নিউইয়র্ক ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন : শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৫৭৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়েছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের লিখিত বক্তব্যে এই আহ্বান জানানো হয়। গত ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট ও সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ। এসময় উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া সহ বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, খালেক আকন্দ, ওয়ালি উল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ, রাফেল তালুকদার, সহিদুল ইসলাম সিকদার, হাবিবুর রহমান, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরাফত হোসেন বাবু বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ চরম দু:সহ যাতনার মাঝে প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার আহাজারিতে বাংলাদেশের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী হাসিনা সরকারের ফ্যাসিস্ট রাজত্ব, ব্রুটালিটি বাংলাদেশের ইতিহাসের যেকোন নশৃংসতাকে হার মানিয়েছে। ‘স্বৈরাচারী’ হাসিনা সরকার বিশ্বে সকল উন্নত দেশের অনুরোধ, পরামর্শকে তোয়াক্কা না করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। গ্রেফতার, হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, মামলা, হামলা, আগুন দিয়ে অফিস-ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি এহেন নির্মমতা নেই যা ব্রুটার হাসিনা সরকারের পেটুয়া বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডাররা করছে না।
লিখিত বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আইন-শক্সৃঙ্খলা বাহিনীকে যে কোনো উপায়ে আন্দোলন দমনের নিদের্শ দিয়েছেন। এমনকি রাষ্ট্রপতিও কঠোর হস্তে আন্দোলন দমনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যা নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদের বহি:প্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনই এখন একমাত্র সমাধান। সেই লক্ষ্যে বাংলার মানুষ লড়াই করছে। আর শেখ হাসিনা খুন করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী এদেশের ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আর সেই রক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন সাধু সাজের রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ। আজ তিনি জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে কটুক্তি করছেন। ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে যার নির্দেশে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধ দখলদার শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্র হরণ করেছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কেড়ে নিয়েছে। তার নির্মমতা এতদূর গড়িয়েছে যে, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা অসু¯’ রিজভি আহমদকে র‌্যাব দ্বারা গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিনা শর্তে তাঁকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতার অফিসকে এভাবে অন্ধকারে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা কি কোন মানব সভ্যতা হতে পারে? ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সনকে এতই ভয় পায় যে, তার কার্যালয়কে বিদ্যুৎহীন করতে হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ঐ মুখোশধারীরা কারা? সারা বিশ্বে সন্ত্রাসীরাইতো নিজেদের মুখ ঢেকে রাখছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ জানুয়ারী বলেন, ‘যে কোনো উপায়ে দমন করুন দায়িত্ব আমার’। তার এই বক্তব্যে বাংলাদেশের গণমানুষ ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে। কেননা এই ঘোষণার পর থেকে সরকারী বাহিনীরূপী কিছু পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি সদস্যের বেপরোয়া আচরণ আরো বেড়ে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন চলছে। গত ক’দিনে সহস্রাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে চারজন আন্দোলনকারীকে। গুম করা হয়েছে অনেককে। আন্দোলনকারীরা রাজপথে থাকায় গুমের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ‘যে কোনো উপায়ের’ পরিণতি কী তাহলে আরো অনেক লাশ খালে-বিলে-নদীতে ভেসে উঠবে? যৌথবাহিনী কর্তৃক চলবে গ্রামের পর গ্রামে খান্ডব দাহন, বিরোধী দলের আরো অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যার পর বলা হবে বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী? প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বর্তমান সংকটকে আরো গভীর ও উপসংহারহীন করে তুলবে। যার দায়দায়িত্ব শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা শুধু অমানবিকই নয়, যারা এগুলোর সাথে যুক্ত তারা পাশবিক বিবেকের অমানুষ। কিন্ত এই জঘন্য অপকর্মের দায় চাপানো হচ্ছে আন্দোলনকারীদের ওপর। কারণ সরকারী