নিউইয়র্ক ১১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রথম ফান্ড রেইজং অনুষ্ঠানে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৮২১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক। এ লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজিত প্রথম ফান্ড রেইজং অনুষ্ঠানে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট পাওয়া গেছে। সাড়া মিলেছে ব্যাপক। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের উদ্যোগে ১৯৭১ সালে জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বৃহত্তর সিলেবাসীদের আম্ব্রেলাখ্যাত সংগঠন জালালবাদ এসোসিয়েশন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পর নিউইয়র্কে নিজস্ব ‘জালালাবাদ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। খবর ইউএনএ’র।
সিটির উডসাইডস্থ গুলশান টেরেসে গত ৬ ডিসেম্বর রোববার আয়োজিত ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেপিসি গ্রুপের সিইও ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সিরৈটবাসী ছাড়াও কমিউনিটির সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ পর্যন্ত সিলেটবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে নগদ আর চেকের মাধ্যমে ২৫,৫০০ ডলার ছাড়াও এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট পাওয়া যায়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ফান্ড রাইজিং চলে। এর মধ্যে যারা ১০ হাজার ডলার অনুদানকারীদের পেট্রোন, পাঁচ হাজার ডলার প্রদানকারীদের গোল্ড, এক হাজার ডলার প্রদানকারীদের সিলভার, ৫০০ ডলার প্রদানকারীদের ফাউন্ডার মেম্বার আর ২০০ ডলার অনুদান প্রদানকারীদের সাপোর্টার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ফাতেমা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজী শামসুল ইলসাম, মতিন গ্রুপের স্বত্বাধীকারি আবুল কালাম মতিন, দুবাই’র বাংলাদেশী ব্যবসায় মোস্তফা কামাল, জহিরুল এস আলম, জয়নাল গ্রুপের স্বত্বাধীকারি জয়নাল আবেদীন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল হক-কে ফান্ড রেইজিং পেট্রন হিসেবে নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত সকলে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ এসোসিয়েশনের সাবেক এবং বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের মঞ্চে ডেকে পরিচয় করে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফান্ড রেইজিং কমিটির আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিক এম এ সালাম, ফান্ড রেইজিং পেট্রন যথাক্রমে হাজী শামসুল ইলসাম, আবুল কালাম মতিন, মোস্তফা কামাল, জহিরুল এস আলম, জয়নাল আবেদিন, বদরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, অনুষ্ঠানের স্পন্সর টিবিএন-এর সিইও আহমেদুল বড় ভূঁইয়া, ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আতাউল গণি আসাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক বিনোদন। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শান্ত নীল ধর ও সেজুতি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে সেজুতির ‘ভ্রমার কইও গিয়া’ রাধা রমনের বিখ্যাত গান ও শান্ত নীল ধরের বেশক’টি সিলেটি আঞ্চলিক গান পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। নৃত্য পরিবেশন করেন প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির প্রসার ও অনুশীলন কেন্দ্র বিপা’র তানিজল নেওয়াজ, আফিয়া জাহান পন্নি, নামিয়া, জেরিন আইরিন। এছাড়া দুই জন স্থপতি লাইলা ফারজানা ও মাহফিল আলী পরিকল্পিত জালালবাদ সেন্টারের ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করেন। প্রস্তাবিত জালালাবাদ সেন্টারটি কি ধরনের হবে এবং এতে কি কি সুযোগ-সুবিধা থাকবে তাও প্রদর্শন করা হয়। ডকুমেন্টারিতে ইতালি, স্প্যানিশ ও আইরিশদের স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রমের আদলে সেন্টার পরিচালনার পরিকল্পনা স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই চাইলে যেকোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমি একা যদি ১৩০ তলা ভবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে সিলেটিরা কেন একটি ভবন বানাতে পারবেন না। আমরা সবাই চেষ্টা করলে অবশ্যই নিউইয়র্কে জালালাবাদ সেন্টার হবে। এটি আমাদের সম্মান, মর্যাদার বিষয়। তবে এটা একদিনে হবে না। জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বদরুল হোসেন খান বলেন, নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নিজস্ব সেন্টার প্রতিষ্ঠা আমাদের স্বপ্ন। সবার সহযোগিতায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় প্রথম উদ্বুদ্ধ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন। তিনিই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তার পথ ধরে যতই এগিয়ে যাচ্ছি, সেখানেই গেছি, সেখানেই সবার সহযোগিতা পাচ্ছি।
