যোগ্য সা. সম্পাদকের খোঁজে যুক্তরাষ্ট্র আ. লীগ
- প্রকাশের সময় : ১০:৪২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০১৬
- / ৫৯৬ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য নিউইয়র্ক সফরকে কেন্দ্র করে মেয়াদোত্তীর্ণ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠনের দাবী ক্রমশ: জোরদার হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দলের সর্বস্তরে নানা কথা চলছে। বিশেষ করে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য প্রার্থী খোঁজা হচ্ছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় দু’বছর হতে চললো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নিউইয়র্ক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘের এবারের অধিবেন গুরুত্ব বিধায় তাঁর নিউইয়র্ক সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহীকে জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশনে নিয়োগ দান বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সূত্রমতে, জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে ‘জঙ্গীবাদ’ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে এবং এব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পদক্ষেপ ও ভূমিকা জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিগত তিন বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সভাপতি ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে সাধারণ সম্পাদক করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করেন। কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত বছর সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে দল থেকে বহিষ্কার এবং প্রথম যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরীসহ অপর ৮ নেতাকে কারণ দর্শানোর ঘটনার প্রেক্ষিতে দলের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
সুত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের সময় সভাপতি পদে ড. সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ও নিউজার্সীর প্লেইনবরো সিটির নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান ড. নূরুন নবী ও ওয়াশিংটনে বসবাসকারী ড. শাহজাহান মাহমুদের নাম আলোচিত হলেও চুড়ান্ত পর্যায়ে ড. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি মনোনীত হন। এই কমিটিতে ড. নবী ও ড. শাহজাহজান মাহমুদকে উপদেষ্টা পদে রাখা হয়। সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি পদের জন্য ড. নূরুন নবীর ব্যাপারে সভানেত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ থাকলেও ড. নবীর ব্যক্তিগত অনাগ্রহের কারণেই সেই যাত্রায় তিনি (ড. নবী) বাদ পড়ে যান। এছাড়া গত বছর ড. শাহজাহান মাহমুদকে ঢাকায় তলব করে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। সূত্রমতে, সবদিক বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে ড. সিদ্দিকুর রহমান পুনরায় প্রার্থী। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দলের যোগ্য সাধারণ সম্পাদকের প্রার্থী নিয়ে। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে দলের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ‘অর্থ-বিত্ত-জ্ঞান-গড়িমা’ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য পেশাদারিত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব কেন্দ্রের প্রথম পছন্দ বলে সূত্র জানায়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দলের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য একাধিক নেতা আগ্রহী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ছাড়াও বৃহত্তর সিলেটবাসীদের মধ্য থেকে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। বৃহত্তর সিলেট থেকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের তালিকায় যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও আব্দুর রহিম বাদশা, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের জনসংযোগ সম্পাদক ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী কয়েস প্রমুখ। সূত্র মতে, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীরা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তাদের সমর্থক-শুভাকাঙ্খীদের মাধ্যমে কৌশলে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেই সাথে আন্ডারগ্রাউন্ডে জোর লবিং চলছে বলে সূত্র জানায়। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)