শক্তির নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম। তাদের হুকুমেই গণমাধ্যমে ঢালাও প্রচার চালানো হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, দলের মহাসচিবসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে, প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়ে বাড়ী ছাড়া, প্রয় প্রতিদিন সারাদেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে চলছে যৌথবাহিনীর তান্ডব, চলছে ক্রস ফায়ারের নামে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সেই রকম ভয়-আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে নেতা-কর্মীরা জীবন বাঁচাবে, না গাড়িতে আগুন অথবা পেট্রোল বোমা ছুঁড়বে? এই পেট্রোল বোমা যে সরকারই ছুড়ছে, গত ক’দিন আগে নরসিংদীতে এবং ২৪ জানুয়ারী ফেনীতে পুলিশের হাতে-নাতে ছাত্রলীগ নেতা ধরা পড়ার মাধ্যমে প্রমাণিত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গোয়েন্দা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হচ্ছে। খিলগাঁও এর ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস, কানসাটের ছাত্রদল নেতা মতিয়ার রহমান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের আসাদুজ্জামান তুহিনসহ জোটের আরো বেশ কিছু নিষ্ঠাবান কর্মীকে এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট হত্যা করা হয়েছে। এরা কি নাশকতা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে? এদের প্রায় সবাইকে নিজ বাড়ি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাসা থেকে যৌথবাহিনী, গোয়েন্দা পুলিশ বা র‌্যাব তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। অথচ এদের মায়ের আহাজারী, পরিবারের কান্না বা কেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় না ? এরা কি বাংলাদেশের মানুষ নয় ? এত আদম সন্তানের লাশ, এত কান্নার রোল কেন গণমাধ্যম আড়াল করে রাখছে? সারাদেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বাড়ি ঘরে যৌথবাহিনীর তান্ডব, মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও গালাগাল, কাঙ্খিত লোককে না পেয়ে শিশু সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি, এমনকি খুঁজতে যাওয়া ব্যক্তিকে না পেয়ে বাবা অথবা ছোট কিংবা বড় ভাইকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই আমরা ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নির্দেশ না মানতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি’র মধ্যে থাকা দেশপ্রেমিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধ শেখ হাসিনার মাতাল মন্ত্রীরাও নানাবিধ কটুক্তি করে বাংলাদেশকে একটি জংলী রাষ্ট্রের পরিচয় দিতে চাইছে। স্বাধীনতার পর ৪০ হাজার মানুষকে হত্যার নায়ক, রক্ষী বাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদ ২৮ জানুয়ারী গণতন্ত্রের নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘বার্ন ইউনিটের আর্তনাদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে দিয়েছে বলেই আপনার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের মতো মানুষদের এসব কথা বলা উচিত না, তার পরও বলতে হলো।’ তোফায়েল আহমেদের এই বক্তব্যের পর আমাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার ঘোষকের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না-কি খুনী তোফায়েল আহমেদের চক্রান্তে কোনো ধরণের হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন আরাফাত রহমান কোকো? ভবিষ্যতে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। একইসঙ্গে স্বাধীনতার পর ৪০ হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার দায়ে রক্ষী বাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, অবৈধ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভাগ্যের কথা বলে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করতে বিএনপি ও জোটকে আহবান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই, শতকরা ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী মহাজোট অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে আছে, ১৬ কোটি জনগণের ভাগ্যের কথা ভেবে ভোটারবিহীন সরকার পদত্যাগ করলেই তো দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক, অতিরিক্ত কৃতকার্য দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে জাতিকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলার উপক্রম করেছে এই সরকার। এখন গণতন্ত্রের ভাগ্য চরম দুর্যোগের মুখে, মানুষের মানবিক মর্যাদা ভুলুন্ঠিত, সার্বভৌম ক্ষমতাকে আত্মসাৎ করে জনগণকেই করা হয়েছে অপমানিত। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষমতাসীনদের অধীন করা হয়েছে। একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাকশাল পদ্ধতি আবার অবিকলভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সুতরাং দু:শাসনের অবসানের মধ্য দিয়েই কেবলমাত্র বর্তমান অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর মুক্তি সম্ভব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতি সম্ভব। তাই এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই অবৈধ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক ফজল আনসারী বলেন, তিন তিনবারের সাবকে প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপরি চেয়ারর্পাসন বেগম খালদো জিয়ার গুলশান র্কাযালয়রে বিদ্যুৎ, ইন্টারনটে এবং ক্যাবল সংযোগ কেেট দিয়ে বর্তমান অবধৈ শেখ হাসনিা সরকার সকল ব্যর্থতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়ছে। সইে সাথে সকল স্বৈরাচারকেও হার মানিয়েছে। কারণ আমরা কোন স্বৈরশাসককে আজ র্পযন্ত এমন অমানবকি আচরণ করতে দেখিনি। তিনি প্রশ্ন রেেখ বলনে, অনেকইে আজকের র্বতমান ভয়ঙ্কর এবং আতংকতি অবস্থার জন্য বিএনপির আন্দোলনের দিকে অঙ্গুলি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মোটওে চিন্তা করনে না, আজকে এই পরস্থিতিরি জন্য দায়ী কে? তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় বলে ৬ জানুয়ারী থেকেই জাতিসংঘ এবং আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ অনেক দেশই গত এক বছর ধরে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বক্তব্য এবং সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার জোরর্পূবক ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যানের ভূয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি বৃহৎ একটি দল, এখানে অনকে ধরনের নেতা-কর্মী রয়েছেন। আর যারা স্বাক্ষর জাল করেছেনে তাদের ইমিধ্যেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঐ ঘটনার সাথে সরকাররে যোগসূত্রের বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই দায়ী। দেশবাসী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপির সাথে রয়েছে।
পরে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সেখানে রাখা শোক বইতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাংবাদিক সম্মেলন : শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করার আহ্বান জানিয়েছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের লিখিত বক্তব্যে এই আহ্বান জানানো হয়। গত ৩১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু। এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব মুশফিকুল ফজল আনসারী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট ও সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ। এসময় উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া সহ বিএনপি নেতা আব্দুর রহমান, খালেক আকন্দ, ওয়ালি উল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ, রাফেল তালুকদার, সহিদুল ইসলাম সিকদার, হাবিবুর রহমান, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরাফত হোসেন বাবু বলেন, আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ চরম দু:সহ যাতনার মাঝে প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করছে। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার আহাজারিতে বাংলাদেশের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী হাসিনা সরকারের ফ্যাসিস্ট রাজত্ব, ব্রুটালিটি বাংলাদেশের ইতিহাসের যেকোন নশৃংসতাকে হার মানিয়েছে। ‘স্বৈরাচারী’ হাসিনা সরকার বিশ্বে সকল উন্নত দেশের অনুরোধ, পরামর্শকে তোয়াক্কা না করে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতনের স্টীমরোলার চালাচ্ছে। গ্রেফতার, হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, মামলা, হামলা, আগুন দিয়ে অফিস-ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি এহেন নির্মমতা নেই যা ব্রুটার হাসিনা সরকারের পেটুয়া বাহিনী এবং দলীয় ক্যাডাররা করছে না।
লিখিত বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী আইন-শক্সৃঙ্খলা বাহিনীকে যে কোনো উপায়ে আন্দোলন দমনের নিদের্শ দিয়েছেন। এমনকি রাষ্ট্রপতিও কঠোর হস্তে আন্দোলন দমনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যা নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদের বহি:প্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনই এখন একমাত্র সমাধান। সেই লক্ষ্যে বাংলার মানুষ লড়াই করছে। আর শেখ হাসিনা খুন করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবে না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রক্ষীবাহিনী এদেশের ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আর সেই রক্ষী বাহিনীর প্রধান ছিলেন সাধু সাজের রাজনীতিক তোফায়েল আহমেদ। আজ তিনি জিয়া পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র মরহুম আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে কটুক্তি করছেন। ৪০ হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে যার নির্দেশে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ভবিষ্যতে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধ দখলদার শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্র হরণ করেছে। মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি কেড়ে নিয়েছে। তার নির্মমতা এতদূর গড়িয়েছে যে, বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা অসু¯’ রিজভি আহমদকে র‌্যাব দ্বারা গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং বিনা শর্তে তাঁকে মুক্তি দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতার অফিসকে এভাবে অন্ধকারে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা কি কোন মানব সভ্যতা হতে পারে? ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিএনপির চেয়ারপার্সনকে এতই ভয় পায় যে, তার কার্যালয়কে বিদ্যুৎহীন করতে হচ্ছে। আমরা জানতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ঐ মুখোশধারীরা কারা? সারা বিশ্বে সন্ত্রাসীরাইতো নিজেদের মুখ ঢেকে রাখছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ জানুয়ারী বলেন, ‘যে কোনো উপায়ে দমন করুন দায়িত্ব আমার’। তার এই বক্তব্যে বাংলাদেশের গণমানুষ ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছে। কেননা এই ঘোষণার পর থেকে সরকারী বাহিনীরূপী কিছু পুলিশ, র‌্যাব এবং বিজিবি সদস্যের বেপরোয়া আচরণ আরো বেড়ে গেছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন চলছে। গত ক’দিনে সহস্রাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে চারজন আন্দোলনকারীকে। গুম করা হয়েছে অনেককে। আন্দোলনকারীরা রাজপথে থাকায় গুমের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, ‘যে কোনো উপায়ের’ পরিণতি কী তাহলে আরো অনেক লাশ খালে-বিলে-নদীতে ভেসে উঠবে? যৌথবাহিনী কর্তৃক চলবে গ্রামের পর গ্রামে খান্ডব দাহন, বিরোধী দলের আরো অসংখ্য নেতা-কর্মীদের হত্যার পর বলা হবে বন্দুকযুদ্ধের কাহিনী? প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বর্তমান সংকটকে আরো গভীর ও উপসংহারহীন করে তুলবে। যার দায়দায়িত্ব শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে নিরীহ মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করা শুধু অমানবিকই নয়, যারা এগুলোর সাথে যুক্ত তারা পাশবিক বিবেকের অমানুষ। কিন্ত এই জঘন্য অপকর্মের দায় চাপানো হচ্ছে আন্দোলনকারীদের ওপর। কারণ সরকারী শক্তির নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম। তাদের হুকুমেই গণমাধ্যমে ঢালাও প্রচার চালানো হচ্ছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। যেখানে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও ২০ দলীয় জোট নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ, দলের মহাসচিবসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে, প্রায় লক্ষাধিক নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়ে বাড়ী ছাড়া, প্রয় প্রতিদিন সারাদেশে অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে চলছে যৌথবাহিনীর তান্ডব, চলছে ক্রস ফায়ারের নামে বিরোধী জোটের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সেই রকম ভয়-আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে নেতা-কর্মীরা জীবন বাঁচাবে, না গাড়িতে আগুন অথবা পেট্রোল বোমা ছুঁড়বে? এই পেট্রোল বোমা যে সরকারই ছুড়ছে, গত ক’দিন আগে নরসিংদীতে এবং ২৪ জানুয়ারী ফেনীতে পুলিশের হাতে-নাতে ছাত্রলীগ নেতা ধরা পড়ার মাধ্যমে প্রমাণিত।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গোয়েন্দা বাহিনীর বন্দুক যুদ্ধের আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে আন্দোলনকারীদের হত্যা করা হচ্ছে। খিলগাঁও এর ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনি, নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস, কানসাটের ছাত্রদল নেতা মতিয়ার রহমান, চাঁপাই নবাবগঞ্জের আসাদুজ্জামান তুহিনসহ জোটের আরো বেশ কিছু নিষ্ঠাবান কর্মীকে এরই মধ্যে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট হত্যা করা হয়েছে। এরা কি নাশকতা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে? এদের প্রায় সবাইকে নিজ বাড়ি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাসা থেকে যৌথবাহিনী, গোয়েন্দা পুলিশ বা র‌্যাব তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। অথচ এদের মায়ের আহাজারী, পরিবারের কান্না বা কেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় না ? এরা কি বাংলাদেশের মানুষ নয় ? এত আদম সন্তানের লাশ, এত কান্নার রোল কেন গণমাধ্যম আড়াল করে রাখছে? সারাদেশে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর বাড়ি ঘরে যৌথবাহিনীর তান্ডব, মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও গালাগাল, কাঙ্খিত লোককে না পেয়ে শিশু সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি, এমনকি খুঁজতে যাওয়া ব্যক্তিকে না পেয়ে বাবা অথবা ছোট কিংবা বড় ভাইকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাই আমরা ‘অবৈধ’ প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নির্দেশ না মানতে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি’র মধ্যে থাকা দেশপ্রেমিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অবৈধ শেখ হাসিনার মাতাল মন্ত্রীরাও নানাবিধ কটুক্তি করে বাংলাদেশকে একটি জংলী রাষ্ট্রের পরিচয় দিতে চাইছে। স্বাধীনতার পর ৪০ হাজার মানুষকে হত্যার নায়ক, রক্ষী বাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদ ২৮ জানুয়ারী গণতন্ত্রের নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘বার্ন ইউনিটের আর্তনাদ আল্লাহর আরশ কাঁপিয়ে দিয়েছে বলেই আপনার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের মতো মানুষদের এসব কথা বলা উচিত না, তার পরও বলতে হলো।’ তোফায়েল আহমেদের এই বক্তব্যের পর আমাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, মালয়েশিয়ায় স্বাধীনতার ঘোষকের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না-কি খুনী তোফায়েল আহমেদের চক্রান্তে কোনো ধরণের হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন আরাফাত রহমান কোকো? ভবিষ্যতে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। একইসঙ্গে স্বাধীনতার পর ৪০ হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যার দায়ে রক্ষী বাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, অবৈধ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ১৫ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভাগ্যের কথা বলে হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার করতে বিএনপি ও জোটকে আহবান জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই, শতকরা ৫ ভাগ ভোট নিয়ে আওয়ামী মহাজোট অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে আছে, ১৬ কোটি জনগণের ভাগ্যের কথা ভেবে ভোটারবিহীন সরকার পদত্যাগ করলেই তো দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। পরীক্ষার ফলাফল অস্বাভাবিক, অতিরিক্ত কৃতকার্য দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও প্রতিযোগিতার মূল দায়িত্ব থেকে দুরে সরিয়ে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে জাতিকে পঙ্গু বানিয়ে ফেলার উপক্রম করেছে এই সরকার। এখন গণতন্ত্রের ভাগ্য চরম দুর্যোগের মুখে, মানুষের মানবিক মর্যাদা ভুলুন্ঠিত, সার্বভৌম ক্ষমতাকে আত্মসাৎ করে জনগণকেই করা হয়েছে অপমানিত। মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা ক্ষমতাসীনদের অধীন করা হয়েছে। একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার বাকশাল পদ্ধতি আবার অবিকলভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। সুতরাং দু:শাসনের অবসানের মধ্য দিয়েই কেবলমাত্র বর্তমান অবরুদ্ধ জনগোষ্ঠীর মুক্তি সম্ভব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অগ্রগতি সম্ভব। তাই এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগেই অবৈধ শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করার আহ্বান জানাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক ফজল আনসারী বলেন, তিন তিনবারের সাবকে প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপরি চেয়ারর্পাসন বেগম খালদো জিয়ার গুলশান র্কাযালয়রে বিদ্যুৎ, ইন্টারনটে এবং ক্যাবল সংযোগ কেেট দিয়ে বর্তমান অবধৈ শেখ হাসনিা সরকার সকল ব্যর্থতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়ছে। সইে সাথে সকল স্বৈরাচারকেও হার মানিয়েছে। কারণ আমরা কোন স্বৈরশাসককে আজ র্পযন্ত এমন অমানবকি আচরণ করতে দেখিনি। তিনি প্রশ্ন রেেখ বলনে, অনেকইে আজকের র্বতমান ভয়ঙ্কর এবং আতংকতি অবস্থার জন্য বিএনপির আন্দোলনের দিকে অঙ্গুলি প্রদর্শনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মোটওে চিন্তা করনে না, আজকে এই পরস্থিতিরি জন্য দায়ী কে? তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় বলে ৬ জানুয়ারী থেকেই জাতিসংঘ এবং আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ অনেক দেশই গত এক বছর ধরে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বক্তব্য এবং সংলাপের তাগিদ দিয়ে আসছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার জোরর্পূবক ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যানের ভূয়া বিবৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি বৃহৎ একটি দল, এখানে অনকে ধরনের নেতা-কর্মী রয়েছেন। আর যারা স্বাক্ষর জাল করেছেনে তাদের ইমিধ্যেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঐ ঘটনার সাথে সরকাররে যোগসূত্রের বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির জন্য বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই দায়ী। দেশবাসী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপির সাথে রয়েছে।
পরে বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে সেখানে রাখা শোক বইতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষর করেন।