নিউইয়র্ক ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিউইয়র্ক!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০১৫
  • / ৭৬৩ বার পঠিত

নিউইয়র্র্ক: বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক! বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের রাজনীতিতে নিউইয়র্কের গুরুত্ব বাড়ছে। জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউজ, ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট আর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই দেশের রাজনীতিতে নিউইয়র্ক দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পুরোদমে দেশের রাজনীতিও চলছে এই নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাগপা, প্রভৃতি রাজনৈতিক দলের রাজনীতিতে সরব নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি।
সূত্রমতে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নানা কারণেই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী।তাই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে আর্থ-সমাজিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র পারষ্পারিক ভিত্তিতে ওতোপ্রতভাবে জড়িত। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে কাছে পেতে চায় বলেই বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। অপরদিকে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পেতে চায়। আর তাই দেশে কোন কিছু ঘটলেই বা কোন দাবী দাওয়া থাকলে দেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলগুলো কারণে-অকারণেই ছুটে আসেন বা ছুটে যান জাতিসংঘে, হোহাইট হাউজে, বিশ্ব ব্যাংকে বা ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে। অপরদিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক আগমনের কারণেও এই শহর বাংলাদেশ, দেশের রাজনীতি আর বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আরো রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গত বছর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নিউইয়র্ক সফরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতির সর্ম্বধনা বাতিল, একই বছর জাতিসংঘের যোগদানকারী প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী কর্তৃক পবিত্র হজ, নবী করীম (সা:) সম্পর্কে অশালীন আর আপত্তিকর মন্তব্য এবং পরবর্তীতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দলীয় পদ ও মন্ত্রীত্ব হরানো এবং আটক, চলতি বছর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে চলমান আন্দোলন, অবরোধ-ধর্মঘট-হরতাল, প্রভৃতি ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলসহ জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউজ ও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সমানে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ বা শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনের স্বপক্ষে ছয়জন ইউএস কংগ্রেসম্যানের নামে মিথ্যা বিবৃতির ঘটনায় সোচ্চার হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এই ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের বৈদেশিক দূতের পদ হারান বিএনপির দুই নেতা। পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধাবস্থা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটক ও কারাবন্দী, কোন কোন নেতার আতœগোপন থাকার প্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতি-আন্দোলনের দিক নির্দেশনাও প্রচার হচ্ছে এই নিউইয়র্ক থেকে। এক্ষেত্রে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থানরত দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। সেই সাথে ইউএস প্রশাসনের সাথে দলের পক্ষে জোর লবিং অব্যাহত রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। তারা উভয়ে বিএনপির নামে নানা ফোরামে, সভাসমাবেশে বক্তৃতা করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন, সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। বিএনপি’র রাজনীতিতে সর্বশেষ যোগ হয়েছে ‘খোকা-মান্না’র ফোনালাপ। যে ফোনালাপের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়েছে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে। মান্না বর্তমানে আটকাবস্থায় রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ তথা ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সরকারের পক্ষে ছুটছেন জাতিসংঘ থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউজ আর ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে। কখনো কখনো তাদের সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রীবর্গ। গত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ওয়াশিংটনে একটি সেমিনারে যোগদানের সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর সাথে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন। বর্তমানে নিউইয়র্ক সফরে রয়েছেন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নেয়ায় দেশের মিডিয়াগুলোতেও এই শহরের গুরুত্ব বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই নিউইয়র্কের খবর থাকবে মিডিয়াগুলোতে। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের নিজস্ব প্রতিনিধিসহ একাধিক টিভি চ্যানেলের অফিস খোলা হয়েছে নিউইয়র্কে। অনেক মিডিয়ায় নিউইয়র্ক-এর খবরাদির জন্য পৃথক স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিউইয়র্ক!

