নিউইয়র্ক ০৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পঁচিশ বছরে ‘মুনা’র পথচলা…

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৪
  • / ১০৪৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ২৫ বছরে পা রেখেছে ‘মুনা’। মুসলিম উম্মহ অব নর্থ আমেরিকা ‘মুনা’ আজ থেকে চব্বিশ বছর পূর্বে (১৯৯০ইং) নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী কমিউনিটি ভিত্তিক একটি ইসলামিক, সামাজিক সংগঠন। উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে সুখী জীবনের পথ ও পন্থা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা এবং সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক সংগঠন হিসেবে কাজ করে আসছে ‘মুনা’। ‘মুনা’ উত্তর আমেরিকার প্রায় অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্র, জোন, চ্যাপ্টার, সাব-চ্যাপ্টার এমনি ভাবে ‘মুনা’ একটি মুজবুত সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তুলেছে বিগত চব্বিশ বছরে।
পঁচিশ বছরে পা রেখেই ‘মুনা’ যৌবনের তারুণ্যে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে উদার দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন পন্থায় উত্তর আমেরিকার মানব কল্যাণে ফলদায়ক কি করা যায় সে ভাবনাকে সামনে নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক পরামর্শ সভার ডাক দিলেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ডা. সাঈদুর রহমান চৌধুরী। এটি মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ব্যতিক্রমী, অনুকরণীয় এক মাইলফলক।
গত ৮ নভেম্বর, শনিবার (২০১৪) নিউইয়র্ক, ব্রুকলীনের বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার (বিআইসি)তে অনুষ্ঠিত দু’ পর্বের এসভা ছিল সারাদিনব্যাপী। প্রথম সেশনে সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি ডা. সাইদুর রহমান চৌধুরী মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু আহমেদ নুরুজ্জামান ‘মুনা’র জন্মলগ্ন থেকে আজোবধি মুনা’র অর্জন এবং সাফল্য আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর আমেরিকার মেইন স্ট্রীম সংগঠনগুলোর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, থিংকট্যাঙ্ক, সমাজকর্মীসহ, সাংবাদিক, প্রফেসর, ল’ইয়ার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নেয়া হয়। তাঁরা মুনা’কে ভবিষ্যতে কিভাবে দেখতে চান, ‘মুনা’ আমেরিকান সমাজে কিভাবে আরো সাফল্যজনকভাবে মানব সেবায় নিয়োজিত হতে পারে সে বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।
আর দ্বিতীয় সেশনে বাংলা ভাষাভাষী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে একই পন্থায় গ্রহণ করা হয় মূল্যবান সাজেশন সমূহ। বিগত চব্বিশ বছরে ‘মুনা’ কি করেছে বর্ণনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ‘মুনা’কে কিভাবে দেখতে চান তাঁরা, এটি ছিল অনুষ্ঠানের মূল বিষয়।
দ্বিতীয় সেশনের মডারেটর ছিলেন সংগঠনের বর্তমান সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট আবু আহমেদ নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রতিটি বক্তা ও পরামর্শকের মূল বক্তব্যটি সাথে সাথে ‘কম্পিউটার বন্দি’ করার জন্য ছিল একটি ‘স্ক্রিনিং’ বোর্ড। পুরুষ-মহিলা উভয় শ্রেণীর পক্ষ থেকে সকল পরামর্শ গ্রহণের পর স্ক্রিনিং বোর্ড প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে পরামর্শগুলো পড়ে শোনায়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগঠনের ডাইরেক্টরগণ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং ‘মুনা’র প্রেসিডেন্ট ডা. সাঈদুর রহমান চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর কর্মস্থলের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি মাউন্ট সিনাই মেডিকেল সেন্টারের এফিলিয়েটড প্রতিষ্ঠান কুইন্স হসপিটাল সেন্টার এন এনওয়াইসি হেলথ এন্ড হসপিটাল সেন্টারে কাজ করেন। সেখানকার প্রশাসন প্রতিমাসে তাদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চিকিৎসার মান, প্রতিষ্ঠানের করণীয়সহ প্রাসঙ্গিক সকল পরামর্শ শুনেন এবং স্থানীয় মানুষের আসল প্রয়োজন কি তা তারা পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসেন এবং সে ভিত্তিতে হাসপাতাল পরিচালনা করেন।
পঁচিশ বছরের শুরুতে মুনা’র নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিজ কর্মস্থলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালেন কিনা তা জানা না গেলেও এটি যে একটি ব্যতিক্রমী, ফলপ্রসূ এবং অনুসরণীয় তা অংশগ্রহণকারী অনেকেই নির্দিধায় মন্তব্য করেছেন। ‘মুনা’র এ অনুষ্ঠান প্রবাসে অগণিত সংগঠনের জন্যে হতে পারে অনুকরণীয় এক মাইলফলক।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

