নিউইয়র্ক ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রমজানে কমিউটিতে চাহিদার পণ্য ছিলো জিলাপী আর গরুর মাংস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০১৬
  • / ৫৭৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: গেলো রমজান মাসে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিতে রেস্টুরেন্টগুওলোতে বেশী চাহিদার পণ্য ছিলো জিলাপী আর গ্রোসারীগুলোতে গরুর মাংস। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী মালিকানাধীন বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও গ্রোসারীগুলো সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, কুইন্স ব্রুকলীন ও ব্রঙ্কস এলাকার শতাধিক বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টেগুলোতে প্রতি সপ্তাহে জিলাপী বিক্রি হয়েছে ১৫/২০ হাজার পাউন্ড। এর মধ্যে শুধু জ্যাকন হাইটস এলকায় সপ্তাহে জিলাপী বিক্রির পরিমান ছিলো ৮/১০ হাজার পাউন্ড। জিলাপীর পর বিক্রির তালিকার শীর্ষে ছিলো হালিম। সেই সাথে ছিলো ছোলা বুট আর পিয়াজোঁ (ডালের বড়া)। অপরদিকে বাংলাদেশী মালিকানাধীন নিউইয়র্কের তিন শতাধিক গ্রোসারী স্টোরে সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ পাউন্ড। সাপ্তাহিক পরিচয়কে এই তথ্য জানান এনা মিটস সাপ্লাই কোম্পানীর অন্যতম স্বত্তাধীকারী মি ফয়সাল।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারীর খাবারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলো জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম সুইটস-এর জিলাপী। এই রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার শাওন ও প্রধান সেফ নাহিদ খান পরিচয়কে জানান, গড়ে প্রতিদিন প্রিমিয়াস সুইটস দেড় থেকে দুই হাজার পাউন্ড জিলাপী বিক্রি করেছে। এছাড়া জ্যাকসন হাইটস ও ব্রঙ্কস-এর বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টেগুলোতে জিলাপী সরবরাহ করেছে প্রিমিয়াম সুইটস।
প্রিমিয়াম সুইটস কয়েক রকমের জিলাপী তৈরী করেছে। এর মধ্যে ছিলো রেগুলার জিলাপী, নারিকেলে ভাজা জিলাপী, ঘিয়ে ভাজা বিশালাকৃতির জিলাপী।
এছাড়াও জ্যাকসন হাইটসের ইত্যাদী গ্রিল রেষ্টুরেন্টের জিলাপীও বিপুল সংখ্যক ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। অপর সুসাদু খাবার হালিমও রোজাদারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে প্রিমিয়াম সুইটস, খাবার বাড়ী ও আব্দুল্লাহ সুইট’র হালিম ছিলো মজাদার।
অপরদিকে গরুর মাংস বিক্রির ব্যাপারে মি. ফয়সালের বক্তব্যকে সমর্থন করে জ্যাকসন হাইটসের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রোসারী খামার বাড়ীর স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, খাবার বাড়ী সপ্তাহে ১৫টি গরুর মাংস বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, গত বছরের রমজান মাসের তুলনায় এবছর রমজানে গরুর মাংসের চাহিদা ছিালো প্রচুর।
জ্যাকসন হাইটসের মান্নান সুপার মার্কেট (দুটি ষ্টোর), খাবার বাড়ী, ইত্যাদী সুপার মার্কেট (দুটি স্টোর), তাজ গ্রোসারী, মেঘনা গ্রোসারী, তিতাস সুপার মার্কেট, একতা গ্রোসারী, জ্যামাইকার প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, মান্নান সুপার মার্কেট, ফাতেমা গ্রোসারী, কাওরান বাজার (দুটি), তিতাস সুপার মার্কেট, ওজনপার্কের মান্নান হালাল সুপার মার্কেন, এসএন আলী হালাল মিট, মদিনা গ্রোসারী, ব্রঙ্কসের ২০৫ ষ্ট্রীটের মান্নান সুপার মার্কেট, বিসমিল্লাহ গ্রোসারী, পার্ক চেষ্টারের স্টার্লিং এলাকার প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, আল আকসা মার্কেট, ফ্রেন্ডস গ্রোসারী ও পশরা গ্রোসারী, ব্রুকলীনের বাংলা নগর, সূচনা প্রভৃতি গ্রোসারীতে গরুর মাংসের চাহিদা ছিলো ব্যাপক। এছাড়াও খাসী ও মুরগীর মাংসের চাহিদাও ছিলো প্রচুর। তুলনামুলকভাবে মাছ বিক্রি ছিলো কম। (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

