নিউইয়র্ক ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৮০৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের পছন্দের নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। কিছু দিন আগে মরিচের ঝাঁজ দিয়ে পণ্যের দাম বাড়ার সূচনা হলেও গত সপ্তাহে গরু, খাসি, মুরগীসহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে এর মধ্যে সুখবর হয়ে দেখা দিয়েছে পিয়াজ ও মরিচের দাম কমার বিষয়টি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহকারীরা দাম বাড়ানোর কারণে গ্রোসারী শপগুলোও দাম বাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো যদি সিন্ডিকেট করে এখানে দাম বাড়ে তাহলে সমস্যা, তবে পিয়াজ এবং মরিচের দাম কমে যাওয়ার কারণে সে আশঙ্কা আপাতত করছিনা। অন্যদিকে স্কুল সাপ্লাইয়ের জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও মজুরী বাড়ছে না, ফলে এক প্রকার হিমশিম খেতে হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে।
নিউইয়র্কের বাঙ্গালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জামাইকা, ব্রঙ্কের বিভিন্ন ক্রেতা ও গ্রোসারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকেই মূলত পণ্যের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে গরুর মাংস এক পাউন্ড যেখানে ২ ডলার ৬৯ সেন্টে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্রোসারী মালিকরা কিনতেন সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ ডলার ৯০ সেন্টে। অর্থাৎ প্রতি পাউন্ডে বেড়েছে ২০ সেন্ট করে।
NY Bazar- 2নিউজার্সি থেকে গরুর মাংস সরবরাহকারী মক্কা কোম্পানির কাছ থেকে জামাইকার সরবরাহ নেয়া একজন গ্রোসারী কর্মচারী বলেন, পাউন্ড প্রতি গরুর মাংস ২০ সেন্ট বেড়ে যাওয়া কম কথা না। কারণ আমরা ২০ সেন্ট করেও যদি পাউন্ড প্রতি বাড়িয়ে রাখি তাহলে তিন ডলারের উপরে চলে যাবে পাউন্ড। তিনি বলেন, একই অবস্থা ছাগলের মাংসের ক্ষেত্রেও। গত সপ্তাহে এক পাউন্ড খাসির মাংস ৫ ডলার ৬০ সেন্টে কেনা পড়লেও চলতি সপ্তাহে ১০ সেন্ট বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মাছের দামও। বড় রুই মাছ যেখানে এক সপ্তাহ আগেও পাউন্ড এক ডলার ৮০ সেন্টে কেনা পড়তো সেখানে এখন কেনা পড়ছে দুই ডলার ১০ সেন্টে। পাঙ্গাসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডে দশ সেন্ট করে বেড়েছে।
জ্যামাইকার তিতাস গ্রোসারির ক্যাশিয়ার আলী বলেন, আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে ডিমের দাম। কিছুদিন আগেই ১৮ পিস ডিমের দাম দুই ডলার ৭৯ সেন্ট থাকলেও এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৪ ডলার ২৯ সেন্টে। প্যানসেলভেনিয়া থেকে এ ডিম সরবরাহ হয়ে থাকে বলে ডিমের দাম কেন বাড়ছে তারও কোন সদত্তোর নেই গ্রোসারী মালিকদের।
আলী বলেন, সুখবর হলো অনেক দিন উর্দ্ধমুখী থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে মরিচের দাম। যেখানে আকাশ ছোঁয়া মরিচ গত সপ্তাহেও প্রতি পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ৭ ডলারের মধ্যে সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে তিন ডলার ৫০ সেন্টে। এছাড়া কানাডিয়ান পেয়াজ ৬ ডলারে ছুঁইলেও এখন তা তিন ডলারের মধ্যে চলে এসেছে।
হঠাৎ করে কেন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এমন প্রশ্নে গ্রোসারী সংশ্লিষ্টরা এ সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না। শুধু বলছেন, সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে গ্রোসারী মালিকদেররও দাম বাড়াতে হচ্ছে। তবে তিনি এখানে সিন্ডিকেট হচ্ছে এ কথা মানতে রাজী নন। আর স্কুল সাল্পাইতো চলতি বছর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীদের পেরেন্টসরা।
জ্যামাইকার ১৭১ স্টীটের বাসিন্দা আকতার হোসেন বলেন, পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। সম্প্রতি রেষ্টুরেন্ট কর্মচারীদের জন্য নতুন মজুরী ঘোষণা হলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস