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্র্ক: বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে চলেছে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক! বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের রাজনীতিতে নিউইয়র্কের গুরুত্ব বাড়ছে। জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউজ, ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্ট আর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই দেশের রাজনীতিতে নিউইয়র্ক দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পুরোদমে দেশের রাজনীতিও চলছে এই নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাগপা, প্রভৃতি রাজনৈতিক দলের রাজনীতিতে সরব নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি।
সূত্রমতে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র নানা কারণেই উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহী।তাই বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে শুরু করে আর্থ-সমাজিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র পারষ্পারিক ভিত্তিতে ওতোপ্রতভাবে জড়িত। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে কাছে পেতে চায় বলেই বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী। অপরদিকে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় রাখতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও আন্তর্জাতিক শক্তির সমর্থন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পেতে চায়। আর তাই দেশে কোন কিছু ঘটলেই বা কোন দাবী দাওয়া থাকলে দেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলগুলো কারণে-অকারণেই ছুটে আসেন বা ছুটে যান জাতিসংঘে, হোহাইট হাউজে, বিশ্ব ব্যাংকে বা ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে। অপরদিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক আগমনের কারণেও এই শহর বাংলাদেশ, দেশের রাজনীতি আর বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আরো রয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গত বছর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নিউইয়র্ক সফরে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মধ্যকার বিরোধকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতির সর্ম্বধনা বাতিল, একই বছর জাতিসংঘের যোগদানকারী প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী কর্তৃক পবিত্র হজ, নবী করীম (সা:) সম্পর্কে অশালীন আর আপত্তিকর মন্তব্য এবং পরবর্তীতে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দলীয় পদ ও মন্ত্রীত্ব হরানো এবং আটক, চলতি বছর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে চলমান আন্দোলন, অবরোধ-ধর্মঘট-হরতাল, প্রভৃতি ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলসহ জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিএনপি-আওয়ামী লীগের জাতিসংঘ, হোয়াইট হাউজ ও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের সমানে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ বা শান্তি সমাবেশ হচ্ছে। বিএনপির আন্দোলনের স্বপক্ষে ছয়জন ইউএস কংগ্রেসম্যানের নামে মিথ্যা বিবৃতির ঘটনায় সোচ্চার হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এই ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলের বৈদেশিক দূতের পদ হারান বিএনপির দুই নেতা। পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানস্থ দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধাবস্থা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটক ও কারাবন্দী, কোন কোন নেতার আতœগোপন থাকার প্রেক্ষিতে বিএনপির রাজনীতি-আন্দোলনের দিক নির্দেশনাও প্রচার হচ্ছে এই নিউইয়র্ক থেকে। এক্ষেত্রে ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থানরত দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। সেই সাথে ইউএস প্রশাসনের সাথে দলের পক্ষে জোর লবিং অব্যাহত রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী ড. ওসমান ফারুক। তারা উভয়ে বিএনপির নামে নানা ফোরামে, সভাসমাবেশে বক্তৃতা করছেন, বিবৃতি দিচ্ছেন, সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। বিএনপি’র রাজনীতিতে সর্বশেষ যোগ হয়েছে ‘খোকা-মান্না’র ফোনালাপ। যে ফোনালাপের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়েছে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে। মান্না বর্তমানে আটকাবস্থায় রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ তথা ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সরকারের পক্ষে ছুটছেন জাতিসংঘ থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউজ আর ইউএস ষ্টেট ডিপার্টমেন্টে। কখনো কখনো তাদের সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রীবর্গ। গত ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ওয়াশিংটনে একটি সেমিনারে যোগদানের সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরীর সাথে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন। বর্তমানে নিউইয়র্ক সফরে রয়েছেন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নেয়ায় দেশের মিডিয়াগুলোতেও এই শহরের গুরুত্ব বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই নিউইয়র্কের খবর থাকবে মিডিয়াগুলোতে। দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের নিজস্ব প্রতিনিধিসহ একাধিক টিভি চ্যানেলের অফিস খোলা হয়েছে নিউইয়র্কে। অনেক মিডিয়ায় নিউইয়র্ক-এর খবরাদির জন্য পৃথক স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। (সাপ্তাহিক পরিচয়)