এখন একটি ব্র্যান্ড। তাই কেউ যাতে বাংলাদেশে ফোবানার নাম ব্যবহার করে এর কোন অপব্যাবহার না করতে পারে তার জন্যই বাংলাদেশে ফোবানা’র নাম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

ফ্লোরিডায় ঐতিহাসিক সম্মেলন উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি

প্রকাশের সময় : ০২:২১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০১৭

নিউইয়র্ক: ‘মানবতার জন্য ঐক্য’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ৬-৮ অক্টোবর ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ৩১তম ফোবানা সম্মেলন। যুক্তরাষ্ট্রের সূর্যালোকের রাজ্যখ্যাত ফ্লোরিডার এবারের সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের জন্য থাকবে অগ্রাধিকার। পাশাপাশি আতিথিয়তায় কোন কমতি থাকবে না। সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন আয়োজন সংগঠন ও ফেবানার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এবারের ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা (বিএএফ)। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফোবানা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ফোবানা সম্মেলন হবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায়।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে গত ১৩ মে শনিবার দুপুরে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে চলতি বছরের ফোবানা সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে আয়োজক সংগঠন বিএএফ-এর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান, ফোবানা সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক এম রহমান জহির, সদস্য সচিব আরিফ আহমেদ আশরাফ, ফোবানা কিিটর চেয়ারম্যান আজাদুল হক, কালচারাল কমিটির চেয়ারম্যান এবিএম গোলাম মোস্তফা প্রমুখ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এবং তথ্য তুলে ধরেন। এসময় ফোবানার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে বেদারুল ইসলাম বাবলা, এমরানুল হক চাকলাদার, রফিকুল হক, মোহাম্মদ আলমগীর, শরাফত হোসেন বাবু, এম মওলা দীলু, জাকারিয়া চৌধুরী, শিব্বির আহমেদ ও বিএনএফ-এর প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহিদ মাহফুজ মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। এছাড়াও ফোবানার সাবেক কর্মকর্তা এবং নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, ওয়াশিংটন ডিসি ও ফ্লোরিডার বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মীর চৌধুরী, জসীম উদ্দিন, রেহান রেজা, নাহিদ চৌধুরী, নূরুল আমীন, ডিউক খান, শামসুল আলম চৌধুরী, আব্দুল হাই জিয়া, জাকির হোসেন, ভজন সরকার, গোলাম মোস্তফা, নূরুন নবী, আবীর আলমগীর, তামান্না আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফোবানা সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়কারী আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আজাদুল হক, বিএএফ-এর সভাপতি মোহাম্মদ এমরান, ফোবানা সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক এম রহমান জহির, নির্বাহী সচিব এম মাওলা দিলু, প্রধান উপদেষ্টা আব্দুল ওয়াহেদ মাহফুজ, সদস্য সচিব আরিফ আহমেদ আশরাফ ও ইয়্যুথ কমিটির চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ফোবানার সাবেক চেয়ারম্যান রেহান রেজা ও ফোবানা সম্মেলনের রেজিষ্ট্রেশন কমিটির চেয়ারম্যান তামান্না আহমেদ।
