নিউইয়র্ক ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিলামে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৭০৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিলামে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটিপ। দাম হঁকা হয়েছে দুই পদ নিয়ে। সভাপতি এক লক্ষ এবং সাধারণ সম্পাদক পদের দাম ৫০ হাজার ডলার। প্রকাশ্যেই বিষয়টি জানান দেয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীও আছেন। তবে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় অনেকেই এগুচ্ছেন সতর্কতার সাথে। পদ কিনতে গিয়ে যদি সর্বস্ব হারাতে হয়। সতর্কতার কারণ এখানেই। এর আগে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন কয়েকজনের পকেট হাতিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রের কতিপয় নেতা। বিএনপিতে এরা এখন ইতিহাস। পাততাড়ি গুটিয়ে হারিয়ে গেছে দল থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই। দলের চেয়ারপার্সন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সবাই এটা জানেন। এজন্য তারেক রহমান নিজেই উদ্যোগী হয়ে সম্ভাব্যদের সাথে লন্ডনে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। এনিয়ে হতাশায় জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনটির নেতা কর্মীরা। কলহ-কোন্দল চলছে যুগ যুগ ধরে। কমিটি নিয়ে লুকোচুরি কানামাছি ভু ভু খেলার নিষ্টুর শিকার দলের নেতা কর্মীদের অনেকেই। এর ফলে দল ও গ্রুপ বদলের ঘঠনা ঘটছে হরহামেশা।
বিশ্বস্থ সূত্রের মতে, অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ব্এিনপির মুল কমিটি গঠনে উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রের কতিপয় নেতা। এজন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিলামে বিক্রির কথা জানানো হয়েছে আগ্রহীদের। সভাপতি পদের দাম হাঁকা হয়েছে এক লক্ষ আর সাধারণ সম্পদক পদ ৫০ হাজার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নেতা বলেন, ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে সভাপতি পদ দেয়ার জন্য দরদাম করেছি। সংশ্লিষ্ট নেতাকে বলেছি একবারেই পুরোটা পরিশোধ করবো। সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী একজন ৩০ হাজার পর্যন্ত দিতে রাজী আছেন। তবে নিলামের দায়িত্বে নিয়োজিত নেতা বলেছেন দরদাম হবে না। এই দুই পদ নির্দিষ্ট দামেই বিক্রি করা সম্ভব। এজন্য প্রার্থীও রয়েছে অনেকে।
এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাথে জড়িত অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় এটা দেখে ছাড়বো। নিলামে পদ কিনে লাভ নেই। নেতা কর্মীদের মারের ছুটে পালাতে হবে এদের। দূর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধেও স্বোচ্চার হওয়ার হুশিয়ারীও উচ্চারণ করেন তারা।
জানা গেছে, উপরোক্ত দুই পদে অর্থ হাকার কারণ জানতে কেউ কেউ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরে তারা বলেছেন, লবিংয়ের কাজে এটা প্রয়োজন। তবে এটা হালে তেমন পানি পায়নি।
বিএনপির কথিত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি বাদ দিয়ে স্টেট কমিটি গঠনের চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতারা বলেছেন, স্টেট কমিটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি চলবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দিতেই হবে। এক্ষেত্রে অন্যথা হলে কতধানে কত চাল তা সময়ই বলবে। বিষয়টি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র এক শীর্ষ নেতা অতি সম্প্রতি তার ফেইস বুক স্ট্যাটাসে এভাভেই তুলে ধরেছেন নিজ হতাশার কথা-
‘রাজনীতিতে নীতি নির্ধারকদের ভুল সিদ্ধান্ত আরো অনেক মৃত্যু অনেক নির্যাতন অনেক ভোগান্তি ডেকে নিয়ে আসে। সর্বপরি গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার নিকটবর্তী সম্ভাবনাকেও অনেক দুরে ঠেলে দিয়ে এক অজানা দুর্গম অনিশ্চিত পথচলায় হাকিয়ে নেয় তা আজ প্রমানিত সত্য। কিন্তু তার পরেও যদি ভুল করতেই থাকি তাহলে কোথায় গিয়ে দাড়ায় সবকিছু ? যুক্তরাষ্ট্র বি এন পির কমিটি নিয়ে অনেক ফান করা হয়েছে : দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সাভাবিক ভাবেই এখানে নোংরামি গ্রুপিং চলছে: একটা মন্দের ভালো স্ট্রাকচার দিলে এটা আর থাকত না কিন্তু তা না করে ইদানিং কে বা কারা শীর্ষ নেতাকে ভুল ভুঝিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বি এন পি না করে শুধু প্রদেশ ভিত্তিক কমিটি করার বুদ্ধি দিয়েছে : সারা পৃথিবীর সব দেশে কমিটি দিতে পারলে অন্তত ১/১১ এর সময় দলের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো ভুমিকা পালনকারী যুক্তরাষ্ট্রের বি এন পির বেলায় এই বিমাতাসুলভ আচরণ কেন ? তবে একটা কথা বলতে পারি হলফ করে যে দেশের আন্দোলনের মত এখানেও দলকে লাটে তোলার ব্যবস্থা হচ্ছে !! অনেক নিষ্ঠাবান সংগঠক রাজনীতি বাদ দিবে : আগামীতে হাসিনা নিউইয়র্ক এলে অথবা আমাদের শীর্ষ নেতা/নেত্রী এলে এখানে আওয়ামী লীগ-কে সামলাবে কোন প্রদেশ থেকে এসে তাই এখন ভাবনার বিষয়। