নিউইয়র্ক ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই : আলোচনায় বসুন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৭৯০ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তর আমেরিকার ৩২জন সচেতন প্রবাসী এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই। বিবৃতিতে দেশের চলমান সঙ্কটের সমাধানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকার ও বিরোধীদলের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়।
১৯ জানুয়ারী সোমবার প্রদত্ত উত্তর আমেরিকা প্রবাসী সচেতন বাংলাদেশীদের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়: বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, মানুষের জান মাল আজ হুমকির সম্মুখীন। একদিকে ক্ষমতাসীন শাসক দল কর্তৃক বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং হামলা মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, অন্যদিকে তার বিপরীতে বিরোধী দলের লাগাতার অবরোধ, হরতালের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে যেকোন বিবেকবান মানুষই শংকিত না হয়ে পারে না। আমরা যারা স্বদেশ ভূমি থেকে দূরে বহু দূরে জীবন ও জীবিকার জন্যে এই প্রবাসে ছুটে এসেছি এবং মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে এই বিশ্ব মন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছি, তারা যখন দেখি আমাদের ফেলে আসা দেশ এক ভয়ানক ‘আত্মঘাতী’ সংকটের আবর্ত্তে আবর্ত্তিত, তখন আমরা নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না।
বিবৃতিতে বলা হয়: দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান ও মারামারি-হানাহানি দেশের জন্য কোনক্রমেই মঙ্গলজনক নয়। একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এ হানাহানি দেশের অকল্যানই বয়ে আনবে। আমরা হৃদয় দিয়ে এটা উপলব্ধি করি যে, এই অবস্থা বেশী দিন চলতে পারে না। আজ দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে আমাদের অতি দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছুতে হবে। অন্যথায় এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। তাই জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে দল, মত, জাতি, ধর্ম, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের প্রবাসীদের একান্ত আহ্বান আসুন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধরি। অনেক অশ্রু, ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখি।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়: আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি সরকারকেই করতে হবে। ক্ষমতায় থাকার কারণে আলোচনার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। আজকের সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানকল্পে সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে অবিলম্বে আলোচনায় বসতে হবে। এটাই আজ সময়ের দাবী। কারণ গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে যে, হিংসা হিংসাকেই ডেকে আনে। তাই আসুন হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করে সমস্যার সমাধানের পথে অগ্রসর হউন। সময় ফুরিয়ে যাবার পূর্বেই আমাদের প্রাণ প্রিয় মাতৃভুমি অগ্নিগর্ভা বাংলাদেশকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
বিবৃতিতে যারা সম্মতি প্রদানকারীরা হচ্ছেন: মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ (নিউইয়র্ক), ড. দেলোয়ার হোসেন (নিউইয়র্ক), ড. এম. আদেল মিয়া (প্রফেসর, আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়, আরকারসাস), ড. সিরাজুল হক (বোষ্টন), আতিকুর রহমান সালু (নিউজার্সী), আওলাদ হোসেন খান (নিউইয়র্ক), সৈয়দ টিপু সুলতান (নিউইয়র্ক), ডা. এম. বিল্লাহ (নিউইয়র্ক), এম. এ আওয়াল সিদ্দিক (নিউইয়র্ক), ডা. ওয়াদুদ ভূইয়া (নিউইয়র্ক), মোহাম্মদ নুরুল হক (নিউইয়র্ক), ড. গোলাম ফরিদ আকতার (মেরীল্যান্ড), ড. ইফফাত হোসেন (নিউজার্সী), মনজুর আহমেদ (নিউইয়র্ক), ড. মাহফুজ চৌধুরী (নিউইয়র্ক), ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ হারেস (মেরিল্যান্ড), ড. আশরাফ আহমেদ (মেরিল্যান্ড), ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুল হক (নিউইয়র্ক), নার্গিস আহমেদ (নিউইয়র্ক), আব্দুর রহিম হাওলাদার (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্ক), এজাজ আক্তার তৌফিক (মন্ট্রিয়ল, কানাডা), এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ (নিউইয়র্ক), আতাউর রহমান আতা (নিউইয়র্ক), সাব্বির আহমেদ লস্কর (নিউইয়র্ক), হাকিকুল ইসলাম খোকন (নিউইয়র্ক), খান শওকত (নিউইয়র্ক), সুভাষ মজুমদার (নিউইয়র্ক), মাহবুব রব চৌধুরী (টরোন্টো, কানাডা), আহাদ খন্দকার (টরোন্টো, কানাডা), তপন মাহমুদ (টরোন্টো, কানাডা), সৈয়দ দিলীর (লসএঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া) ও তৈমুর জাকারিয়া (নিউজার্সী) ।
বিবৃতিতে বলা হয়:
বন্ধ হউক দমন পীড়ন,
বন্ধ হউক হামলা-মামলা
হিংসার আগুণে জ্বলছে বাংলাদেশ
আমরা পরিত্রান চাই,
চাই শান্তি, চাই সমঝোতা
বন্ধ হউক জ্বালাও, পোড়াও
আলোচনার কোন বিকল্প নাই
শান্তি চাই-শান্তি চাই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই : আলোচনায় বসুন