জুয়েল চৌধুরী তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য সংশ্লিস্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠা হবে। এসময় তিনি জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্ববিস্তারে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জেবিবিএ’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘দিদার-কামরুল’ ও ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, দি অপটিমিস্টের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন চৌধুরী রানা ও ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সাবেক সভাপতি বুরহান উদ্দিন কফিল, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট রাজনীতিক শাহীন আজমল, মিসবাহ আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট দেওয়ান বজলু, বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য হাজী আব্দুল হাসিম হাসনু, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য একলিমুজ্জামান নুনু ও মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী, ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনেদ এ খান ও আহমেদ জিল্লু, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, তরুণ সংগঠক আহবাব হোসেন চৌধুরী খোকন, হিউম্যানিটি ক্লাব অব আমেরিকা ইনক’র প্রেসিডেন্ট মাওলানা রশীদ আহমদ, ব্রঙ্কস কমিউনিটি নেতা মঞ্জুর চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা মাওলানা ছয়ফুল আলম সিদ্দিকী, এডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ, খয়রুজ্জামান খয়রু, মির্জা মামুন, হেলিম উদ্দিন, এম এ করীম, সৈয়দ জুয়েল, এবাদ চৌধুরী, জোসেফ চৌধুরী, দরুদ মিয়া রনেল, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ আতিক, শেখ আতিক, মনসুর চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওসারুজ্জামান কয়েস, বাসির খান, জুবায়ের চৌধুরী শাহীন, সৈয়দ নজমুল হাসান কোবাদ, শফি উদ্দিন তালুকদার, মহীদুল হক আবদাল, তাজ উদ্দিন, সালেহ গণি, মো: ফকর উদ্দিন, মজিবুর রহমান চৌধুরী শাহজাহান, আব্দুর রহিম, আব্দুর রউফ মসলু, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, সালেহা খাতুন, সালমা শবনম চৌধুরী, সুমাইয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে সহ সভাপতি মোশাররফ আলম, সাব্বির হোসেন ও আনোয়ার চৌধুরী পারেক, প্রচার সম্পাদক আশফাক চৌধুরী জামি, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল মতিন, কার্যকরী সদস্য জ্যোতির্ময় দত্ত, আকবর হোসেন সরপন উপস্থিত ছিলেন।
আরো উল্লেখ্য, ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার পর্ব সংক্ষিপ্ত থাকায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা আয়োজকদের প্রশংসা করেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রথম ফান্ড রেইজং অনুষ্ঠানে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক। এ লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আয়োজিত প্রথম ফান্ড রেইজং অনুষ্ঠানে এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট পাওয়া গেছে। সাড়া মিলেছে ব্যাপক। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বৃহত্তর সিলেটবাসীদের উদ্যোগে ১৯৭১ সালে জালালাবাদ এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বৃহত্তর সিলেবাসীদের আম্ব্রেলাখ্যাত সংগঠন জালালবাদ এসোসিয়েশন। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর পর নিউইয়র্কে নিজস্ব ‘জালালাবাদ সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। খবর ইউএনএ’র।
সিটির উডসাইডস্থ গুলশান টেরেসে গত ৬ ডিসেম্বর রোববার আয়োজিত ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেপিসি গ্রুপের সিইও ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সিরৈটবাসী ছাড়াও কমিউনিটির সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ পর্যন্ত সিলেটবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে নগদ আর চেকের মাধ্যমে ২৫,৫০০ ডলার ছাড়াও এক লক্ষ পাঁচ হাজার ডলার সংগ্রহের কমিটমেন্ট পাওয়া যায়।
এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ফান্ড রাইজিং চলে। এর মধ্যে যারা ১০ হাজার ডলার অনুদানকারীদের পেট্রোন, পাঁচ হাজার ডলার প্রদানকারীদের গোল্ড, এক হাজার ডলার প্রদানকারীদের সিলভার, ৫০০ ডলার প্রদানকারীদের ফাউন্ডার মেম্বার আর ২০০ ডলার অনুদান প্রদানকারীদের সাপোর্টার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে ফাতেমা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজী শামসুল ইলসাম, মতিন গ্রুপের স্বত্বাধীকারি আবুল কালাম মতিন, দুবাই’র বাংলাদেশী ব্যবসায় মোস্তফা কামাল, জহিরুল এস আলম, জয়নাল গ্রুপের স্বত্বাধীকারি জয়নাল আবেদীন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল হক-কে ফান্ড রেইজিং পেট্রন হিসেবে নাম ঘোষণা করে তাদের পরিচয় করে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত সকলে মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ এসোসিয়েশনের সাবেক এবং বর্তমান শীর্ষ কর্মকর্তাদের মঞ্চে ডেকে পরিচয় করে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফান্ড রেইজিং কমিটির আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী শেফাজ ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিক এম এ সালাম, ফান্ড রেইজিং পেট্রন যথাক্রমে হাজী শামসুল ইলসাম, আবুল কালাম মতিন, মোস্তফা কামাল, জহিরুল এস আলম, জয়নাল আবেদিন, বদরুল হক, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, অনুষ্ঠানের স্পন্সর টিবিএন-এর সিইও আহমেদুল