নিউইয়র্ক ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতিসংঘের সামনে মাতৃভাষা ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • / ১৩৪৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: অমর একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড। সংসদের আহবায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী বলেছেন, যে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে তাতে ২১ ফেব্রুয়ারী বা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ মিনারের কোন ধরনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেনি। বাঙ্গালী জাতির চেতনার প্রতীক শহীদ মিনারের অবয়বে এটা তৈরী করা হয়নি বলেই এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক মুকিত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমরা শহীদ মিনারে পাদদেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কিন্তু জাতিসংঘের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে কি করে? মানুষের আবেগের সাথে জড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। সেখানে সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এতে শহীদ মিনারের অবয়ব পরিবর্তন বা এটাকে বিকৃত করা হয়েছে। ঐতিহ্য, শ্রদ্ধা এবং স্মৃতির বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উচু মিনার মাথা নত করে দুই পাশের দুই সন্তানকে হাত বুলিয়ে দেয়ার যে অবয়ব তার সাথে এর কোন মিল নেই। যেটি দেখা যাচ্ছে সেটি দেখলে মনে হচ্ছে কয়েকটি ভাস্কর্য। এ ধরনের স্থাপনায় ফুল দেয়া ভাষা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননার শামিল।
এদিকে ভাস্কর্য স্থাপনকারী বা আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যারা এখন কথা বলছেন তারা আগে এনিয়ে কথা বলেননি কেন?
১৪ ফেব্রুয়ারী রোববার রাতে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টা ৩০মিনিটে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেয়া শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য পরিদর্শকালে ‘এ ভাস্কর্য স্থাপন এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আরো বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির পর বাংলা ও বাঙালীত্বের জয়গান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, আপনারা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য স্থাপন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ গত ২৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক বলয়ে একুশকে তুলে ধরার যে কাজটি করেছে তার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আরো বলেছেন, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আপনারা প্রত্যেকই বাংলাদেশের দূত। তিনি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নিউইয়র্ক গভর্ণর কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করার জন্য। আমেরিকার পোস্টাল ডিপাটমেন্ট কর্তৃক (ইউএসপিএস) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মারক স্ট্যাম্প এর প্রকাশের খবরকে তিনি আর মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করে এবছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন মাত্রা যোগ করছে বলে উল্লেখ করেন।
নিউইয়র্কে মাইনাস ১৪ ডিগ্রী সেলিসিয়াস ঠান্ডার মধ্যে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশ্বজিত সাহার সঞ্চালনে অনুষ্টিত ভাস্কর্য পরিদর্শন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, বাঙালী চেতনা মঞ্চের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, মেহেদী হাসান, শাহাদাৎ হোসেন এবং কবি কাজী জহিরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সময় রাত ১২.০১ মিনিট, যুক্তরাষ্ট্র সময় ২০ ফেব্রুয়ারী বেলা ১.০১ মিনিটে মাতৃভাষা দিবসের উপর স্থাপিত এই ভাস্কর্যে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালীরা সমবেতভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসানসহ নিউইয়র্ক স্টেটের গর্ভণর অফিস, মেয়র অফিস, কম্প্রট্রলার অফিস, সিটি হলসহ অনেকে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরো জানানো হয়, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই ভাস্কর্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে থাকবে।
এছাড়ও আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারী জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে একুশের গ্রন্থমেলা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারে অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
উল্লেখ্য, ‘ডাচবাংলা ব্যাংক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর গর্বিত স্পন্সর হলো: বাংলাদেশের ডাচ বাংলা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। সূত্র: সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জাতিসংঘের সামনে মাতৃভাষা ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ০৭:৩১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

নিউইয়র্ক: অমর একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে স্থাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড। সংসদের আহবায়ক আবদুল মুকিত চৌধুরী বলেছেন, যে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে তাতে ২১ ফেব্রুয়ারী বা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা ও স্মৃতিতে নির্মিত শহীদ মিনারের কোন ধরনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেনি। বাঙ্গালী জাতির চেতনার প্রতীক শহীদ মিনারের অবয়বে এটা তৈরী করা হয়নি বলেই এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক মুকিত চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমরা শহীদ মিনারে পাদদেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করি। কিন্তু জাতিসংঘের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে কি করে? মানুষের আবেগের সাথে জড়িয়ে আছে শহীদ মিনার। সেখানে সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এতে শহীদ মিনারের অবয়ব পরিবর্তন বা এটাকে বিকৃত করা হয়েছে। ঐতিহ্য, শ্রদ্ধা এবং স্মৃতির বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উচু মিনার মাথা নত করে দুই পাশের দুই সন্তানকে হাত বুলিয়ে দেয়ার যে অবয়ব তার সাথে এর কোন মিল নেই। যেটি দেখা যাচ্ছে সেটি দেখলে মনে হচ্ছে কয়েকটি ভাস্কর্য। এ ধরনের স্থাপনায় ফুল দেয়া ভাষা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননার শামিল।
এদিকে ভাস্কর্য স্থাপনকারী বা আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এ ধরনের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। যারা এখন কথা বলছেন তারা আগে এনিয়ে কথা বলেননি কেন?
১৪ ফেব্রুয়ারী রোববার রাতে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৪টা ৩০মিনিটে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেয়া শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য পরিদর্শকালে ‘এ ভাস্কর্য স্থাপন এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আরো বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির পর বাংলা ও বাঙালীত্বের জয়গান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে, আপনারা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ভাস্কর্য স্থাপন করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ গত ২৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক বলয়ে একুশকে তুলে ধরার যে কাজটি করেছে তার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আরো বলেছেন, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আপনারা প্রত্যেকই বাংলাদেশের দূত। তিনি মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান নিউইয়র্ক গভর্ণর কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করার জন্য। আমেরিকার পোস্টাল ডিপাটমেন্ট কর্তৃক (ইউএসপিএস) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মারক স্ট্যাম্প এর প্রকাশের খবরকে তিনি আর মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করে এবছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নতুন মাত্রা যোগ করছে বলে উল্লেখ করেন।
নিউইয়র্কে মাইনাস ১৪ ডিগ্রী সেলিসিয়াস ঠান্ডার মধ্যে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিশ্বজিত সাহার সঞ্চালনে অনুষ্টিত ভাস্কর্য পরিদর্শন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, বাঙালী চেতনা মঞ্চের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, মেহেদী হাসান, শাহাদাৎ হোসেন এবং কবি কাজী জহিরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
২০ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সময় রাত ১২.০১ মিনিট, যুক্তরাষ্ট্র সময় ২০ ফেব্রুয়ারী বেলা ১.০১ মিনিটে মাতৃভাষা দিবসের উপর স্থাপিত এই ভাস্কর্যে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালীরা সমবেতভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, কনসাল জেনারেল শামীম আহসানসহ নিউইয়র্ক স্টেটের গর্ভণর অফিস, মেয়র অফিস, কম্প্রট্রলার অফিস, সিটি হলসহ অনেকে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরো জানানো হয়, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই ভাস্কর্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে থাকবে।
এছাড়ও আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারী জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে একুশের গ্রন্থমেলা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ সরকারে অর্থ বিষয়ক মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
উল্লেখ্য, ‘ডাচবাংলা ব্যাংক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর গর্বিত স্পন্সর হলো: বাংলাদেশের ডাচ বাংলা ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। সূত্র: সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা