নিউইয়র্ক ০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ষ্টেট আ.লীগ এক ব্যক্তির পকেটে : নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগে বিভক্তি স্পষ্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০১৫
  • / ৭০৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন করে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ আর পকেট সংগঠনে পরিণত হয়েছে ষ্টেট আওয়ামী লীগ। এনিয়ে বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা। অনুসন্ধানে এমনি তথ্য জানা গেছে।
প্রায় তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মজিবুর রহমান মিয়া ও শাহীন আজমল শাহীনকে ষ্টেট আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কমান্ডার নুরন নবী ও এমদাদ চৌধুরীকে মহানগর আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট তিন কমিটিরই দাবী তাদের কমিটি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত। তাদের আরো দাবী এই তিন কমিটি কোন কমিটির উপর কর্তৃত্ব বা খবরদাবী করার ক্ষমতা রাখে না। কমিটি তিনটির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সভানেত্রী শেখ হাসিনার। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেউ কাউকেই মানছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার কারলেও সেই সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছেন না জাকারিয়া চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নবী। অপরদিকে সম্প্রতি ঢাকা সফর শেষে নিউইয়র্ক ফিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী জ্যাকসন হাইটসে একটি সভা করেছেন। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। একই দিন ব্রুকলীনে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি কমান্ডার নবী ও সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে আয়োজিত একই দিনে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অনুষ্ঠানকে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্তিরই বহি:প্রকাশ বলে জানিয়েছেন। আর এই বিভক্তির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন তারা।
অপরদিকে নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশী মাত্রায় ব্যস্ত থাকায় দলীয় সভা-সমাবেশে তাকে কম দেখা যাচ্ছে। তার দূর্বলতার সুযোগে সংগঠনটিকে ‘পকেট বন্দি’ করে নিজের অনুসারী নিয়ে নামেমাত্র সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল শাহীন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ যোগ দিলেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধী সভা-সমাবেশেও তাকে দেখা যায় এবং তিনি ড. সিদ্দিক-সাজ্জাদ নেতৃত্বের ‘চরম বিরোধী’ বলে জানা যায়। তার কর্মকান্ড এস্টোরিয়ার একটি রেষ্টুরেন্ট, তার সমর্থিত কতিপয় চিহ্নত নেতা-কর্মী, ব্যানার আর প্রেস বিজ্ঞপ্তির উপর সীমাবদ্ধ।
নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিধা-বিভক্তি ও সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে সভাপতি কমান্ডার নবী গত বৃহষ্প্রতিবার বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে আমরা ব্রুকলীনে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরীকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এই সমাবেশে না এসে জ্যাকসন হাইটসে পৃথক সভা করেছেন। কেন, কি জন্য তিনি পৃথক সমাবেশ করলেন তা আমাদের জানা নেই, তবে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কমান্ডার নবী বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের আবিষ্কার-বহিষ্কারের ব্যাপারে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কমিটি অনুমোদন করেছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের কোন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করতে পারেন না। জাকারিয়া চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ সঠিক হয়নি বলেই তিনি দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এমন অনেক নেতা-কর্মী আছেন যারা পদ-পদবী দখল করে ঘনঘন দেশে গিয়ে বা দেশে অবস্থান করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। আর আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে-ময়দানে রয়েছি আমাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়, বহিষ্কারের হুমকী দেয় হয়। এটা দু:খজনক।
এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে রাজী নন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী পরিবারের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান সদস্যদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বহাল রাখার প্রয়াসে তার উত্তরসূরী সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ ও পরামর্শে দল পরিচালনা করছি। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী পরিবারের সকল সদস্যই একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দুই একটি ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। (সাপ্তাহিক পরিচয়)
ষ্টেট আ.লীগ এক ব্যক্তির পকেটে সংগঠনে পরিণত
নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগে বিভক্তি স্পষ্ট : বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন করে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ আর পকেট সংগঠনে পরিণত হয়েছে ষ্টেট আওয়ামী লীগ। এনিয়ে বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা। অনুসন্ধানে এমনি তথ্য জানা গেছে।
প্রায় তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মজিবুর রহমান মিয়া ও শাহীন আজমল শাহীনকে ষ্টেট আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কমান্ডার নুরন নবী ও এমদাদ চৌধুরীকে মহানগর আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট তিন কমিটিরই দাবী তাদের কমিটি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত। তাদের আরো দাবী এই তিন কমিটি কোন কমিটির উপর কর্তৃত্ব বা খবরদাবী করার ক্ষমতা রাখে না। কমিটি তিনটির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সভানেত্রী শেখ হাসিনার। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেউ কাউকেই মানছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার কারলেও সেই সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছেন না জাকারিয়া চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নবী। অপরদিকে সম্প্রতি ঢাকা সফর শেষে নিউইয়র্ক ফিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী জ্যাকসন হাইটসে একটি সভা করেছেন। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। একই দিন ব্রুকলীনে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি কমান্ডার নবী ও সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে আয়োজিত একই দিনে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অনুষ্ঠানকে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্তিরই বহি:প্রকাশ বলে জানিয়েছেন। আর এই বিভক্তির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন তারা।
