নিউইয়র্ক ১১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্ক সিটিতে হত্যাকান্ড ৫০০ : যুক্তরাষ্ট্রে গতবছর রেকর্ড সংখ্যক ২১,৫০০ খুন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে রেকর্ড সংখ্যক ২১ হাজার ৫০০ জন খুন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্ক সিটিতেই ৫০০ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের খুনের ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এফবিআই। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধু খুন নয়, আমেরিকায় অস্ত্র বিক্রির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে খুনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে এফবিআই। রিপোর্ট প্রকাশের সময় অবশ্য এফবিআই আরো একটি বিষয় জানিয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২০ সালে আমেরিকায় খুনের সংখ্যা বাড়লেও তা ১৯৮০-৯০ সালের খুনের সংখ্যার ধারেকাছে নেই। সে সময় সংখ্যাটি কয়েকগুণ বেশি ছিল বলে তারা জানিয়েছে।
এফবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, ৭৭ শতাংশ মানুষ খুন হয়েছেন বন্দুকের গুলিতে। ২০১৯ সালে যা ৭৪ শতাংশ ছিল। সহিংস অপরাধের পরিমাণ ২০১৯ সালের চেয়ে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, আমেরিকার দক্ষিণাংশে অপরাধের প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। অস্ত্র বিক্রির হার সবচেয়ে বেশি টেক্সাসে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাকালে মানুষের হতাশা বেড়েছে। সে কারণেই অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ একদিকে যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে সহিংসতার পরিমাণ। কিন্তু কীভাবে এ প্রবণতাকে বদলানো সম্ভব, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট অভিমতে পৌছাতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। ভোটপ্রচারের সময় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, অস্ত্র বিক্রি নিয়ে তার প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে। ক্ষমতায় আসার পরে এখনো সে বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এফবিআইয়ের রিপোর্ট সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে কি না, সেটাই এখন দেখার। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
নিউইয়র্ক সিটিতে ৫০০ হত্যাকান্ড
এদিকে নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে অপরাধীদের দ্বারা গতবছর সিটিতে প্রায় ৫০০ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১৮১ টি বেশি। ২০১৯ সালে সিটিতে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল ৩১৯টি। সে বিচারে গত বছর সিটির অপরাধ চিত্রে সবচেয়ে সহিংস বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যদিও হত্যাকান্ডের এ পরিসংখ্যান ১৯৯০ সালের হত্যাকান্ডের সংখ্যাকে অতিক্রম করেনি, কিন্তু অপরাধ চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সামগ্রিকভাবে নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে নিউইয়র্কে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল ২,২০০টি। গতবছর শিকাগোতে হত্যাকান্ড হয়েছে ৭৭১টি, যা গতবছর ছিল প্রায় ৫০০ এবং ১৯৯২ সালে ছিল ৯৩৯। অন্যদিকে লস এঞ্জেলেস এ গতবছর হত্যাকান্ড ঘটেছে ৩৫১টি, ২০১৯ সালে ১৫৮টি এবং ১৯৮০ সালে সর্বোচ্চ ১,০১০টি।
পুলিশ কর্তৃক মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে পুলিশী তৎপরতায় জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনার পর সর্বত্র পপ্রতিবাদ উঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল, যদিও বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন যে, কেন হত্যাকান্ড ঘটেছিল বা কী করণীয় ছিল। অনৈকে যুক্তি প্রদর্শন করেন যে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারীদের অনেক সময় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধার মুখোমুখি হতে হয় এবং আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে চারদিক থেকে যে প্রতিবাদ উঠে এবং কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে তা আইনপ্রয়োগকারীদের নৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়। ফলে এমনও দেখা যায় যে, অনেক সময় কোন অপরাধ ঘটতে দেখলেও আইন প্রয়োগকারীরা নিজেদেরকে অপরাধ দমন থেকে সরিয়ে নেন। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হয় এবং সাম্প্রতিককালে সমগ্রদেশে হত্যাকান্ড বেড়ে চলার মধ্যে পুলিশের নিস্ক্রীয়তাও কম দায়ী নয় বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো, বিশেষ করে মানুষ যাতে আইনকে হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা এবং পুলিশের মাঝে স্বল্প নৈতিক মনোবল থাকার কারণে পুলিশ প্রো-অ্যাকটিভ হতে পারে না। কারণ তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তাদের উর্ধতনরা তাদের অ্যাকশনকে সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে তারা দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভুগে। পুলিশ অফিসাররা সাম্প্রতিক জামিন বিধি সংস্কারকেও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির একটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যান্য ফ্যাক্টরের মধ্যে স্থায়ীভাবে বিদ্যমান মাদক, অর্থ ও আগ্নেয়াস্ত্রের সমন্বয়ও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে অবদান রাখছে। নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্ক পুলিশ বিভাগের হত্যাকান্ড তদন্ত তদারককারী লিজ থমসন এর মতে, অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে দারিদ্র ও মানসিক স্বাস্থ্য, মাদকসেবনের মত বিষয়গুলো বিশেষভাবে জড়িত। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সৃষ্ট দ্ব›েদ্বও হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটে চলেছে। এমনকি করোনা মহামারীর আগেও দেখা গেছে যে মানুষ বেশি স্পর্শকাতর হয়ে গেছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কলহও হত্যাকান্ডে পর্যবসিত হচ্ছে, যা মহামারীর সময়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। (সাপ্তাহিক বাংলাদেশ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিউইয়র্ক সিটিতে হত্যাকান্ড ৫০০ : যুক্তরাষ্ট্রে গতবছর রেকর্ড সংখ্যক ২১,৫০০ খুন

প্রকাশের সময় : ১০:০০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১

হককথা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে রেকর্ড সংখ্যক ২১ হাজার ৫০০ জন খুন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্ক সিটিতেই ৫০০ খুনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২০ সালের খুনের ঘটনা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এফবিআই। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শুধু খুন নয়, আমেরিকায় অস্ত্র বিক্রির পরিমাণও আগের চেয়ে বেড়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে খুনের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে এফবিআই। রিপোর্ট প্রকাশের সময় অবশ্য এফবিআই আরো একটি বিষয় জানিয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় ২০২০ সালে আমেরিকায় খুনের সংখ্যা বাড়লেও তা ১৯৮০-৯০ সালের খুনের সংখ্যার ধারেকাছে নেই। সে সময় সংখ্যাটি কয়েকগুণ বেশি ছিল বলে তারা জানিয়েছে।
এফবিআইয়ের রিপোর্ট বলছে, ৭৭ শতাংশ মানুষ খুন হয়েছেন বন্দুকের গুলিতে। ২০১৯ সালে যা ৭৪ শতাংশ ছিল। সহিংস অপরাধের পরিমাণ ২০১৯ সালের চেয়ে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে, আমেরিকার দক্ষিণাংশে অপরাধের প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে। অস্ত্র বিক্রির হার সবচেয়ে বেশি টেক্সাসে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনাকালে মানুষের হতাশা বেড়েছে। সে কারণেই অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ একদিকে যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে সহিংসতার পরিমাণ। কিন্তু কীভাবে এ প্রবণতাকে বদলানো সম্ভব, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট অভিমতে পৌছাতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। ভোটপ্রচারের সময় আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, অস্ত্র বিক্রি নিয়ে তার প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে। ক্ষমতায় আসার পরে এখনো সে বিষয়ে বাইডেন প্রশাসন তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এফবিআইয়ের রিপোর্ট সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করে কি না, সেটাই এখন দেখার। সূত্র: রয়টার্স, এপি।
