ওয়াশিংটনে ফোবানা আর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনভেনশনের উদ্বোধন

- প্রকাশের সময় : ১০:০৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
- / ৭০০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের লেবার ডে উইকেন্ড ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ সম্মেলন। ওয়াশিংটনে হচ্ছে ফোবানা সম্মেলন আর নিউইয়র্কে হচ্ছে বাংলাদেশ কনভেনশন। অপরদিকে কানাডার মন্ট্রিয়েলে হচ্ছে এনএবিসি সম্মেলন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসির উদ্যোগে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) সম্মেলনের ৩০তম আসর। আর ইন্টারফেইথ হারমনি এন্ড ওয়ার্ল্ড পিস-এর আয়োজনে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কনভেমনশন-২০১৬। সম্মেলন দু’টি হচ্ছে তিন দিনব্যাপাী অর্থাৎ ২-৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে শুক্র, শনি ও রোববার। এছাড়া মন্ট্রিয়েলে অনুষ্ঠিতব্য এনএবিসি (নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশ কনভেনশন)-২০১৬ এর স্বাগতিক সংগঠন হচ্ছে কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি। এই সম্মেলন হচ্ছে দু’দিনব্যাপী অর্থাৎ ৩-৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে শনি ও রোববার।
ফোবানা সম্মেলনের উদ্বোধন: ওয়াশিংটন থেকে থেকে এনআরবি নিউজ জানায়, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এই এগিয়ে চলার পথ ত্বরান্বিত করতে প্রবাসীদের অকুন্ঠ সমর্থন আরো জোরদার করতে হবে। আর এজন্যেই প্রয়োজন সকল বাঙালীর ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য। ‘ফোবানা’ সে প্রেরণা জোগাচ্ছে’-এ অভিমত পোষণ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর গোটা দেশকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ভুমিকা রেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এ নেতৃত্বকে অভিনন্দিত করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী ছুটে যান ঢাকায়। হাতে হাত রেখে কেরী দৃপ্ত প্রত্যয়ে ঘোষণা করেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাঙালীর ঐক্যকে বিস্তৃত করতে হবে গোটাবিশ্বে। আর এভাবেই বাংলাদেশ আজ নানা ক্ষেত্রে মডেলে পরিণত হচ্ছে’। এ সময় গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ এগিয়ে চলার বেশ কিছু কার্যক্রম উপস্থাপন করেন গণপূর্ত মন্ত্রী। ‘বাংলাদেশে আরো ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩০ হাজার একর জমিতে এগুলো স্থাপনের পর প্রবাসীদের বিনিয়োগের দিগন্ত আরো প্রসারিত হবে’-বলেন মন্ত্রী। তিনি প্রবাসী বাঙালীদের দেশপ্রেমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘হাজার বছরের ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ বাঙালী কৃষ্টি ও কালচার সুদূর এ প্রসাসেও সমুন্নত রাখতে আপনাদের আন্তরিক প্রয়াসকে আমি স্যালুট জানাতে এসেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে।’
উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালীদের মহামিলনমেলা হিসেবে পরিচিত ‘ফোবানা’ (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা)’র ৩দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ সম্মেলন শুরু হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন আর্লিংটনের শেরাটন পেন্টাগণ সিটি হোটেলের বলরুমে। ৩০ বছর আগে এই ওয়াশিংটন ডিসি থেকেই ফোবানার যাত্রা শুরু হয়। শুরুর সময়ের আহবায়ক সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী তার স্মৃতিচারণকালে বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মিলনায়তনে হয় প্রথম সম্মেলন। ৩০ বছরে ফোবানার যে অগ্রগতিসাধিত হয়েছে, একইতালে বাংলাদেশও অনেক এগিয়েছে। বাংলাদেশের এগিয়ে চলার পথকে আরো জোরদারের জন্যে প্রবাসীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। আর সেই ঐক্যের অন্যতম অবলম্বন হচ্ছে ‘ফোবানা।’
সম্মেলনের হোস্ট কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘বলতে দ্বিধা নেই, ফোবানায় বিভক্তির যে অপবাদ ছিল, এবার সেটি নেই। এই সম্মেলনে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৫০ সংগঠনের শিল্পী আর কলাকুশলীরা এসেছেন। নতুন প্রজন্মের সংখ্যাও অনেক। অর্থাৎ বাঙালী কালচার প্রবাস প্রজন্মে বিস্তত করার যে স্বপ্ন ছিল, তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।’ ফোবানার শুরু থেকে আজ অবধি নেতৃত্ব প্রদানকারী ইকবাল বাহার চৌধুরী, ড. নূরন্নবী, ওয়াহেদ হোসেনী, সোলায়মান আলী, সুলতান আহমদ, জাহানারা আলী, মীর চৌধুরী, মাহাবুব রেজা রহিম, জাকারিয়া চৌধুরী, নাহিদ চৌধুরী মামুন, আজাদুল হক, ডিউক খান, রেহান রেজা, রবিউল করিম বেলাল, এম রহমান জহির, জসীমউদ্দিন, হাসমত মবিন, এম মাওলা দিলু প্রমুখ মঞ্চে উঠে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালানোর পর সম্মেলনের প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বিপুল করতালির মধ্যে ফিতা কেটে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এর আগে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকলে দাঁড়িয়ে এক নিরবতা পালন করেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া সঙ্গীত পরিবেশন করে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ, ফোবানার চেয়ারম্যান নাহিদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর, নির্বাহী সচিব আজাদুল হক প্রমুখ।
