ওয়াশিংটন ফোবানা কমিটির সাংবাদিক সম্মেলন

- প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০১৫
- / ৮৬৩ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য ২৯তম ফোবানা সম্মেলন সফল করতে মিডিয়া সহ কমিউনিটির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ফোবানা নেতৃবৃন্দ। নিউইয়র্কে শনিবার বিকেলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে চলতি বছর ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলন আরো সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তোলা হবে। এবারের সম্মেলন হবে অতীতের চেয়ে সুন্দর ও সুশৃংখল ফোবানা সম্মেলন।
সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ খাবার বাড়ীর চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান এজাজ আক্তার তৌফিক। সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে ফোবানা কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন ফোবানা হোস্ট কমিটির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান শরাফত হোসেন বাবু। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এজাজ আক্তার তৌফিক।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফোবানা সম্মেলনের সাবেক কনভেনর ড. সিদ্দিকুর রহমান ও সঙ্গীত শিল্পী বেবী নাজনীন ছাড়াও ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জি আই রাসেল, কোষাধ্যক্ষ কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সদস্য আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু, হোস্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, সিনিয়র কো চেয়ারম্যান শরাফত হোসেন বাবু, কো চেয়ারম্যান জি আই রাসেল প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফোবানার সাবেক মেম্বার সেক্রেটারী ও ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ হোসেন খান ছাড়াও ফোবানার সদস্য গোলাম মোহাম্মেদ, ওয়াহিদ কাজী এলিন, হোস্ট কমিটির কো চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, কনভেনর ওবায়দুল্লাহ অভি, কো কনভেনর তোফায়েল আহমেদ, মাসুদুর রহমান, সৈয়দ বাহারুজ্জামান, তালহা রহমান, হারুনুর রশীদ, সফিউল আলম, নিজাম আহমেদ, চীফ কো অর্ডিনেটর এ জেড এম হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মনির হোসাইন, মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনের আয়োজন, ব্যবস্থাপনা, বাজেট নিয়ে নেতৃবৃন্দ তেমন তথ্য জানাতে না পারলেও ‘ঐক্যে’র ব্যাপারে ছিলেন সরব। অবশ্য ফোবানা নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে চেয়ারম্যান এজাজ আক্তার তৌফিক দেরীতে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করার জন্য দু:খ প্রকাশ করলেও তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে অবশ্যই সুন্দর সম্মেলন উপহার দেয়া সম্ভব। আমরা অতীতেও ওয়াশিংটনে সফল সম্মেলন করেছি। নেতৃবৃন্দ বলেন,বিভক্ত ফোবানার ঐক্য পক্রিয়া চলছে। আশা করছি আগামী বছর এক ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরাই ফোবানা বিভক্ত করেছিলাম, সত্য কথা। তারপর নানা কারণে ফোবানা থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু এখন আর বিভক্ত ফোবানার দরকার নেই। তিনি বলেন, ২/৩টি ফোবানা করে লাভ কি? ফোবানা সম্মেলনের নামে এক/দেড় লাখ ডলার খরচ করে লাভ কি? সবাই ঐক্যবদ্ধ সম্মেলন চাই। এজন্য আমি সহযোগিতা করবো।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ঐক্যবদ্ধ ফোবানা’র জন্য কাউকে না কাউকে ছাড় দিতে হবে। এজন্য এক পক্ষকে অবশ্যই সারেন্ডার করতে হবে। তা না হলে ঐক্য সম্ভব নয়।
আতিকুর রহমান ইউসুফজাই সালু বলেন, ঐক্যের বিকল্প নেই, আমরা ঐক্যের পথে আছি।
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, দুই ফোবানা এক করার অগ্রগতি এগিয়ে চলছে, ঐক্যের আলোচনা সন্তোষজনক।
এজাজ আক্তার তৌফিক বলেন, আমেরিকায় বঙ্গ সম্মেলন একটি হতে পারলে, ফোবানা সম্মেলন একটি হবে না কেন।
বেবী নাজনীন বলেন, আমি শিল্পী। আমি সবসময় বাংলাদেশকে ক্যারী করি, দেশ, দেশের সংস্কৃতি ভালোবসি। আমি সবসময় বাংলাদেশীদের সাথে রয়েছি।
শরাফত হোসেন বাবু বলেন, সদিচ্ছা থাকলে ঐক্যবদ্ধভাবে এক ফোবানা সম্মেলন আয়োজন অসম্ভব কিছু না।
ফোবানার ঐক্যের প্রশ্নে এই সাংবাদিক সম্মেলনে টেলি কনফারেনেন্স সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ফোবানা অপরাংশের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ডিউক খান। তিনি বলেন, আমরা উত্তর আমেরিকায় একটাই ফোবানা চাই। ফোবানা ঐক্যবদ্ধ করতে গত বছর থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই ঐক্যের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
কনভেনর ওবায়দুল্লাহ অভি বলেন, আমরা সবার সহযোগিতায় সুন্দর, চমৎকার ফোবানা সম্মেলন উপহার দিতে চাই।
সাংবাদিক সম্মেলন পরিচালনা করেন শরাফত হোসেন বাবু।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে দুটি ফোবানা সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ কালচারাল অর্গানাইজেশন অব ওয়াশিংটন ডিসি। ভেনু হচ্ছে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন আর্লিংটন সিটির লিজ কার্লটন হোটেল। অপরদিকে নিউইয়র্ক ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা। এই সম্মেলনের ভেনু হচ্ছে ইয়র্ক কলেজের পারফর্মিং আর্ট সেন্টার।