নিউইয়র্ক ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে পবিত্র রমজানের আগাম প্রস্তুতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০১৫
  • / ১২২৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: আরবী ক্যালেন্ডারে রজব মাস চলছে। এরপর শাবান মাস গেলেই পবিত্র রমজান মাস। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় ১৮ জুন থেকে পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার কথা। আসছে রমজান উপলক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এদিকে চলতি বছর থেকে নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ছুটি থাকায় মুসলিম কমিউনিটিতে ‘বিব্রতকর পরিস্থিতি’র অবসান হতে যাচ্ছে। সিটি কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের দুই ঈদে ছুটি ঘোষণা করায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা’য় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি না থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হতো। ফলে অনেক পরিবারেই ঈদের আনন্দ ম্লান হতো। এবার আর সেই আশংকা নেই।
কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটি পরিচালিত বিভিন্ন মসজিদ কমিটি পবিত্র রমজানের প্রস্তুুতি হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবছরও ‘রমজান ক্যালেন্ডার’ উদ্যোগ নিচ্ছেন। পাশাপাশি চিন্তা-ভাবনা করছেন বিগত বছরগুলো তুলেনায় আরো ভালো ও সুন্দর পরিবেশে মসজিদগুলোতে তারাবিহর নামাজ আদায় করা যায়। এজন্য ভালো হাফেজ নিয়োগেরও প্রস্তুুতি চলছে। অপরদিকে রমজান মাসের ইফতারীর সময় রোজাদারদের অন্যতম প্রধান খাবার ‘বুট-মুড়ি’ বিশেষ করে মুড়ি আমদারীর জন্য বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারীগুলো ঢাকায় রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কেননা, সকল নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশ থেকে পণ্য সামগ্রী আসতে বেশ সময় লেগে যায়। পাশাপাশি পোশাক-পরিচ্ছেদের স্টোরগুলো রমজান পরবর্তী পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাহিদা মোতাবেক নতুন ধরনের পোশাক আমদানীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য ঢাকা ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের সাথেও কেউ কেউ যোগাযোগ করছেন। অনেক প্রবাসী স্বজনদের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নতুন পোশাক আনার চেষ্টা করছেন।
পবিত্র রমজানের আগাম প্রস্তুতি সম্পর্কে কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও ফাতেমা গ্রোসারীর অন্যতম স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, রমজান মাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু বলার সময় আসেনি। তবে বলা যায় ব্যবসায়ীরা ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রমজান শুরু হওয়ার কথা। এরখন এপ্রিল মাস। রমজান মাসের দ্রব্য-সমাগ্রীর জন্য এখনো হাতে বেশ সময় রয়েছে। তিনি বলেন, রমজান মাসের চাহিদার সামগ্রীর মধ্যে থাকে ছোলা বুট, মুড়ি, খেজুর সহ শাক-শবজি আর পিয়াজ। এসব সামগ্রীর অধিকাংশ আমদানী হয় পোর্টোরিকান ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তান থেকে। বাংলাদেশ থেকে বেশী চাহিদা থাকে মুড়ির।
ব্রঙ্কসের প্রতিদিন ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী আফজাল জানান, প্রতি বছর দুই ঈদে আমাদের ক্রেতাদের জন্য লেটেস্ট মডেলের জামা-কাপড় উপহার দেয়ার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে নতুন ডিজাইনের পোশাক-পরিচ্ছদসহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই আমরা আমাদের ক্রেতাদের কাছে তাদের পছন্দের সামগ্রী সুলভ মূল্যে তুলে দিতে পারবো।
জ্যামাইকায় বসবাসরত গৃহবধু মাহমুদা খাতুন শেফালী এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, আগামী ঈদে বাচ্চার স্কুলে ছুটি থাকবে। এটি একটি শুভ সংবাদ। আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। তিনি বলেন, ঈদের জন্য নতুন পোশাক ক্রয় করবো এখানেই। তবে দেশ থেকে কেউ আসলে তার মাধ্যমে নতুন পোষাক আনার চেষ্টা করবো। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে পবিত্র রমজানের আগাম প্রস্তুতি

