নিউইয়র্ক ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পান্না-আলাউদ্দিন প্যানেল জয়ী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৯০ বার পঠিত

সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আলাউদ্দিন (বামে) ও সভাপতি আবদুল হান্নান পান্না (ডানে)
সোহেল মাহমুদ: সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএর নির্বাচনে আবদুল হান্নান পান্না ও এ এস এম আলাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পূর্ণ প্যানেল জয় লাভ করেছে। এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ তাৎক্ষণিকভাবে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী কয়েক হাজার সন্দ্বীপবাসী। সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএর নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছেন তারা এই ভোটের মাধ্যমে।
১৭ নভেম্বর ব্রুকলীনের পাবলিক স্কুল ওয়ান সেভেনটি নাইনে সোসাইটির নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত দুই হাজার ৪০০-এর বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আবদুল হান্নান পান্না ও এ এস এম আলাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পূর্ণ প্যানেল জয় লাভ করেছে। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ।
সোসাইটির নির্বাচনকে ঘিরে এক মাস ধরে উৎসবের আমেজ ছিল ব্রুকলীনে। আমেরিকায় বসবাসকারী সন্দ্বীপবাসীদের সংগঠন হলেও সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএ ব্রুকলীনের কেনসিংটনভিত্তিক। নির্বাচনও হয়েছে ব্রুকলীনের পাবলিক স্কুল ওয়ান সেভেনটি নাইনে। ১৭ নভেম্বর সকালে দলে দলে ভোটাররা এসে জড়ো হয় ভোটকেন্দ্রের সামনে। আশপাশের স্টেট ও নিউইয়র্কের দূরবর্তী শহর বাফেলো থেকে সন্দ্বীপবাসীরা আসেন ভোট দিতে।
এ নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ছাড়া সভাপতি পদে এককভাবে নির্বাচন করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম।
প্রাপ্ত ভোট ও বিজয়ী প্রার্থীরা
সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল হান্নান পান্না, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৪৬৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীী নুরুল আমিন পেয়েছেন ৯১২ ভোট ও মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম ২১ ভোট। সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ হেলাল (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৯৫ ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে মিয়া হানিফ পেয়েছেন ৯৬৯ ভোট। সহসভাপতি (১) পদে মজহারুল ইসলাম সাহাবউদ্দিন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩৪০ ও প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৮৪২ ভোট। সহসভাপতি (২) পদে মোহাম্মদ কাশেম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৬৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট। সহসভাপতি (৩) পদে ফসিউল আলম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৪৪ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ পেয়েছেন ৮৮২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এ এস এম আলাউদ্দিন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩০৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ১২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মেজবাহ উদ্দীন মনির (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৩ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর আর চৌধুরী পেয়েছেন ৯৮০ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ কে সর্দার (বিজয়ী) পেয়েছেন ১৩৭৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৯০৩ ভোট। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৮০ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সোহেল পেয়েছেন ৯৮৬ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। সহ কোষাধ্যক্ষ পদে রিদওয়ানুল বারী (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩০১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী নাসির উদ্দীন পেয়েছেন ৯৭৩ ভোট। সমাজকল্যাণ ও বিনোদন সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দীন আহমেদ আরিফ (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৫৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ফারুক পেয়েছেন ৯৯৫ ভোট। ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে আহমেদ সোহেল জাহাঙ্গীর (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩১৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিজামুল ইসলাম সিজার পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক পদে এইচ এম এস ইসলাম অরিক (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মোসলিম উদ্দীন পেয়েছেন ৯২৩ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে শাফায়েত হোসেন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩৪৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী ইদ্রিস আলম আলো পেয়েছেন ৯১০ ভোট। মূলধারা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দীন দিদার (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৯২ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ এ রাসুল ছোটন পেয়েছেন ৯৪৩ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ এম উদ্দীন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৮৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোক্তাদের মাওলা পেয়েছেন ৯৮৩ ভোট।
