প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটি’র বিভিন্ন পদে বাংলাদেশীদের যোগ্য করে গড়ে তোলাই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
- প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০১৬
- / ৬১৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বব্যাপী আইটি সেক্টরে দিনে দিনে কর্মস্থান বাড়ছে। মানুষের জীবন যাত্রা ক্রমশ: আইটি নির্ভর হয়ে পড়ছে। এই সেক্টরে বাংলাদেশীদের অবস্থান খুবই দূর্বল। অথচ আইটি সেক্টরে বাংলাদেশীদের যোগ্যতা প্রমাণ করার সুযোগ রয়েছে। শুধু দরকার সঠিক গাইড লাইনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে তৈরী করা। এসব দিক বিবেচনায় রেখে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটি জবের দায়িত্বশীল পদে (অ্যাডমিনেষ্ট্রেটর) চাকুরির বিষয়ে ফ্যালকন ইনফো টেক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। ‘সুন্দর আগামীর জন্য ফ্যালকন’ শ্লোগান সামনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছর ধরে আইটি বিষয়ে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করছে। এছাড়া ফালকন’র তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ৬ আগষ্ট শনিবার নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো জব সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। ঐদিন জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে সন্ধ্যা ছ’টায় এই জব সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে ১৬ জুলাই শনিবার বিকেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্যালকন’র দুই প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম (প্রেসিডেন্ট) ও মোশাররফ হোসাইন (সিইও) উপরোক্ত তথ্য জানান। খবর ইউএনএ’র।
সাংবাদিক সম্মেলনে নজরুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসাইন বলেন, ভার্জেনিয়া ও নিউইয়র্কের দুটি শাখার মাধ্যমে সপ্তাহের প্রতি শনি ও রোববার আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশীদের চাকুরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফ্যালকন-এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে সঠিক আর ভালো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটি শাখার বিভিন্ন পর্যায়ে অ্যাডমিনেষ্ট্রেটর পদের জন্য বাংলাদেশীদের যোগ্য করে গড়ে তোলা। এজন্য কোর্স সম্পন্ন করতে জনপ্রতি ৫ হাজার ডলার ফি ধার্য্য করা হয়েছে। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলদের জন্য বিশেষ সুযোগে কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ নিতে তারা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, তিন জন দিয়ে শুরু ফ্যালকন-এ বর্তমানে ৬০ জনের মতো নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে। আর ফ্যালকন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২৭ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৪ জন আইটি বিভাগের অ্যাডমিনেষ্ট্রেটর পদে চাকুরি পেয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইটি সেক্টরে ভারতীয়রা ভালো স্থান দখল করে নিয়েছে। আমরা বাংলাদেশীরাও ভারতীয়দের মতো অবস্থানে যেতে পারি, সে সুযোগও আমাদের রয়েছে। এরজন্য প্রয়োজন উচ্চতর প্রশিক্ষণ। তারা বলেন, একাধিক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান আইটি সেক্টরের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের শিক্ষিত করে তুলছেন। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। আর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের টার্গেট বিজনেস অ্যানালাইসিস (বিএ), প্রোগ্রামার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স (কিউএ), সফটওয়ার টেস্টিং প্রভৃতি পদের জন্য। সেক্ষেত্রে ফ্যালকন-এর টার্গেট হচ্ছে সিস্টেম অ্যাডমিনেস্ট্রেটর, ডাটাবেজ অ্যাডমিনেস্ট্রেটর, ইনফরমেশন অ্যাসুরেন্স, সার্ভিস ডেস্ক, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সিকিউরিটি প্রভৃতি হাইলেভেল তথা ‘মেইন পজিশন’ পদের জন্য বাংলাদেশীদের যোগ্য করে তোলা। তারা বলেন, আমরা কারো বা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগী নই, বরং সহযোগী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ফ্যালকন’র প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম ও সিইও মোশাররফ হোসাইন বলেন, আমরা আইটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী/প্রশিক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভার্জেনিয়া অঙ্গরাজ্যে ভালো চাকুরি করছি। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশীদের যোগ্য করার লক্ষ্যে ফ্যালকন ইফো টেক প্রতিষ্ঠা করেছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ফালকন’র প্রশিক্ষনার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে টু ইয়ার কলেজ ডিগ্রী বা বাংলাদেশের উচ্চতর ডিগ্রীধারী হলে ভালো হয়। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে রেসিডেন্সী থাকতে হবে। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও রোববার ফ্যালকন’র (ভার্জেনিয়া ও নিউইয়র্ক) দুই শাখায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।