পঁচিশ বছরে ‘মুনা’র পথচলা…

প্রকাশের সময় : ১০:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: ২৫ বছরে পা রেখেছে ‘মুনা’। মুসলিম উম্মহ অব নর্থ আমেরিকা ‘মুনা’ আজ থেকে চব্বিশ বছর পূর্বে (১৯৯০ইং) নিউইয়র্কে জন্ম নেয়া বাংলাদেশী কমিউনিটি ভিত্তিক একটি ইসলামিক, সামাজিক সংগঠন। উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে সুখী জীবনের পথ ও পন্থা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা এবং সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক সংগঠন হিসেবে কাজ করে আসছে ‘মুনা’। ‘মুনা’ উত্তর আমেরিকার প্রায় অর্ধেক অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশী কমিউনিটির মাঝে কাজ করে চলেছে। কেন্দ্র, জোন, চ্যাপ্টার, সাব-চ্যাপ্টার এমনি ভাবে ‘মুনা’ একটি মুজবুত সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তুলেছে বিগত চব্বিশ বছরে।
পঁচিশ বছরে পা রেখেই ‘মুনা’ যৌবনের তারুণ্যে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে উদার দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন পন্থায় উত্তর আমেরিকার মানব কল্যাণে ফলদায়ক কি করা যায় সে ভাবনাকে সামনে নিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী এক পরামর্শ সভার ডাক দিলেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট ডা. সাঈদুর রহমান চৌধুরী। এটি মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম ব্যতিক্রমী, অনুকরণীয় এক মাইলফলক।
গত ৮ নভেম্বর, শনিবার (২০১৪) নিউইয়র্ক, ব্রুকলীনের বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার (বিআইসি)তে অনুষ্ঠিত দু’ পর্বের এসভা ছিল সারাদিনব্যাপী। প্রথম সেশনে সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি ডা. সাইদুর রহমান চৌধুরী মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু আহমেদ নুরুজ্জামান ‘মুনা’র জন্মলগ্ন থেকে আজোবধি মুনা’র অর্জন এবং সাফল্য আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর আমেরিকার মেইন স্ট্রীম সংগঠনগুলোর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, থিংকট্যাঙ্ক, সমাজকর্মীসহ, সাংবাদিক, প্রফেসর, ল’ইয়ার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নেয়া হয়। তাঁরা মুনা’কে ভবিষ্যতে কিভাবে দেখতে চান, ‘মুনা’ আমেরিকান সমাজে কিভাবে আরো সাফল্যজনকভাবে মানব সেবায় নিয়োজিত হতে পারে সে বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।
আর দ্বিতীয় সেশনে বাংলা ভাষাভাষী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে একই পন্থায় গ্রহণ করা হয় মূল্যবান সাজেশন সমূহ। বিগত চব্বিশ বছরে ‘মুনা’ কি করেছে বর্ণনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে ‘মুনা’কে কিভাবে দেখতে চান তাঁরা, এটি ছিল অনুষ্ঠানের মূল বিষয়।
দ্বিতীয় সেশনের মডারেটর ছিলেন সংগঠনের বর্তমান সেন্ট্রাল প্রেসিডেন্ট আবু আহমেদ নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রতিটি বক্তা ও পরামর্শকের মূল বক্তব্যটি সাথে সাথে ‘কম্পিউটার বন্দি’ করার জন্য ছিল একটি ‘স্ক্রিনিং’ বোর্ড। পুরুষ-মহিলা উভয় শ্রেণীর পক্ষ থেকে সকল পরামর্শ গ্রহণের পর স্ক্রিনিং বোর্ড প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে পরামর্শগুলো পড়ে শোনায়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগঠনের ডাইরেক্টরগণ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন এবং ‘মুনা’র প্রেসিডেন্ট ডা. সাঈদুর রহমান চৌধুরী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তাঁর কর্মস্থলের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি মাউন্ট সিনাই মেডিকেল সেন্টারের এফিলিয়েটড প্রতিষ্ঠান কুইন্স হসপিটাল সেন্টার এন এনওয়াইসি হেলথ এন্ড হসপিটাল সেন্টারে কাজ করেন। সেখানকার প্রশাসন প্রতিমাসে তাদের ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চিকিৎসার মান, প্রতিষ্ঠানের করণীয়সহ প্রাসঙ্গিক সকল পরামর্শ শুনেন এবং স্থানীয় মানুষের আসল প্রয়োজন কি তা তারা পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসেন এবং সে ভিত্তিতে হাসপাতাল পরিচালনা করেন।
পঁচিশ বছরের শুরুতে মুনা’র নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিজ কর্মস্থলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালেন কিনা তা জানা না গেলেও এটি যে একটি ব্যতিক্রমী, ফলপ্রসূ এবং অনুসরণীয় তা অংশগ্রহণকারী অনেকেই নির্দিধায় মন্তব্য করেছেন। ‘মুনা’র এ অনুষ্ঠান প্রবাসে অগণিত সংগঠনের জন্যে হতে পারে অনুকরণীয় এক মাইলফলক।