বড় ভূঁইয়া, ওয়েলকেয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার সালেহ আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আতাউল গণি আসাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক বিনোদন। এতে প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শান্ত নীল ধর ও সেজুতি গান পরিবেশন করেন। এর মধ্যে সেজুতির ‘ভ্রমার কইও গিয়া’ রাধা রমনের বিখ্যাত গান ও শান্ত নীল ধরের বেশক’টি সিলেটি আঞ্চলিক গান পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। নৃত্য পরিবেশন করেন প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির প্রসার ও অনুশীলন কেন্দ্র বিপা’র তানিজল নেওয়াজ, আফিয়া জাহান পন্নি, নামিয়া, জেরিন আইরিন। এছাড়া দুই জন স্থপতি লাইলা ফারজানা ও মাহফিল আলী পরিকল্পিত জালালবাদ সেন্টারের ডকুমেন্টরি প্রদর্শন করেন। প্রস্তাবিত জালালাবাদ সেন্টারটি কি ধরনের হবে এবং এতে কি কি সুযোগ-সুবিধা থাকবে তাও প্রদর্শন করা হয়। ডকুমেন্টারিতে ইতালি, স্প্যানিশ ও আইরিশদের স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রমের আদলে সেন্টার পরিচালনার পরিকল্পনা স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই চাইলে যেকোন স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমি একা যদি ১৩০ তলা ভবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে সিলেটিরা কেন একটি ভবন বানাতে পারবেন না। আমরা সবাই চেষ্টা করলে অবশ্যই নিউইয়র্কে জালালাবাদ সেন্টার হবে। এটি আমাদের সম্মান, মর্যাদার বিষয়। তবে এটা একদিনে হবে না। জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তার পক্ষ থেকে সর্বাত্বক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
বদরুল হোসেন খান বলেন, নিউইয়র্কে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নিজস্ব সেন্টার প্রতিষ্ঠা আমাদের স্বপ্ন। সবার সহযোগিতায় এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় প্রথম উদ্বুদ্ধ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আব্দুল মোমেন। তিনিই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তার পথ ধরে যতই এগিয়ে যাচ্ছি, সেখানেই গেছি, সেখানেই সবার সহযোগিতা পাচ্ছি।
জুয়েল চৌধুরী তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য সংশ্লিস্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠা হবে। এসময় তিনি জালালাবাদ সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্ববিস্তারে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে জেবিবিএ’র আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ‘দিদার-কামরুল’ ও ‘জিকো-তারেক’ প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত হয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, দি অপটিমিস্টের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন চৌধুরী রানা ও ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির সাবেক সভাপতি বুরহান উদ্দিন কফিল, মূলধারার রাজনীতিক আব্দুস শহীদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট রাজনীতিক শাহীন আজমল, মিসবাহ আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট দেওয়ান বজলু, বাংলাদেশী-আমেরিকান কালচারাল এসোসিয়েশন-এর সভাপতি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য হাজী আব্দুল হাসিম হাসনু, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্য একলিমুজ্জামান নুনু ও মোবাশ্বের হোসেন চৌধুরী, ট্রাষ্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য আবুল কালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুনেদ এ খান ও আহমেদ জিল্লু, সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, তরুণ সংগঠক আহবাব হোসেন চৌধুরী খোকন, হিউম্যানিটি ক্লাব অব আমেরিকা ইনক’র প্রেসিডেন্ট মাওলানা রশীদ আহমদ, ব্রঙ্কস কমিউনিটি নেতা মঞ্জুর চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা মাওলানা ছয়ফুল আলম সিদ্দিকী, এডভোকেট নাসির উদ্দিন আহমেদ, খয়রুজ্জামান খয়রু, মির্জা মামুন, হেলিম উদ্দিন, এম এ করীম, সৈয়দ জুয়েল, এবাদ চৌধুরী, জোসেফ চৌধুরী, দরুদ মিয়া রনেল, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সৈয়দ আতিক, শেখ আতিক, মনসুর চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাওসারুজ্জামান কয়েস, বাসির খান, জুবায়ের চৌধুরী শাহীন, সৈয়দ নজমুল হাসান কোবাদ, শফি উদ্দিন তালুকদার, মহীদুল হক আবদাল, তাজ উদ্দিন, সালেহ গণি, মো: ফকর উদ্দিন, মজিবুর রহমান চৌধুরী শাহজাহান, আব্দুর রহিম, আব্দুর রউফ মসলু, জামাল হোসেন, সেবুল মিয়া, সালেহা খাতুন, সালমা শবনম চৌধুরী, সুমাইয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান কর্মকর্তাদের মধ্যে সহ সভাপতি মোশাররফ আলম, সাব্বির হোসেন ও আনোয়ার চৌধুরী পারেক, প্রচার সম্পাদক আশফাক চৌধুরী জামি, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল মতিন, কার্যকরী সদস্য জ্যোতির্ময় দত্ত, আকবর হোসেন সরপন উপস্থিত ছিলেন।
আরো উল্লেখ্য, ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতার পর্ব সংক্ষিপ্ত থাকায় উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা আয়োজকদের প্রশংসা করেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।