অপরদিকে নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশী মাত্রায় ব্যস্ত থাকায় দলীয় সভা-সমাবেশে তাকে কম দেখা যাচ্ছে। তার দূর্বলতার সুযোগে সংগঠনটিকে ‘পকেট বন্দি’ করে নিজের অনুসারী নিয়ে নামেমাত্র সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল শাহীন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ যোগ দিলেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধী সভা-সমাবেশেও তাকে দেখা যায় এবং তিনি ড. সিদ্দিক-সাজ্জাদ নেতৃত্বের ‘চরম বিরোধী’ বলে জানা যায়। তার কর্মকান্ড এস্টোরিয়ার একটি রেষ্টুরেন্ট, তার সমর্থিত কতিপয় চিহ্নত নেতা-কর্মী, ব্যানার আর প্রেস বিজ্ঞপ্তির উপর সীমাবদ্ধ।
নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিধা-বিভক্তি ও সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে সভাপতি কমান্ডার নবী গত বৃহষ্প্রতিবার বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে আমরা ব্রুকলীনে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরীকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এই সমাবেশে না এসে জ্যাকসন হাইটসে পৃথক সভা করেছেন। কেন, কি জন্য তিনি পৃথক সমাবেশ করলেন তা আমাদের জানা নেই, তবে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কমান্ডার নবী বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের আবিষ্কার-বহিষ্কারের ব্যাপারে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কমিটি অনুমোদন করেছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের কোন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করতে পারেন না। জাকারিয়া চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ সঠিক হয়নি বলেই তিনি দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এমন অনেক নেতা-কর্মী আছেন যারা পদ-পদবী দখল করে ঘনঘন দেশে গিয়ে বা দেশে অবস্থান করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। আর আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে-ময়দানে রয়েছি আমাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়, বহিষ্কারের হুমকী দেয় হয়। এটা দু:খজনক।
এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে রাজী নন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী পরিবারের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান সদস্যদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বহাল রাখার প্রয়াসে তার উত্তরসূরী সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ ও পরামর্শে দল পরিচালনা করছি। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী পরিবারের সকল সদস্যই একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দুই একটি ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।(সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ষ্টেট আ.লীগ এক ব্যক্তির পকেটে : নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগে বিভক্তি স্পষ্ট

প্রকাশের সময় : ০২:১২:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন করে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ আর পকেট সংগঠনে পরিণত হয়েছে ষ্টেট আওয়ামী লীগ। এনিয়ে বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা। অনুসন্ধানে এমনি তথ্য জানা গেছে।
প্রায় তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মজিবুর রহমান মিয়া ও শাহীন আজমল শাহীনকে ষ্টেট আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কমান্ডার নুরন নবী ও এমদাদ চৌধুরীকে মহানগর আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট তিন কমিটিরই দাবী তাদের কমিটি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত। তাদের আরো দাবী এই তিন কমিটি কোন কমিটির উপর কর্তৃত্ব বা খবরদাবী করার ক্ষমতা রাখে না। কমিটি তিনটির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সভানেত্রী শেখ হাসিনার। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেউ কাউকেই মানছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার কারলেও সেই সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছেন না জাকারিয়া চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নবী। অপরদিকে সম্প্রতি ঢাকা সফর শেষে নিউইয়র্ক ফিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী জ্যাকসন হাইটসে একটি সভা করেছেন। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। একই দিন ব্রুকলীনে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি কমান্ডার নবী ও সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে আয়োজিত একই দিনে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অনুষ্ঠানকে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্তিরই বহি:প্রকাশ বলে জানিয়েছেন। আর এই বিভক্তির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন তারা।
অপরদিকে নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশী মাত্রায় ব্যস্ত থাকায় দলীয় সভা-সমাবেশে তাকে কম দেখা যাচ্ছে। তার দূর্বলতার সুযোগে সংগঠনটিকে ‘পকেট বন্দি’ করে নিজের অনুসারী নিয়ে নামেমাত্র সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল শাহীন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ যোগ দিলেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধী সভা-সমাবেশেও তাকে দেখা যায় এবং তিনি ড. সিদ্দিক-সাজ্জাদ নেতৃত্বের ‘চরম বিরোধী’ বলে জানা যায়। তার কর্মকান্ড এস্টোরিয়ার একটি রেষ্টুরেন্ট, তার সমর্থিত কতিপয় চিহ্নত নেতা-কর্মী, ব্যানার আর প্রেস বিজ্ঞপ্তির উপর সীমাবদ্ধ।
নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিধা-বিভক্তি ও সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে সভাপতি কমান্ডার নবী গত বৃহষ্প্রতিবার বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে আমরা ব্রুকলীনে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরীকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এই সমাবেশে না এসে জ্যাকসন হাইটসে পৃথক সভা করেছেন। কেন, কি জন্য তিনি পৃথক সমাবেশ করলেন তা আমাদের জানা নেই, তবে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কমান্ডার নবী বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের আবিষ্কার-বহিষ্কারের ব্যাপারে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কমিটি অনুমোদন করেছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের কোন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করতে পারেন না। জাকারিয়া চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ সঠিক হয়নি বলেই তিনি দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এমন অনেক নেতা-কর্মী আছেন যারা পদ-পদবী দখল করে ঘনঘন দেশে গিয়ে বা দেশে অবস্থান করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। আর আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে-ময়দানে রয়েছি আমাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়, বহিষ্কারের হুমকী দেয় হয়। এটা দু:খজনক।
এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে রাজী নন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী পরিবারের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান সদস্যদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বহাল রাখার প্রয়াসে তার উত্তরসূরী সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ ও পরামর্শে দল পরিচালনা করছি। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী পরিবারের সকল সদস্যই একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দুই একটি ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। (সাপ্তাহিক পরিচয়)
ষ্টেট আ.লীগ এক ব্যক্তির পকেটে সংগঠনে পরিণত
নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগে বিভক্তি স্পষ্ট : বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগে নতুন করে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এই দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছে মহানগর আওয়ামী লীগ আর পকেট সংগঠনে পরিণত হয়েছে ষ্টেট আওয়ামী লীগ। এনিয়ে বিব্রত আওয়ামী পরিবারের সদস্যরা। অনুসন্ধানে এমনি তথ্য জানা গেছে।
প্রায় তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করেন। ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, মজিবুর রহমান মিয়া ও শাহীন আজমল শাহীনকে ষ্টেট আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং কমান্ডার নুরন নবী ও এমদাদ চৌধুরীকে মহানগর আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে কমিটিগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট তিন কমিটিরই দাবী তাদের কমিটি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত। তাদের আরো দাবী এই তিন কমিটি কোন কমিটির উপর কর্তৃত্ব বা খবরদাবী করার ক্ষমতা রাখে না। কমিটি তিনটির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সভানেত্রী শেখ হাসিনার। আর এই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে কেউ কাউকেই মানছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার কারলেও সেই সিদ্ধান্ত আমলে নিচ্ছেন না জাকারিয়া চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নবী। অপরদিকে সম্প্রতি ঢাকা সফর শেষে নিউইয়র্ক ফিরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী জ্যাকসন হাইটসে একটি সভা করেছেন। যেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমানসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। একই দিন ব্রুকলীনে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের সভায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি কমান্ডার নবী ও সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরীসহ তাদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে আয়োজিত একই দিনে মহানগর আওয়ামী লীগের দুই অনুষ্ঠানকে দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্তিরই বহি:প্রকাশ বলে জানিয়েছেন। আর এই বিভক্তির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকেই দায়ী করছেন তারা।
অপরদিকে নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মিয়া ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশী মাত্রায় ব্যস্ত থাকায় দলীয় সভা-সমাবেশে তাকে কম দেখা যাচ্ছে। তার দূর্বলতার সুযোগে সংগঠনটিকে ‘পকেট বন্দি’ করে নিজের অনুসারী নিয়ে নামেমাত্র সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল শাহীন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশ যোগ দিলেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরোধী সভা-সমাবেশেও তাকে দেখা যায় এবং তিনি ড. সিদ্দিক-সাজ্জাদ নেতৃত্বের ‘চরম বিরোধী’ বলে জানা যায়। তার কর্মকান্ড এস্টোরিয়ার একটি রেষ্টুরেন্ট, তার সমর্থিত কতিপয় চিহ্নত নেতা-কর্মী, ব্যানার আর প্রেস বিজ্ঞপ্তির উপর সীমাবদ্ধ।
নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বিধা-বিভক্তি ও সংগঠনের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে সভাপতি কমান্ডার নবী গত বৃহষ্প্রতিবার বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ে আমরা ব্রুকলীনে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ চৌধুরীকে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি এই সমাবেশে না এসে জ্যাকসন হাইটসে পৃথক সভা করেছেন। কেন, কি জন্য তিনি পৃথক সমাবেশ করলেন তা আমাদের জানা নেই, তবে সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কমান্ডার নবী বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের আবিষ্কার-বহিষ্কারের ব্যাপারে সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি রয়েছে। তাছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের কমিটি অনুমোদন করেছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ আমাদের কোন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করতে পারেন না। জাকারিয়া চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ সঠিক হয়নি বলেই তিনি দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে এমন অনেক নেতা-কর্মী আছেন যারা পদ-পদবী দখল করে ঘনঘন দেশে গিয়ে বা দেশে অবস্থান করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের কোন ভূমিকা নেই বললেই চলে। আর আমরা যারা যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে-ময়দানে রয়েছি আমাদেরকেই বহিষ্কার করা হয়, বহিষ্কারের হুমকী দেয় হয়। এটা দু:খজনক।
এব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে রাজী নন বলে জানান। তবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী পরিবারের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান সদস্যদের নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বহাল রাখার প্রয়াসে তার উত্তরসূরী সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশ ও পরামর্শে দল পরিচালনা করছি। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী পরিবারের সকল সদস্যই একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে তাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। দুই একটি ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়।(সাপ্তাহিক পরিচয়)