নিউইয়র্ক ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কামারুজ্জামান ‘জুডিশিয়াল কিলিং’এর শিকার : জাতিসংঘের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৬২২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ এর শিকার। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচারের নামে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রোববার রাত) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে গায়েবেনা জানাজার পূর্ব প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দানকালে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন ‘কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন ’(কোবা)।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার দেশে ইসলামী নেতৃত্ব শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া ন্যায়ভ্রষ্ট ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে। এটা বিচার বিভাগীয় হত্যাকান্ড। বক্তারা বর্ষীয়ান এ নেতার ফাঁসির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান সর্ম্পূন নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে, সেগুলো ভুয়া। কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৮ বছরের ছাত্র ছিল। এই বয়য়ে একজন ছাত্র রাজাকারের কমান্ডার ছিল এটা র্নিলজ্জ্ব মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। বিচারে যে সোহাগপুরের কথা বলা হয়েছে, তিনি (কামারুজ্জামান) স্বাধীনতার যুদ্ধের পর্বে কখনও সে গ্রামে যাননি এবং চিনেনও না। একটা কল্পকাহিনী তৈরী করে সরকার ইসলামী নেতৃত্ব ধবংস করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে জাতীয় এ নেতাকে হত্যা করেছে।
Kamaruzaman Killing Protest_UNবক্তারা বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসিতে ‘সমগ্র জাতি শোকাহত’। তিনি ইসলামী আন্দোলনে বড় নেতাই নন বরং একজন বড় মাপের দেশ প্রেমিক ও বুদ্ধিজীবি ছিলেন। বক্তারা বলেন, কামারুজ্জামান মৃত্যুহীন প্রাণ, তরুণ প্রজন্মের পথপ্রদশর্ক। যতদিন ইসলামী আন্দোলন থাকবে,ততদিন জাতি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করবে। সমাবেশে কামারুজ্জামানের বিচারিক এ হত্যাকে শাহাদাতের মর্যাদায় স্থান দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন বক্তারা বলেন, জাতি একদিন এ প্রতিহিংসামুলক হত্যাকান্ডের বিচার করবেই।
কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন (কোবা)’র নেতা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেতা মাহতাবউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল আরিফ, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ আবু সামিয়াহ সিরাজুল ইসলাম, আবু আহমেদ উবাইদা, মাওলানা সাফায়েত হোসেন, মোহাম্মদ নঈমুদ্দিন, সাইফুল্লাাহ বেলাল প্রমুখ।
সমাবেশের পর অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজার নামাজের ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কামারুজ্জামান ‘জুডিশিয়াল কিলিং’এর শিকার : জাতিসংঘের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ এর শিকার। সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধ বিচারের নামে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে (বাংলাদেশ সময় রোববার রাত) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে গায়েবেনা জানাজার পূর্ব প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দানকালে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সমাবেশ ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন ‘কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন ’(কোবা)।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার দেশে ইসলামী নেতৃত্ব শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দেয়া ন্যায়ভ্রষ্ট ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে। এটা বিচার বিভাগীয় হত্যাকান্ড। বক্তারা বর্ষীয়ান এ নেতার ফাঁসির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান সর্ম্পূন নির্দোষ। যে অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে, সেগুলো ভুয়া। কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৮ বছরের ছাত্র ছিল। এই বয়য়ে একজন ছাত্র রাজাকারের কমান্ডার ছিল এটা র্নিলজ্জ্ব মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই না। বিচারে যে সোহাগপুরের কথা বলা হয়েছে, তিনি (কামারুজ্জামান) স্বাধীনতার যুদ্ধের পর্বে কখনও সে গ্রামে যাননি এবং চিনেনও না। একটা কল্পকাহিনী তৈরী করে সরকার ইসলামী নেতৃত্ব ধবংস করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থে জাতীয় এ নেতাকে হত্যা করেছে।
Kamaruzaman Killing Protest_UNবক্তারা বলেন, কামারুজ্জামানের ফাঁসিতে ‘সমগ্র জাতি শোকাহত’। তিনি ইসলামী আন্দোলনে বড় নেতাই নন বরং একজন বড় মাপের দেশ প্রেমিক ও বুদ্ধিজীবি ছিলেন। বক্তারা বলেন, কামারুজ্জামান মৃত্যুহীন প্রাণ, তরুণ প্রজন্মের পথপ্রদশর্ক। যতদিন ইসলামী আন্দোলন থাকবে,ততদিন জাতি শ্রদ্ধার সাথে তাকে স্মরণ করবে। সমাবেশে কামারুজ্জামানের বিচারিক এ হত্যাকে শাহাদাতের মর্যাদায় স্থান দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন বক্তারা বলেন, জাতি একদিন এ প্রতিহিংসামুলক হত্যাকান্ডের বিচার করবেই।
কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন (কোবা)’র নেতা মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেতা মাহতাবউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল আরিফ, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ আবু সামিয়াহ সিরাজুল ইসলাম, আবু আহমেদ উবাইদা, মাওলানা সাফায়েত হোসেন, মোহাম্মদ নঈমুদ্দিন, সাইফুল্লাাহ বেলাল প্রমুখ।
সমাবেশের পর অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজার নামাজের ইমামতি করেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।