নিউইয়র্ক ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আ. লীগের অত্যাচার-নিপীড়ণ-নির্যাতনে দূরবস্থা বিএনপির নয়, দেশের : আব্দুস সালাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৭৪৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক বিএনপি প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নিপীড়ণ-নির্যাতন, হামলা, মামলা, গুম-খুন, জেল-জুলুমে দেশবাসী আজ অতিষ্ঠ। তিনি বলেন, দূরবস্থা বিএনপির নয়, দেশের। রাজনীতি করতে হলে এসব নির্যাতন সহ্য করতে হয়। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া যায় না। সুষ্ঠু রাজনীতি ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত হয় না, দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন, জিয়া-খালেদা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ আর বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তাই বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ হাটবাজার পার্টি হলে ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম উরোক্ত কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও কেন্দ্রীয় জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্ল, সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও এমদাদুল হক কামাল এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার মোশাররফ হোসেন খোকন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম মজনু। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ জুয়েল ও আজাদ বাকির, বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, বদিউল আলম, সুরুজ্জামান মিয়া, ডা তারেক জামান, এডভোকেট কাজী খায়রুল বাসান, ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, আমিরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ হায়দার আলী প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ ইউএসএ’র সভাপতি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা পারভেজ সাজ্জাদ। খবর ইউএনএ’র।
সভায় কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশের মানুষ আমাদের মতো নেতা দেখে ভোট দেনা তারা জিয়া-খালেদাকে দেখে ভোট দেন। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তােিক আছে। আমাদের ভুল-ত্রুটি শুধরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। রাজনীতিতে রাইট ট্র্যাকে থাকতে হবে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের পুলিশ-র‌্যাব আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। সরকার ৪/৫জনকে এক সাথে সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। এই পরিস্থিতির আবসান দরকার। পাশাপাশি তিনি বলেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যেই নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, আরেক মোস্তাকের জন্ম হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে।
আব্দুস সালাম বিএনপির দূর্দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় বেবী নাজনীন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পিতৃতুল্য আর বেগম খালেদা জিয়াকে মাতৃতুল্য মর্যাদার মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবী করেন।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, জিয়াউর রহমান খাটি দেশপ্রেমিক আর সৎ মানুষ ছিলেন বলেই বহুদলীয় রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। দেশের ভালো মানুষদের তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তার আদর্শ যতদিন থাকবে, ততদিন বিএনপি থাকবে। তিনিও দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জিল্লুর রহমান জিল্লু দল ও দেশের প্রয়োজনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুখে মুখে ঐক্যের কথা বললে চলবে না। আন্তরিকতার সাথে ঐক্যের কথা বলতে হবে, সভা-সমাবেশে আসতে হবে। তিনি বলেন, সবাই মিলেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দলে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার বলেন, ভূয়া কাজ-কারবারী, দূর্নীতিবাজ, মিথ্যাবাদী, অপরাধে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্তরা বিএনপির নেতা-কর্মী হওয়ার পরিচয় দেয় কিভাবে তা দেখতে হবে। আমাওদরকে বিএনপি’র সাচ্চা নেতা-কর্মী চিহ্নিত করতে হবে।
সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার জন্য শক্তিশালী কমিটি দরকার। আর কমিটির নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ শুনা যাচ্ছে। এটা দলের জন্য ভালো না। আমরা কোন কিছু পাবার জন্য নয়, দলের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করি। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের অনুসারী। শহীদ জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জিয়ার সেই বহুদলীয় গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তা তাদের বক্তব্যে হাসিনা সরকারকে নব্য স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের পথে হাটছেন। আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। সভায় কোন কোন বক্তা ঢাকায় দলের আন্দোল-সংগ্রাম ও মিছিলে নেতাদের অনুপস্থিতিরও সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দাবী করেন। কেউ কেউ বলেন বহি:বিশ্বে বিএনপির লবিং গ্রুপ নেই, বন্ধু রাষ্ট্র নেই বলেই আজ বিএনপির এই অবস্থা। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সব ধরনের বিভক্তি পরিহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময় আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহবান জানানো হয়। এছাড়া ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচির সমর্থনে বাংলাদেশী অধ্যুষিত সিটিসমূহে জনসংযোগ কর্মসূচি চালানোর জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সভাপতি বিলাল চৌধুরী সহ মার্শাল মুরাদ, মনির হোসেন লিটন, আব্দুল মালেক মালু, জামান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আ. লীগের অত্যাচার-নিপীড়ণ-নির্যাতনে দূরবস্থা বিএনপির নয়, দেশের : আব্দুস সালাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিএনপির ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ডেপুটি মেয়র আব্দুস সালাম স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কর্তৃক বিএনপি প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেছেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নিপীড়ণ-নির্যাতন, হামলা, মামলা, গুম-খুন, জেল-জুলুমে দেশবাসী আজ অতিষ্ঠ। তিনি বলেন, দূরবস্থা বিএনপির নয়, দেশের। রাজনীতি করতে হলে এসব নির্যাতন সহ্য করতে হয়। কিন্তু গণতন্ত্র ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া যায় না। সুষ্ঠু রাজনীতি ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত হয় না, দেশ চলতে পারে না। তিনি বলেন, জিয়া-খালেদা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ আর বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তাই বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ হাটবাজার পার্টি হলে ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম উরোক্ত কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মজিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী ও কেন্দ্রীয় জাসাস নেত্রী বেবী নাজনীন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্ল, সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, মনজুর আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও এমদাদুল হক কামাল এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার মোশাররফ হোসেন খোকন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি শামসুল ইসলাম মজনু। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ জুয়েল ও আজাদ বাকির, বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান চৌধুরী, বদিউল আলম, সুরুজ্জামান মিয়া, ডা তারেক জামান, এডভোকেট কাজী খায়রুল বাসান, ডা. জাহিদ দেওয়ান শামীম, আমিরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ হায়দার আলী প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ ইউএসএ’র সভাপতি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা পারভেজ সাজ্জাদ। খবর ইউএনএ’র।
সভায় কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশের মানুষ আমাদের মতো নেতা দেখে ভোট দেনা তারা জিয়া-খালেদাকে দেখে ভোট দেন। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তােিক আছে। আমাদের ভুল-ত্রুটি শুধরে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। রাজনীতিতে রাইট ট্র্যাকে থাকতে হবে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দেশের পুলিশ-র‌্যাব আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছে। সরকার ৪/৫জনকে এক সাথে সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। এই পরিস্থিতির আবসান দরকার। পাশাপাশি তিনি বলেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যেই নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, আরেক মোস্তাকের জন্ম হয়েছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে।
আব্দুস সালাম বিএনপির দূর্দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় বেবী নাজনীন তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পিতৃতুল্য আর বেগম খালেদা জিয়াকে মাতৃতুল্য মর্যাদার মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন এবং গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি দাবী করেন।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বিএনপি প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, জিয়াউর রহমান খাটি দেশপ্রেমিক আর সৎ মানুষ ছিলেন বলেই বহুদলীয় রাজনীতি কায়েম করেছিলেন। দেশের ভালো মানুষদের তিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তার আদর্শ যতদিন থাকবে, ততদিন বিএনপি থাকবে। তিনিও দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জিল্লুর রহমান জিল্লু দল ও দেশের প্রয়োজনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মুখে মুখে ঐক্যের কথা বললে চলবে না। আন্তরিকতার সাথে ঐক্যের কথা বলতে হবে, সভা-সমাবেশে আসতে হবে। তিনি বলেন, সবাই মিলেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দলে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার বলেন, ভূয়া কাজ-কারবারী, দূর্নীতিবাজ, মিথ্যাবাদী, অপরাধে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্তরা বিএনপির নেতা-কর্মী হওয়ার পরিচয় দেয় কিভাবে তা দেখতে হবে। আমাওদরকে বিএনপি’র সাচ্চা নেতা-কর্মী চিহ্নিত করতে হবে।
সামসুল ইসলাম মজনু বলেন, সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার জন্য শক্তিশালী কমিটি দরকার। আর কমিটির নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ শুনা যাচ্ছে। এটা দলের জন্য ভালো না। আমরা কোন কিছু পাবার জন্য নয়, দলের জন্য, দেশের জন্য রাজনীতি করি। আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শের অনুসারী। শহীদ জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। জিয়ার সেই বহুদলীয় গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তা তাদের বক্তব্যে হাসিনা সরকারকে নব্য স্বৈরাচারী সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, অবৈধ সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের পথে হাটছেন। আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। সভায় কোন কোন বক্তা ঢাকায় দলের আন্দোল-সংগ্রাম ও মিছিলে নেতাদের অনুপস্থিতিরও সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দাবী করেন। কেউ কেউ বলেন বহি:বিশ্বে বিএনপির লবিং গ্রুপ নেই, বন্ধু রাষ্ট্র নেই বলেই আজ বিএনপির এই অবস্থা। দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সব ধরনের বিভক্তি পরিহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময় আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহবান জানানো হয়। এছাড়া ‘যেখানে হাসিনা-সেখানেই প্রতিরোধ’ কর্মসূচির সমর্থনে বাংলাদেশী অধ্যুষিত সিটিসমূহে জনসংযোগ কর্মসূচি চালানোর জন্য দলীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
সভায় দলের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সহ সভাপতি আতিকুল হক আহাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, নিউইয়র্ক সিটি যুবদলের সভাপতি বিলাল চৌধুরী সহ মার্শাল মুরাদ, মনির হোসেন লিটন, আব্দুল মালেক মালু, জামান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।