১৯টি পদের মধ্যে দু’টিতে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের প্রার্থী না থাকায় ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফরিদ বাবর এবং প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ এ আজাদ।
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের আপত্তি
নির্বাচনী ফল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল প্রত্যাখ্যান করে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ। তাদের দাবি, ভোটিং মেশিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছে।
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের পক্ষ থেকে ১৭ নভেম্বর রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়, ভোটিং মেশিন কর্তৃপক্ষের আচরণ, ভোট শুরু করতে দেরি করা, না জানিয়ে ভোটগ্রহণ কাজে আরও দুটি মেশিন যোগ করা, ভোট শেষে বুথওয়ারি ফল প্রকাশ না করার কারণে তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু করে ভোটের সারা দিন নির্বাচন কমিশনের আচরণ ছিল ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের বিপক্ষে।
পরে রাতে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।
এ নিয়ে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের নেতারা সন্দ্বীপ সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছে। এ বৈঠক বিষয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের অসন্তোষ
ফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য এম রহমান সুজন ও লুৎফুল করিম ভোটিং মেশিন ও ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে কিছু অসন্তোষের কথা তুলে ধরলেও ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্যাখ্যা
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের ফল প্রত্যাখ্যানের ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুচ্ছাপা বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা পাঁচজন কমিশনার মিলে চেষ্টা করেছি একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে। আমি মনে করি, সেটা আমরা করতে পেরেছি। নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে বলে এমন দাবি ভিত্তিহীন।
‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পরিষদের বক্তব্য
নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান বিষয়ে এই পরিষদের প্রধান আবদুল হান্নান পান্নার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো জালিয়াতি হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমরা যত দূর জেনেছিলাম, নির্বাচন কমিশন যে ভোটিং সিস্টেম ভাড়া করেছে, তা আমেরিকায় খুব প্রসিদ্ধ ও বিশ্বস্ত। এখন কেউ সে সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আমাদের কি করার আছে। এটি অভিযোগকারী আর নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলে মন্তব্য করেন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত আবদুল হান্নান পান্না। (প্রথম আলো)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

পান্না-আলাউদ্দিন প্যানেল জয়ী

প্রকাশের সময় : ০৪:৩২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আলাউদ্দিন (বামে) ও সভাপতি আবদুল হান্নান পান্না (ডানে)
সোহেল মাহমুদ: সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএর নির্বাচনে আবদুল হান্নান পান্না ও এ এস এম আলাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পূর্ণ প্যানেল জয় লাভ করেছে। এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ তাৎক্ষণিকভাবে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন আমেরিকা প্রবাসী কয়েক হাজার সন্দ্বীপবাসী। সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএর নেতৃত্ব ঠিক করে দিয়েছেন তারা এই ভোটের মাধ্যমে।
১৭ নভেম্বর ব্রুকলীনের পাবলিক স্কুল ওয়ান সেভেনটি নাইনে সোসাইটির নেতৃত্ব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত দুই হাজার ৪০০-এর বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, আবদুল হান্নান পান্না ও এ এস এম আলাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পূর্ণ প্যানেল জয় লাভ করেছে। তবে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ।
সোসাইটির নির্বাচনকে ঘিরে এক মাস ধরে উৎসবের আমেজ ছিল ব্রুকলীনে। আমেরিকায় বসবাসকারী সন্দ্বীপবাসীদের সংগঠন হলেও সন্দ্বীপ সোসাইটি ইউএসএ ব্রুকলীনের কেনসিংটনভিত্তিক। নির্বাচনও হয়েছে ব্রুকলীনের পাবলিক স্কুল ওয়ান সেভেনটি নাইনে। ১৭ নভেম্বর সকালে দলে দলে ভোটাররা এসে জড়ো হয় ভোটকেন্দ্রের সামনে। আশপাশের স্টেট ও নিউইয়র্কের দূরবর্তী শহর বাফেলো থেকে সন্দ্বীপবাসীরা আসেন ভোট দিতে।
এ নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ ছাড়া সভাপতি পদে এককভাবে নির্বাচন করেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম।
প্রাপ্ত ভোট ও বিজয়ী প্রার্থীরা
সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন আবদুল হান্নান পান্না, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ হাজার ৪৬৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীী নুরুল আমিন পেয়েছেন ৯১২ ভোট ও মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম ২১ ভোট। সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ হেলাল (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৯৫ ভোট ও প্রতিদ্বন্দ্বী এ কে মিয়া হানিফ পেয়েছেন ৯৬৯ ভোট। সহসভাপতি (১) পদে মজহারুল ইসলাম সাহাবউদ্দিন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩৪০ ও প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৮৪২ ভোট। সহসভাপতি (২) পদে মোহাম্মদ কাশেম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৬৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান পেয়েছেন ৯৪৪ ভোট। সহসভাপতি (৩) পদে ফসিউল আলম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৪৪ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আজিজ উল্লাহ পেয়েছেন ৮৮২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে এ এস এম আলাউদ্দিন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩০৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ১২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মেজবাহ উদ্দীন মনির (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৩ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুর আর চৌধুরী পেয়েছেন ৯৮০ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ কে সর্দার (বিজয়ী) পেয়েছেন ১৩৭৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন পেয়েছেন ৯০৩ ভোট। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৮০ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সোহেল পেয়েছেন ৯৮৬ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। সহ কোষাধ্যক্ষ পদে রিদওয়ানুল বারী (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩০১ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী নাসির উদ্দীন পেয়েছেন ৯৭৩ ভোট। সমাজকল্যাণ ও বিনোদন সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দীন আহমেদ আরিফ (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৫৮ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ফারুক পেয়েছেন ৯৯৫ ভোট। ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে আহমেদ সোহেল জাহাঙ্গীর (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩১৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিজামুল ইসলাম সিজার পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সম্পাদক পদে এইচ এম এস ইসলাম অরিক (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩২৭ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মোসলিম উদ্দীন পেয়েছেন ৯২৩ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে শাফায়েত হোসেন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ৩৪৬ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী ইদ্রিস আলম আলো পেয়েছেন ৯১০ ভোট। মূলধারা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মাঈন উদ্দীন দিদার (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৯২ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ এ রাসুল ছোটন পেয়েছেন ৯৪৩ ভোট। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ এম উদ্দীন (বিজয়ী) পেয়েছেন এক হাজার ২৮৪ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোক্তাদের মাওলা পেয়েছেন ৯৮৩ ভোট।
১৯টি পদের মধ্যে দু’টিতে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের প্রার্থী না থাকায় ‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফরিদ বাবর এবং প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ এ আজাদ।
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের আপত্তি
নির্বাচনী ফল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফল প্রত্যাখ্যান করে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদ। তাদের দাবি, ভোটিং মেশিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছে।
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের পক্ষ থেকে ১৭ নভেম্বর রাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করা হয়, ভোটিং মেশিন কর্তৃপক্ষের আচরণ, ভোট শুরু করতে দেরি করা, না জানিয়ে ভোটগ্রহণ কাজে আরও দুটি মেশিন যোগ করা, ভোট শেষে বুথওয়ারি ফল প্রকাশ না করার কারণে তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু করে ভোটের সারা দিন নির্বাচন কমিশনের আচরণ ছিল ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের বিপক্ষে।
পরে রাতে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।
এ নিয়ে ‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের নেতারা সন্দ্বীপ সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছে। এ বৈঠক বিষয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্যের অসন্তোষ
ফল ঘোষণার সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য এম রহমান সুজন ও লুৎফুল করিম ভোটিং মেশিন ও ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে কিছু অসন্তোষের কথা তুলে ধরলেও ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ব্যাখ্যা
‘আমিন-সাইফুল’ পরিষদের ফল প্রত্যাখ্যানের ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুচ্ছাপা বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা পাঁচজন কমিশনার মিলে চেষ্টা করেছি একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে। আমি মনে করি, সেটা আমরা করতে পেরেছি। নির্বাচনে জালিয়াতি হয়েছে বলে এমন দাবি ভিত্তিহীন।
‘পান্না-আলাউদ্দিন’ পরিষদের বক্তব্য
নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান বিষয়ে এই পরিষদের প্রধান আবদুল হান্নান পান্নার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো জালিয়াতি হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমরা যত দূর জেনেছিলাম, নির্বাচন কমিশন যে ভোটিং সিস্টেম ভাড়া করেছে, তা আমেরিকায় খুব প্রসিদ্ধ ও বিশ্বস্ত। এখন কেউ সে সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আমাদের কি করার আছে। এটি অভিযোগকারী আর নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলে মন্তব্য করেন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত আবদুল হান্নান পান্না। (প্রথম আলো)