প্রধানমন্ত্রীর নিইয়র্ক সফরকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের বিশৃংখলা বরদাস্ত করা হবে না
- প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
- / ৭৮৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের বিশৃংখলা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুশিয়ারী উচ্ছারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত সর্বজনীন সম্বর্ধনা সফল করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলা হয়েছে।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত জাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ সহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর ইউএনএ’র।
এর আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ নিজাম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফর ও তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সর্বজনীন সম্বর্ধনা সভার কর্মসূচী তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফরকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়াতের কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যেকোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল প্রবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সফল করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্নের পর্বে এক প্রশ্নের উত্তরে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালীন সময়ে নিউইয়র্কের লন্ডনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রতিরোধ কঠোর হস্তে মোকাবেলা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে যা যা করতে হয় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ তাই করবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্বর্ধনা সভা সর্বজনীন করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ছাড়া সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে। সবার জন্য সম্বর্ধনা কমিটি খোলা। তিনি বলেন, আজ আমরা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নই, সর্বজনীন সম্বর্ধনা কমিটির পক্ষ থেকে আমি আহ্বায়ক ও সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সদস্য সচিব হিসেবে কথা বলছি, সাংবাদিক সম্মেলন করছি।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, আমরা সবাই মিলেই প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর ও সম্বর্ধনা সভা সফল করবো।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে নিজাম চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিবাদ-প্রতিরোধ যদি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে পরিণত হয় তাহলে তা কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনের প্রশ্ননোত্ত পর্বের এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান উত্তেজিত হয়ে বলেন, আজ সোমবার একটি পত্রিকায় (পত্রিকাটির নাম প্রকাশ না করে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ক্রস দিয়ে একটি মহলের পক্ষে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। এতে আমরা আওয়ামী পরিবার খুবই মর্মাহত। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি সাংবাদিকতা? কোন ধরণের সাংবাদিকতা? ড. সিদ্দিক ঐ বিজ্ঞাপন প্রকাশের নিন্দা জানিয়ে সোমবারের পত্রিকাটি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বয়কটের ঘোষণা দেন।
এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্য পাঠের আগে ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য মিডিয়ার প্রতি এবং এর কোন ছবি কোন সাসাজিক মিডিয়ায় পোস্ট না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফল কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ভীড় জমে পালকি পার্টি সেন্টারে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীসহ শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত হন। সাংবাদিক সম্মেলনের আগে সেখানে একটি সহযোগী সংগঠনের সভাও হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরীসহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই যুবলীগের দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের কারো কারো বিরূপ মন্তব্য সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তা বাক-বিতন্ডা আর হৈ-চৈ-এ পরিণত হয়। উদ্ভুতত পরিস্থিতিতে পালকি পার্টি সেন্টার কর্তৃপক্ষ পুলিশ কল করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং বিলম্বে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু হয়।