মোহাম্মদ এমরান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ৩১তম ফোবানা সম্মেলন হবে ঐতিহাসিক। সম্মেলনের জন্য বুক করা হোটেলে অতিথি আপ্যায়নে চ্যাম্পিয়ন মায়ামীর বাঙালীরা। এবারের ফোবানা সম্মেলনে এর ব্যতিক্রম হবে না। সম্মেলন হবে সুন্দর ও সাবলিল। থাকবে নানা বিনোদনের ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে এম রহমান জহির জানান, এবারের ফোবানা সম্মেলন হবে সুন্দর সম্মেলন। তিনি বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মেলন সফল করা হবে। তিনি বলেন, ৩১তম ফেবানা সম্মেলনে দেশ ও প্রবাসের শিল্পরা অংশ নিলেও প্রবাসে জন্মগ্রহণকারী আমাদের নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অগ্রাধিকার থাকবে। তারা যাতে বাঙালী সংস্কৃতির প্রতি আরও আকৃষ্ট হয়ে ওঠে এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে মেতে থাকে, সে লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিএএফ’র জন্ম ২৭ বছর আগে। সামাজিক কর্মকান্ড সহ ফোবানা সম্মেলন আয়োজনে এই সংগঠনের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তাই আমাদের সংগঠনের অতীত অভিজ্ঞতার আলোকেই এবার অত্যান্ত সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পারবো বলে আশা রাখি।
প্রসঙ্গত এম রহমান জহির বলেন, বিগত তত্বাবধায়ত সরকারের সময় বাংলাদেশ এসোসিশেন অব ফ্লোরিড়া ৯৬৩ হাজার ডলার বাংলাদেশের বর্ন্যার্তদের সাহায্যে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশে চার মাস আগে গুলিবিদ্ধ এক দোকানীর সাহায্যে ২৭ হাজার ডলার সাহায্য প্রদান করা হয়েছে। সংগঠনের উদ্যোগে ফ্লোরিডার কয়েকটি বাংলাদেশী পরিবারকে তাদের বাড়ী পেইড আপ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৩০ হাজার ডলার সাহায্য দিয়ে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আজাদুল হক বলেন, ৩৬৫ দিনের ফোবানা সম্মেলন হয় মাত্র তিন দিন। মূলত: ফোবানা সম্মেলন কোন পথমেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, এটা উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের বার্ষিক সম্মেলন। তিনি বলেন, সময় অনেক পার হয়ে গেছে। এখন ফোবানাকে নতুন প্রজন্মের উপযোগী করে তুলতে হবে। ফোবানার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য প্রবাসে জাতীয় মঞ্চ তৈরী করতে হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
জাকারিয়া চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যেই শতাধিক তরুণ-তরুণীর সমন্বয়ে ফোবানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অনুশীলন শুরু হয়েছে। তারা সকলেই আমেরিকায় জন্মেছে। তবে সকলেই বাংলায় কথা বলে এবং পুরো অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।
এবারের ফোবানা সম্মেলনে থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার। ইউএস কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি ছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সকলকেই কেন মূলধারায় সম্পৃক্ত হওয়া জরুরী সে আলোকে এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আমেরিকানদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেও সেমিনার হবে।
সম্মেলনে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি পেশাগতভাবে বিশেষ সাফল্য প্রদর্শনকারী কয়েকজন প্রবাসীদের সম্মানিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মিট দ্য প্রেসে জানানো হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা জানান, ঐক্যের ব্যাপারে ফোবানার দরজা সবসময় খোলা। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, ফোবানা কোন ব্যক্তি কেন্দ্রীক সংগঠন নয়। কোন ব্যক্তি এককভাবে এর কোন সদস্য হতে পারেন না, সদস্য হয় সয়গঠন। ফোবানার পক্ষ থেকে ছোট-বড় বাংলাদেশী সকল সংগঠনকেই সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়ে থাকে। সদস্যপদ বহাল রাখতে প্রতিবছর সকল সংগঠনের রিনিউ করার নিয়ম রয়েছে।
এবারের ফোবানা সম্মেলনের বাজেট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনো চুড়ান্ত বাজেট নিরূপন হয়নি। তবে সম্মেলনের মান ধরে রাখতে, সম্মেলনের মান উন্নত করতে যেমন বাজেট দরকার তা ই থাকবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে কর্মকর্তারা জানান, দেশ ও প্রবাসে ফোবানা এখন একটি ব্র্যান্ড। তাই কেউ যাতে বাংলাদেশে ফোবানার নাম ব্যবহার করে এর কোন অপব্যাবহার না করতে পারে তার জন্যই বাংলাদেশে ফোবানা’র নাম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়েছে।