নিউইয়র্ক সিটিতে ৫০০ হত্যাকান্ড
এদিকে নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ প্রবণতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে অপরাধীদের দ্বারা গতবছর সিটিতে প্রায় ৫০০ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে, যা ২০১৯ সালের চেয়ে ১৮১ টি বেশি। ২০১৯ সালে সিটিতে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল ৩১৯টি। সে বিচারে গত বছর সিটির অপরাধ চিত্রে সবচেয়ে সহিংস বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যদিও হত্যাকান্ডের এ পরিসংখ্যান ১৯৯০ সালের হত্যাকান্ডের সংখ্যাকে অতিক্রম করেনি, কিন্তু অপরাধ চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সামগ্রিকভাবে নিউইয়র্ক সিটিতে অপরাধ বেড়েছে। ১৯৯০ সালে নিউইয়র্কে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল ২,২০০টি। গতবছর শিকাগোতে হত্যাকান্ড হয়েছে ৭৭১টি, যা গতবছর ছিল প্রায় ৫০০ এবং ১৯৯২ সালে ছিল ৯৩৯। অন্যদিকে লস এঞ্জেলেস এ গতবছর হত্যাকান্ড ঘটেছে ৩৫১টি, ২০১৯ সালে ১৫৮টি এবং ১৯৮০ সালে সর্বোচ্চ ১,০১০টি।
পুলিশ কর্তৃক মিনেসোটার মিনিয়াপলিসে পুলিশী তৎপরতায় জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনার পর সর্বত্র পপ্রতিবাদ উঠা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল, যদিও বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন যে, কেন হত্যাকান্ড ঘটেছিল বা কী করণীয় ছিল। অনৈকে যুক্তি প্রদর্শন করেন যে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারীদের অনেক সময় আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধার মুখোমুখি হতে হয় এবং আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে গেলে চারদিক থেকে যে প্রতিবাদ উঠে এবং কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে তা আইনপ্রয়োগকারীদের নৈতিক মনোবল ভেঙে দেয়। ফলে এমনও দেখা যায় যে, অনেক সময় কোন অপরাধ ঘটতে দেখলেও আইন প্রয়োগকারীরা নিজেদেরকে অপরাধ দমন থেকে সরিয়ে নেন। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হয় এবং সাম্প্রতিককালে সমগ্রদেশে হত্যাকান্ড বেড়ে চলার মধ্যে পুলিশের নিস্ক্রীয়তাও কম দায়ী নয় বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো, বিশেষ করে মানুষ যাতে আইনকে হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতা এবং পুলিশের মাঝে স্বল্প নৈতিক মনোবল থাকার কারণে পুলিশ প্রো-অ্যাকটিভ হতে পারে না। কারণ তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তাদের উর্ধতনরা তাদের অ্যাকশনকে সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে তারা দ্বিধাদ্ব›েদ্ব ভুগে। পুলিশ অফিসাররা সাম্প্রতিক জামিন বিধি সংস্কারকেও অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির একটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। অন্যান্য ফ্যাক্টরের মধ্যে স্থায়ীভাবে বিদ্যমান মাদক, অর্থ ও আগ্নেয়াস্ত্রের সমন্বয়ও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে অবদান রাখছে। নিউ মেক্সিকোর আলবুকার্ক পুলিশ বিভাগের হত্যাকান্ড তদন্ত তদারককারী লিজ থমসন এর মতে, অপরাধ বৃদ্ধির পেছনে দারিদ্র ও মানসিক স্বাস্থ্য, মাদকসেবনের মত বিষয়গুলো বিশেষভাবে জড়িত। এছাড়া আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সৃষ্ট দ্ব›েদ্বও হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটে চলেছে। এমনকি করোনা মহামারীর আগেও দেখা গেছে যে মানুষ বেশি স্পর্শকাতর হয়ে গেছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কলহও হত্যাকান্ডে পর্যবসিত হচ্ছে, যা মহামারীর সময়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। (সাপ্তাহিক বাংলাদেশ)