প্রকাশের সময় : ০৮:০১:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের পছন্দের নিত্য পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। কিছু দিন আগে মরিচের ঝাঁজ দিয়ে পণ্যের দাম বাড়ার সূচনা হলেও গত সপ্তাহে গরু, খাসি, মুরগীসহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে এর মধ্যে সুখবর হয়ে দেখা দিয়েছে পিয়াজ ও মরিচের দাম কমার বিষয়টি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহকারীরা দাম বাড়ানোর কারণে গ্রোসারী শপগুলোও দাম বাড়িয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, বাংলাদেশের মতো যদি সিন্ডিকেট করে এখানে দাম বাড়ে তাহলে সমস্যা, তবে পিয়াজ এবং মরিচের দাম কমে যাওয়ার কারণে সে আশঙ্কা আপাতত করছিনা। অন্যদিকে স্কুল সাপ্লাইয়ের জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্য পণ্যের দাম বাড়লেও মজুরী বাড়ছে না, ফলে এক প্রকার হিমশিম খেতে হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে।
নিউইয়র্কের বাঙ্গালী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, জামাইকা, ব্রঙ্কের বিভিন্ন ক্রেতা ও গ্রোসারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকেই মূলত পণ্যের দাম বাড়া শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে গরুর মাংস এক পাউন্ড যেখানে ২ ডলার ৬৯ সেন্টে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্রোসারী মালিকরা কিনতেন সেখানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ ডলার ৯০ সেন্টে। অর্থাৎ প্রতি পাউন্ডে বেড়েছে ২০ সেন্ট করে।
NY Bazar- 2নিউজার্সি থেকে গরুর মাংস সরবরাহকারী মক্কা কোম্পানির কাছ থেকে জামাইকার সরবরাহ নেয়া একজন গ্রোসারী কর্মচারী বলেন, পাউন্ড প্রতি গরুর মাংস ২০ সেন্ট বেড়ে যাওয়া কম কথা না। কারণ আমরা ২০ সেন্ট করেও যদি পাউন্ড প্রতি বাড়িয়ে রাখি তাহলে তিন ডলারের উপরে চলে যাবে পাউন্ড। তিনি বলেন, একই অবস্থা ছাগলের মাংসের ক্ষেত্রেও। গত সপ্তাহে এক পাউন্ড খাসির মাংস ৫ ডলার ৬০ সেন্টে কেনা পড়লেও চলতি সপ্তাহে ১০ সেন্ট বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে মাছের দামও। বড় রুই মাছ যেখানে এক সপ্তাহ আগেও পাউন্ড এক ডলার ৮০ সেন্টে কেনা পড়তো সেখানে এখন কেনা পড়ছে দুই ডলার ১০ সেন্টে। পাঙ্গাসের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পাউন্ডে দশ সেন্ট করে বেড়েছে।
জ্যামাইকার তিতাস গ্রোসারির ক্যাশিয়ার আলী বলেন, আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে ডিমের দাম। কিছুদিন আগেই ১৮ পিস ডিমের দাম দুই ডলার ৭৯ সেন্ট থাকলেও এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৪ ডলার ২৯ সেন্টে। প্যানসেলভেনিয়া থেকে এ ডিম সরবরাহ হয়ে থাকে বলে ডিমের দাম কেন বাড়ছে তারও কোন সদত্তোর নেই গ্রোসারী মালিকদের।
আলী বলেন, সুখবর হলো অনেক দিন উর্দ্ধমুখী থাকার কারণে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে মরিচের দাম। যেখানে আকাশ ছোঁয়া মরিচ গত সপ্তাহেও প্রতি পাউন্ড বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ৭ ডলারের মধ্যে সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে তিন ডলার ৫০ সেন্টে। এছাড়া কানাডিয়ান পেয়াজ ৬ ডলারে ছুঁইলেও এখন তা তিন ডলারের মধ্যে চলে এসেছে।
হঠাৎ করে কেন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি এমন প্রশ্নে গ্রোসারী সংশ্লিষ্টরা এ সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না। শুধু বলছেন, সরবরাহকারীরা দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে গ্রোসারী মালিকদেররও দাম বাড়াতে হচ্ছে। তবে তিনি এখানে সিন্ডিকেট হচ্ছে এ কথা মানতে রাজী নন। আর স্কুল সাল্পাইতো চলতি বছর ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীদের পেরেন্টসরা।
জ্যামাইকার ১৭১ স্টীটের বাসিন্দা আকতার হোসেন বলেন, পণ্যের দাম বাড়ছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। সম্প্রতি রেষ্টুরেন্ট কর্মচারীদের জন্য নতুন মজুরী ঘোষণা হলেও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)