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিলামে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিলামে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটিপ। দাম হঁকা হয়েছে দুই পদ নিয়ে। সভাপতি এক লক্ষ এবং সাধারণ সম্পাদক পদের দাম ৫০ হাজার ডলার। প্রকাশ্যেই বিষয়টি জানান দেয়া হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীও আছেন। তবে অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতায় অনেকেই এগুচ্ছেন সতর্কতার সাথে। পদ কিনতে গিয়ে যদি সর্বস্ব হারাতে হয়। সতর্কতার কারণ এখানেই। এর আগে সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন কয়েকজনের পকেট হাতিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রের কতিপয় নেতা। বিএনপিতে এরা এখন ইতিহাস। পাততাড়ি গুটিয়ে হারিয়ে গেছে দল থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি নেই। দলের চেয়ারপার্সন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সবাই এটা জানেন। এজন্য তারেক রহমান নিজেই উদ্যোগী হয়ে সম্ভাব্যদের সাথে লন্ডনে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সমস্যার কোন সুরাহা হয়নি। এনিয়ে হতাশায় জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্র বিএনটির নেতা কর্মীরা। কলহ-কোন্দল চলছে যুগ যুগ ধরে। কমিটি নিয়ে লুকোচুরি কানামাছি ভু ভু খেলার নিষ্টুর শিকার দলের নেতা কর্মীদের অনেকেই। এর ফলে দল ও গ্রুপ বদলের ঘঠনা ঘটছে হরহামেশা।
বিশ্বস্থ সূত্রের মতে, অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ব্এিনপির মুল কমিটি গঠনে উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রের কতিপয় নেতা। এজন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিলামে বিক্রির কথা জানানো হয়েছে আগ্রহীদের। সভাপতি পদের দাম হাঁকা হয়েছে এক লক্ষ আর সাধারণ সম্পদক পদ ৫০ হাজার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নেতা বলেন, ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে সভাপতি পদ দেয়ার জন্য দরদাম করেছি। সংশ্লিষ্ট নেতাকে বলেছি একবারেই পুরোটা পরিশোধ করবো। সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী একজন ৩০ হাজার পর্যন্ত দিতে রাজী আছেন। তবে নিলামের দায়িত্বে নিয়োজিত নেতা বলেছেন দরদাম হবে না। এই দুই পদ নির্দিষ্ট দামেই বিক্রি করা সম্ভব। এজন্য প্রার্থীও রয়েছে অনেকে।
এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাথে জড়িত অনেকেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায় এটা দেখে ছাড়বো। নিলামে পদ কিনে লাভ নেই। নেতা কর্মীদের মারের ছুটে পালাতে হবে এদের। দূর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধেও স্বোচ্চার হওয়ার হুশিয়ারীও উচ্চারণ করেন তারা।
জানা গেছে, উপরোক্ত দুই পদে অর্থ হাকার কারণ জানতে কেউ কেউ সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন করেছিলেন। উত্তরে তারা বলেছেন, লবিংয়ের কাজে এটা প্রয়োজন। তবে এটা হালে তেমন পানি পায়নি।
বিএনপির কথিত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি বাদ দিয়ে স্টেট কমিটি গঠনের চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে।
এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতারা বলেছেন, স্টেট কমিটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি চলবে না। কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দিতেই হবে। এক্ষেত্রে অন্যথা হলে কতধানে কত চাল তা সময়ই বলবে। বিষয়টি সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র এক শীর্ষ নেতা অতি সম্প্রতি তার ফেইস বুক স্ট্যাটাসে এভাভেই তুলে ধরেছেন নিজ হতাশার কথা-
‘রাজনীতিতে নীতি নির্ধারকদের ভুল সিদ্ধান্ত আরো অনেক মৃত্যু অনেক নির্যাতন অনেক ভোগান্তি ডেকে নিয়ে আসে। সর্বপরি গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার নিকটবর্তী সম্ভাবনাকেও অনেক দুরে ঠেলে দিয়ে এক অজানা দুর্গম অনিশ্চিত পথচলায় হাকিয়ে নেয় তা আজ প্রমানিত সত্য। কিন্তু তার পরেও যদি ভুল করতেই থাকি তাহলে কোথায় গিয়ে দাড়ায় সবকিছু ? যুক্তরাষ্ট্র বি এন পির কমিটি নিয়ে অনেক ফান করা হয়েছে : দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সাভাবিক ভাবেই এখানে নোংরামি গ্রুপিং চলছে: একটা মন্দের ভালো স্ট্রাকচার দিলে এটা আর থাকত না কিন্তু তা না করে ইদানিং কে বা কারা শীর্ষ নেতাকে ভুল ভুঝিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বি এন পি না করে শুধু প্রদেশ ভিত্তিক কমিটি করার বুদ্ধি দিয়েছে : সারা পৃথিবীর সব দেশে কমিটি দিতে পারলে অন্তত ১/১১ এর সময় দলের পক্ষে সবচেয়ে জোরালো ভুমিকা পালনকারী যুক্তরাষ্ট্রের বি এন পির বেলায় এই বিমাতাসুলভ আচরণ কেন ? তবে একটা কথা বলতে পারি হলফ করে যে দেশের আন্দোলনের মত এখানেও দলকে লাটে তোলার ব্যবস্থা হচ্ছে !! অনেক নিষ্ঠাবান সংগঠক রাজনীতি বাদ দিবে : আগামীতে হাসিনা নিউইয়র্ক এলে অথবা আমাদের শীর্ষ নেতা/নেত্রী এলে এখানে আওয়ামী লীগ-কে সামলাবে কোন প্রদেশ থেকে এসে তাই এখন ভাবনার বিষয়। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)