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তর আমেরিকার ৩২জন সচেতন প্রবাসী এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই। বিবৃতিতে দেশের চলমান সঙ্কটের সমাধানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকার ও বিরোধীদলের আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়।
১৯ জানুয়ারী সোমবার প্রদত্ত উত্তর আমেরিকা প্রবাসী সচেতন বাংলাদেশীদের বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়: বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, মানুষের জান মাল আজ হুমকির সম্মুখীন। একদিকে ক্ষমতাসীন শাসক দল কর্তৃক বিরোধী দলকে শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশ ও মিছিল করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং হামলা মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, অন্যদিকে তার বিপরীতে বিরোধী দলের লাগাতার অবরোধ, হরতালের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে করে যেকোন বিবেকবান মানুষই শংকিত না হয়ে পারে না। আমরা যারা স্বদেশ ভূমি থেকে দূরে বহু দূরে জীবন ও জীবিকার জন্যে এই প্রবাসে ছুটে এসেছি এবং মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে এই বিশ্ব মন্দার মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছি, তারা যখন দেখি আমাদের ফেলে আসা দেশ এক ভয়ানক ‘আত্মঘাতী’ সংকটের আবর্ত্তে আবর্ত্তিত, তখন আমরা নিশ্চুপ দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারি না।
বিবৃতিতে বলা হয়: দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান ও মারামারি-হানাহানি দেশের জন্য কোনক্রমেই মঙ্গলজনক নয়। একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসাবে বাংলাদেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এ হানাহানি দেশের অকল্যানই বয়ে আনবে। আমরা হৃদয় দিয়ে এটা উপলব্ধি করি যে, এই অবস্থা বেশী দিন চলতে পারে না। আজ দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে আমাদের অতি দ্রুত একটি সমাধানে পৌঁছুতে হবে। অন্যথায় এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। তাই জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে দল, মত, জাতি, ধর্ম, শ্রেণী, পেশা নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের প্রবাসীদের একান্ত আহ্বান আসুন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পতাকা উর্দ্ধে তুলে ধরি। অনেক অশ্রু, ঘাম ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখি।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়: আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি সরকারকেই করতে হবে। ক্ষমতায় থাকার কারণে আলোচনার উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। আজকের সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানকল্পে সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে অবিলম্বে আলোচনায় বসতে হবে। এটাই আজ সময়ের দাবী। কারণ গণতন্ত্রে সহনশীলতা, সমঝোতা ও আলোচনার কোন বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে যে, হিংসা হিংসাকেই ডেকে আনে। তাই আসুন হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করে সমস্যার সমাধানের পথে অগ্রসর হউন। সময় ফুরিয়ে যাবার পূর্বেই আমাদের প্রাণ প্রিয় মাতৃভুমি অগ্নিগর্ভা বাংলাদেশকে শান্তির পথে ফিরিয়ে আনতেই হবে।
বিবৃতিতে যারা সম্মতি প্রদানকারীরা হচ্ছেন: মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ (নিউইয়র্ক), ড. দেলোয়ার হোসেন (নিউইয়র্ক), ড. এম. আদেল মিয়া (প্রফেসর, আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়, আরকারসাস), ড. সিরাজুল হক (বোষ্টন), আতিকুর রহমান সালু (নিউজার্সী), আওলাদ হোসেন খান (নিউইয়র্ক), সৈয়দ টিপু সুলতান (নিউইয়র্ক), ডা. এম. বিল্লাহ (নিউইয়র্ক), এম. এ আওয়াল সিদ্দিক (নিউইয়র্ক), ডা. ওয়াদুদ ভূইয়া (নিউইয়র্ক), মোহাম্মদ নুরুল হক (নিউইয়র্ক), ড. গোলাম ফরিদ আকতার (মেরীল্যান্ড), ড. ইফফাত হোসেন (নিউজার্সী), মনজুর আহমেদ (নিউইয়র্ক), ড. মাহফুজ চৌধুরী (নিউইয়র্ক), ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ হারেস (মেরিল্যান্ড), ড. আশরাফ আহমেদ (মেরিল্যান্ড), ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নুরুল হক (নিউইয়র্ক), নার্গিস আহমেদ (নিউইয়র্ক), আব্দুর রহিম হাওলাদার (সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সোসাইটি ইন্্ক নিউইয়র্ক), এজাজ আক্তার তৌফিক (মন্ট্রিয়ল, কানাডা), এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ (নিউইয়র্ক), আতাউর রহমান আতা (নিউইয়র্ক), সাব্বির আহমেদ লস্কর (নিউইয়র্ক), হাকিকুল ইসলাম খোকন (নিউইয়র্ক), খান শওকত (নিউইয়র্ক), সুভাষ মজুমদার (নিউইয়র্ক), মাহবুব রব চৌধুরী (টরোন্টো, কানাডা), আহাদ খন্দকার (টরোন্টো, কানাডা), তপন মাহমুদ (টরোন্টো, কানাডা), সৈয়দ দিলীর (লসএঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া) ও তৈমুর জাকারিয়া (নিউজার্সী) ।
বিবৃতিতে বলা হয়:
বন্ধ হউক দমন পীড়ন,
বন্ধ হউক হামলা-মামলা
হিংসার আগুণে জ্বলছে বাংলাদেশ
আমরা পরিত্রান চাই,
চাই শান্তি, চাই সমঝোতা
বন্ধ হউক জ্বালাও, পোড়াও
আলোচনার কোন বিকল্প নাই
শান্তি চাই-শান্তি চাই।