রমজানে কমিউটিতে চাহিদার পণ্য ছিলো জিলাপী আর গরুর মাংস

প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০১৬

নিউইয়র্ক: গেলো রমজান মাসে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটিতে রেস্টুরেন্টগুওলোতে বেশী চাহিদার পণ্য ছিলো জিলাপী আর গ্রোসারীগুলোতে গরুর মাংস। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী মালিকানাধীন বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট ও গ্রোসারীগুলো সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, কুইন্স ব্রুকলীন ও ব্রঙ্কস এলাকার শতাধিক বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টেগুলোতে প্রতি সপ্তাহে জিলাপী বিক্রি হয়েছে ১৫/২০ হাজার পাউন্ড। এর মধ্যে শুধু জ্যাকন হাইটস এলকায় সপ্তাহে জিলাপী বিক্রির পরিমান ছিলো ৮/১০ হাজার পাউন্ড। জিলাপীর পর বিক্রির তালিকার শীর্ষে ছিলো হালিম। সেই সাথে ছিলো ছোলা বুট আর পিয়াজোঁ (ডালের বড়া)। অপরদিকে বাংলাদেশী মালিকানাধীন নিউইয়র্কের তিন শতাধিক গ্রোসারী স্টোরে সপ্তাহে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ পাউন্ড। সাপ্তাহিক পরিচয়কে এই তথ্য জানান এনা মিটস সাপ্লাই কোম্পানীর অন্যতম স্বত্তাধীকারী মি ফয়সাল।
পবিত্র রমজান মাসে ইফতারীর খাবারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিলো জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম সুইটস-এর জিলাপী। এই রেষ্টুরেন্টের ম্যানেজার শাওন ও প্রধান সেফ নাহিদ খান পরিচয়কে জানান, গড়ে প্রতিদিন প্রিমিয়াস সুইটস দেড় থেকে দুই হাজার পাউন্ড জিলাপী বিক্রি করেছে। এছাড়া জ্যাকসন হাইটস ও ব্রঙ্কস-এর বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টেগুলোতে জিলাপী সরবরাহ করেছে প্রিমিয়াম সুইটস।
প্রিমিয়াম সুইটস কয়েক রকমের জিলাপী তৈরী করেছে। এর মধ্যে ছিলো রেগুলার জিলাপী, নারিকেলে ভাজা জিলাপী, ঘিয়ে ভাজা বিশালাকৃতির জিলাপী।
এছাড়াও জ্যাকসন হাইটসের ইত্যাদী গ্রিল রেষ্টুরেন্টের জিলাপীও বিপুল সংখ্যক ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে। অপর সুসাদু খাবার হালিমও রোজাদারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে প্রিমিয়াম সুইটস, খাবার বাড়ী ও আব্দুল্লাহ সুইট’র হালিম ছিলো মজাদার।
অপরদিকে গরুর মাংস বিক্রির ব্যাপারে মি. ফয়সালের বক্তব্যকে সমর্থন করে জ্যাকসন হাইটসের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রোসারী খামার বাড়ীর স্বত্তাধিকারী কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, খাবার বাড়ী সপ্তাহে ১৫টি গরুর মাংস বিক্রি করেছে। তিনি বলেন, গত বছরের রমজান মাসের তুলনায় এবছর রমজানে গরুর মাংসের চাহিদা ছিালো প্রচুর।
জ্যাকসন হাইটসের মান্নান সুপার মার্কেট (দুটি ষ্টোর), খাবার বাড়ী, ইত্যাদী সুপার মার্কেট (দুটি স্টোর), তাজ গ্রোসারী, মেঘনা গ্রোসারী, তিতাস সুপার মার্কেট, একতা গ্রোসারী, জ্যামাইকার প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, মান্নান সুপার মার্কেট, ফাতেমা গ্রোসারী, কাওরান বাজার (দুটি), তিতাস সুপার মার্কেট, ওজনপার্কের মান্নান হালাল সুপার মার্কেন, এসএন আলী হালাল মিট, মদিনা গ্রোসারী, ব্রঙ্কসের ২০৫ ষ্ট্রীটের মান্নান সুপার মার্কেট, বিসমিল্লাহ গ্রোসারী, পার্ক চেষ্টারের স্টার্লিং এলাকার প্রিমিয়াম সুপার মার্কেট, আল আকসা মার্কেট, ফ্রেন্ডস গ্রোসারী ও পশরা গ্রোসারী, ব্রুকলীনের বাংলা নগর, সূচনা প্রভৃতি গ্রোসারীতে গরুর মাংসের চাহিদা ছিলো ব্যাপক। এছাড়াও খাসী ও মুরগীর মাংসের চাহিদাও ছিলো প্রচুর। তুলনামুলকভাবে মাছ বিক্রি ছিলো কম। (সাপ্তাহিক পরিচয়)