নিউইয়র্ক ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি : আ. লীগ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র-সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. মুজিব

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ১০৩৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দলের বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টাপর পদ থেকে সদ্য অব্যহতিপ্রাপ্ত ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেছেন, গোটা বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়। মানুষের মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার বলতে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হয়েছে। বৃহৎ গণমানুষের দূর্বার প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী। দেশের যে অবস্থা তাতে আমাদের পদ-পদবী বড় নয়, বড় হচ্ছে পাকিস্তানী স্বৈরাচারীর মতো অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন। গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যার এই সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সামসুল ইসলাম মজনু ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং আব্বাস উদ্দিন দুলালসহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, রকিব উদ্দিন দুলাল, এম এ সবুর, জাফর তালুকদার, সফিকুল ইসলাম দুলাল, শাহজাহান শেখ, ওমর ফারুক, মোর্শেদ চৌধুরী, বদিউল আলম চৌধুরী, শাহাদৎ হোসেন রাজু, শহীদুল হক, এডভোকেট খায়রুল বাসার, জাহিদ দেওয়ান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, গোটা বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়। মানুষের মৌলিক অধিকার কিংবা সাংবিধানিক অধিকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের সর্বত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ঠাঙ্গারে বাহিনী দিয়ে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জালিয়াতির নির্বাচন, দূর্নীতি, মিথ্যা আশ্বাস ও জী হুজুর মন্ত্রী দিয়ে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করছে তা শুধুই খোলস আর প্রপাগান্ডার পোষ্টার মাত্র। বৃহৎ গণমানুষের দূর্বার প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। স্বৈরাচারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে কর্তৃত্ববাদী এই সরকারের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ওরা নির্বিচারে মানুষ হত্যার সাথে সাথে দেশের ভিতরে-বাইরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে ডা. মুজিব আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে ক্ষান্ত হয়নি। তার উপর পেপার স্প্রেও নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং তারা (সরকার) সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বালাচ্ছে। মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে মারছে। নিরস্ত্র মানুষকে আটক করে রাজনৈতিক কর্মী বলে রিমান্ডে নিয়ে হয়রানী করছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিনের গাড়ী সরকারী লোকেরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয় এবং তার ব্যক্তিগত গাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, যুবদল নেতা মোরশেদ আলম পারভেজকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যা নাকি প্রকারান্তরে সরকার তার বাহিনীকে যে নির্দেশ দিয়েছে তারই বহি: প্রকাশ। ইতিমধ্যে বিজিবি প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন ‘প্রয়োজন হলে গুলি চালানো হবে’ এবং সরকারের অর্থমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও শেখ হানিা কোন কর্ণপাত করছেন না।
ডা. মুজিব তার লিখিত বক্তব্যে দল ও দেশের স্বার্থে সরকারকে স্বৈরাচারী আচরণ ও সংবিধানের মৌলিক অধিকার হরণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার একজন সৈনিকের ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে জীবনের বিনিময়ে হলেও তার নির্দেশ পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছয়জন কংগ্রেসম্যানের নামে প্রদত্ত বিবৃতির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই এবং এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরো বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে দলের অন্যতম উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুককে ঘটনাটি তলিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মজুমদার বলেন, আমার নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা দলের বৈদেশিক দূত ও উপদেষ্টার বিষয়ে আমার নাম প্রত্যাহার করার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। তবে আমি এব্যাপারে কোন পত্র পাইনি। তারপরও জিয়ার সৈনিক, দলের কর্মী হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি এবং আগামী দিনেও দল যে দায়িত্ব দেবে তাও মেনে নেবো। তিনি বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী। দেশের যে অবস্থা তাতে আমাদের পদ-পদবী বড় নয়, বড় হচ্ছে পাকিস্তানী স্বৈরাচারীর মতো অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকার অসুস্থ্যতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক আসার আগে থেকেই তার (সাদেক হোসেন খোকা) চিকিৎসক হিসেবে আমি তদারকি করে আসছি। বর্তমানে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তার চিকিৎসা করছেন। এই দলের পরামর্শেই তার চিকিৎসা চলছে। তাই তার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিশেষজ্ঞ দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রাবস্থায় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। একসময় সিপিবি’র রাজনীতির সমর্থক ছিলাম। পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুবদলের সদস্য হিসেবে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। আমি কোনদিন আওয়ামী লীগ করিনি, আর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো না। আমি কোন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত কিনা তা দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাই দেখবেন। তিনি বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী সরকারই প্রতিদিন ষড়যন্ত্র করছে।
সরদার এফ সাদী’র তার সম্পর্কের বিষয়ে ডা. মুজিব বলেন, দলের একজন কর্মী-সমর্থক ছাড়া তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক নেই। তার কর্মকান্ড সম্পর্কে আমি অবহিতও নই।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি : আ. লীগ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র-সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. মুজিব

প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দলের বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টাপর পদ থেকে সদ্য অব্যহতিপ্রাপ্ত ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেছেন, গোটা বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়। মানুষের মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার বলতে কিছু নেই। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী সরকারে পরিণত হয়েছে। বৃহৎ গণমানুষের দূর্বার প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী। দেশের যে অবস্থা তাতে আমাদের পদ-পদবী বড় নয়, বড় হচ্ছে পাকিস্তানী স্বৈরাচারীর মতো অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পালকি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথা বলেন। গত ১৫ জানুয়ারী বৃহস্প্রতিবার সন্ধ্যার এই সাংবাদিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ মাস্টার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সামসুল ইসলাম মজনু ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং আব্বাস উদ্দিন দুলালসহ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন, রকিব উদ্দিন দুলাল, এম এ সবুর, জাফর তালুকদার, সফিকুল ইসলাম দুলাল, শাহজাহান শেখ, ওমর ফারুক, মোর্শেদ চৌধুরী, বদিউল আলম চৌধুরী, শাহাদৎ হোসেন রাজু, শহীদুল হক, এডভোকেট খায়রুল বাসার, জাহিদ দেওয়ান শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, গোটা বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায়। মানুষের মৌলিক অধিকার কিংবা সাংবিধানিক অধিকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছে না স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের সর্বত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ঠাঙ্গারে বাহিনী দিয়ে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জালিয়াতির নির্বাচন, দূর্নীতি, মিথ্যা আশ্বাস ও জী হুজুর মন্ত্রী দিয়ে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা কাঠামোর প্রতিনিধিত্ব করছে তা শুধুই খোলস আর প্রপাগান্ডার পোষ্টার মাত্র। বৃহৎ গণমানুষের দূর্বার প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারের বিদায় অবশ্যম্ভাবী। স্বৈরাচারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে কর্তৃত্ববাদী এই সরকারের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ওরা নির্বিচারে মানুষ হত্যার সাথে সাথে দেশের ভিতরে-বাইরে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে ডা. মুজিব আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে ক্ষান্ত হয়নি। তার উপর পেপার স্প্রেও নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং তারা (সরকার) সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বালাচ্ছে। মানুষকে নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে মারছে। নিরস্ত্র মানুষকে আটক করে রাজনৈতিক কর্মী বলে রিমান্ডে নিয়ে হয়রানী করছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিনের গাড়ী সরকারী লোকেরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয় এবং তার ব্যক্তিগত গাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, যুবদল নেতা মোরশেদ আলম পারভেজকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যা নাকি প্রকারান্তরে সরকার তার বাহিনীকে যে নির্দেশ দিয়েছে তারই বহি: প্রকাশ। ইতিমধ্যে বিজিবি প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন ‘প্রয়োজন হলে গুলি চালানো হবে’ এবং সরকারের অর্থমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও শেখ হানিা কোন কর্ণপাত করছেন না।
ডা. মুজিব তার লিখিত বক্তব্যে দল ও দেশের স্বার্থে সরকারকে স্বৈরাচারী আচরণ ও সংবিধানের মৌলিক অধিকার হরণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার একজন সৈনিকের ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে জীবনের বিনিময়ে হলেও তার নির্দেশ পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পরে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছয়জন কংগ্রেসম্যানের নামে প্রদত্ত বিবৃতির সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই এবং এব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরো বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে দলের অন্যতম উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুককে ঘটনাটি তলিয়ে দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মজুমদার বলেন, আমার নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা দলের বৈদেশিক দূত ও উপদেষ্টার বিষয়ে আমার নাম প্রত্যাহার করার বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছেন। তবে আমি এব্যাপারে কোন পত্র পাইনি। তারপরও জিয়ার সৈনিক, দলের কর্মী হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি এবং আগামী দিনেও দল যে দায়িত্ব দেবে তাও মেনে নেবো। তিনি বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি শহীদ জিয়ার সৈনিক, বিএনপির কর্মী। দেশের যে অবস্থা তাতে আমাদের পদ-পদবী বড় নয়, বড় হচ্ছে পাকিস্তানী স্বৈরাচারীর মতো অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাদেক হোসেন খোকার অসুস্থ্যতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক আসার আগে থেকেই তার (সাদেক হোসেন খোকা) চিকিৎসক হিসেবে আমি তদারকি করে আসছি। বর্তমানে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল তার চিকিৎসা করছেন। এই দলের পরামর্শেই তার চিকিৎসা চলছে। তাই তার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি বিশেষজ্ঞ দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রাবস্থায় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। একসময় সিপিবি’র রাজনীতির সমর্থক ছিলাম। পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যুবদলের সদস্য হিসেবে এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলাম। আমি কোনদিন আওয়ামী লীগ করিনি, আর ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করবো না। আমি কোন ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত কিনা তা দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাই দেখবেন। তিনি বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী সরকারই প্রতিদিন ষড়যন্ত্র করছে।
সরদার এফ সাদী’র তার সম্পর্কের বিষয়ে ডা. মুজিব বলেন, দলের একজন কর্মী-সমর্থক ছাড়া তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোন সম্পর্ক নেই। তার কর্মকান্ড সম্পর্কে আমি অবহিতও নই।