প্রকাশের সময় : ১০:৪৭:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০১৫

নিউইয়র্ক: আরবী ক্যালেন্ডারে রজব মাস চলছে। এরপর শাবান মাস গেলেই পবিত্র রমজান মাস। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় ১৮ জুন থেকে পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার কথা। আসছে রমজান উপলক্ষ্যে ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিতে শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি। এদিকে চলতি বছর থেকে নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ছুটি থাকায় মুসলিম কমিউনিটিতে ‘বিব্রতকর পরিস্থিতি’র অবসান হতে যাচ্ছে। সিটি কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের দুই ঈদে ছুটি ঘোষণা করায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা’য় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি না থাকায় অনেক সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হতো। ফলে অনেক পরিবারেই ঈদের আনন্দ ম্লান হতো। এবার আর সেই আশংকা নেই।
কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটি পরিচালিত বিভিন্ন মসজিদ কমিটি পবিত্র রমজানের প্রস্তুুতি হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবছরও ‘রমজান ক্যালেন্ডার’ উদ্যোগ নিচ্ছেন। পাশাপাশি চিন্তা-ভাবনা করছেন বিগত বছরগুলো তুলেনায় আরো ভালো ও সুন্দর পরিবেশে মসজিদগুলোতে তারাবিহর নামাজ আদায় করা যায়। এজন্য ভালো হাফেজ নিয়োগেরও প্রস্তুুতি চলছে। অপরদিকে রমজান মাসের ইফতারীর সময় রোজাদারদের অন্যতম প্রধান খাবার ‘বুট-মুড়ি’ বিশেষ করে মুড়ি আমদারীর জন্য বাংলাদেশী মালিকানাধীন গ্রোসারীগুলো ঢাকায় রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কেননা, সকল নিয়মকানুন মেনে বাংলাদেশ থেকে পণ্য সামগ্রী আসতে বেশ সময় লেগে যায়। পাশাপাশি পোশাক-পরিচ্ছেদের স্টোরগুলো রমজান পরবর্তী পবিত্র ঈদুল ফিতরের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের চাহিদা মোতাবেক নতুন ধরনের পোশাক আমদানীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য ঢাকা ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের সাথেও কেউ কেউ যোগাযোগ করছেন। অনেক প্রবাসী স্বজনদের মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নতুন পোশাক আনার চেষ্টা করছেন।
পবিত্র রমজানের আগাম প্রস্তুতি সম্পর্কে কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও ফাতেমা গ্রোসারীর অন্যতম স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার বলেন, রমজান মাসের প্রস্তুতি সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু বলার সময় আসেনি। তবে বলা যায় ব্যবসায়ীরা ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রমজান শুরু হওয়ার কথা। এরখন এপ্রিল মাস। রমজান মাসের দ্রব্য-সমাগ্রীর জন্য এখনো হাতে বেশ সময় রয়েছে। তিনি বলেন, রমজান মাসের চাহিদার সামগ্রীর মধ্যে থাকে ছোলা বুট, মুড়ি, খেজুর সহ শাক-শবজি আর পিয়াজ। এসব সামগ্রীর অধিকাংশ আমদানী হয় পোর্টোরিকান ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তান থেকে। বাংলাদেশ থেকে বেশী চাহিদা থাকে মুড়ির।
ব্রঙ্কসের প্রতিদিন ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী আফজাল জানান, প্রতি বছর দুই ঈদে আমাদের ক্রেতাদের জন্য লেটেস্ট মডেলের জামা-কাপড় উপহার দেয়ার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে নতুন ডিজাইনের পোশাক-পরিচ্ছদসহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানীর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই আমরা আমাদের ক্রেতাদের কাছে তাদের পছন্দের সামগ্রী সুলভ মূল্যে তুলে দিতে পারবো।
জ্যামাইকায় বসবাসরত গৃহবধু মাহমুদা খাতুন শেফালী এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে জানান, আগামী ঈদে বাচ্চার স্কুলে ছুটি থাকবে। এটি একটি শুভ সংবাদ। আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবো। তিনি বলেন, ঈদের জন্য নতুন পোশাক ক্রয় করবো এখানেই। তবে দেশ থেকে কেউ আসলে তার মাধ্যমে নতুন পোষাক আনার চেষ্টা করবো। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)