ফোবানার তিন দশক পূর্তির এ উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগে বিশিষ্টজনদের সৌজন্যে এক ডিনার পার্টিতে প্রবাসে বাঙালীদের এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে অবিস্মরনীয় ভূমিকার জন্যে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তিকে ক্রেস্ট প্রদান করেন গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। ক্রেস্ট প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পিপল এ্যান্ড টেকের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ, লেখক-অর্থনীতিবিদ ড. ফাইজুল ইসলাম ও ইনারা ইসলাম, উৎসব ডটকমের রায়হান জামান।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি’র আয়োজনে ‘ফোবানা-ওয়াশিংটনে বাংলা আর বাঙালীর মুখ’ শ্লোগানে এই সম্মেলনে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। এছাড়াও রয়েছে বিষয়ভিত্তিক বেশকিছু সেমিনার। ইউএস কংগ্রেসের ডজনখানেক সদস্য ছাড়াও ষ্টেট ডিপার্টমেন্টের পদস্থ কর্মকর্তারা আসবেন শুভেচ্ছা জানাতে।
বাংলাদেশ কনভেনশনের উদ্বোধন: ফোবানা বাংলাদেশ সম্মেলনের আদলে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ সম্মেলন হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস্থ বেল্লোজিলো (নান্দুস পার্টি হল) মিলনায়তনে। এই সম্মেলনের কো-হোস্ট হচ্ছে: বাংলাদেশ কনভেনশন নর্থ আমেরিকা। সম্মেলনের শ্লোগান হচ্ছে ‘প্রবাসে সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হোক আমাদের নতুন কিছু করার প্রেরণা’। এই সম্মেলনের কনভেনর হচ্ছেন আলমগীর খান আলম, প্রেসিডেন্ট শাহীন কবীর আর মেম্বার সেক্রেটারী আসাদুল ইসলাম আসাদ। সম্মেলনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, ট্যালেন্ট শো, ফ্যাশন শো, কাব্য জলসা আর রকমারী স্টল প্রভৃতি।
২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় এক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সভাপতি আজমল হোসেন কুনু। এসময় সম্মেলন আয়োজক সংগঠনের কর্মকর্তাসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এরপর শেষে মূল মঞ্চে সম্মেলনের উদ্বোধনী কবিতা পাঠ (স্বরচিত) করেন কবি-সাংবাদিক সালেম সুলেরী। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ফোবানা’র (একাংশ) ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সালু, মেম্বার সেক্রেটারী আলী ইমাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সম্মেলনের কনভেনর আলমগীর খান আলম, প্রেসিডেন্ট শাহীন কবীর, মেম্বার সেক্রেটারী আসাদুল ইসলাম আসাদ। এই পর্ব পরিচালনা করেন জয়েন্ট মেম্বার সেক্রেটারী মিজানুর রহমান মিজান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে বক্তারা প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটির ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ফোবানা বা বাংলাদেশ কনভেশন আয়োজনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সকল প্রবাসীকে এক ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ করা। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। এজন্য বক্তারা সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
এরপর ডালিয়া চৌধুরীর পরিচালনায় উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে স্বরলিপি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে শিল্পীদের পরিচয় করিয়ে দেন উৎপল চৌধুরী। এরপর স্থানীয় শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক পর্ব পরিচালনা করেন সম্মেলনের কালচারাল কমিটির চেয়ারপার্সন হাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ কনভেনশন-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৩-৪ সেপ্টেম্বর নানা আয়োজনে সম্মেলনের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য থাকবে সেমিনার, কবিতা আবৃত্তি এবং দেশ-প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও থাকবে রকমারী স্টলের দোকান। শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশী কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এনএবিসি সম্মেলন: কানাড থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, লেবার ডে উকেন্ড ঘিরে কানাডার মন্ট্রিয়েল অনুষ্ঠিত হচ্ছে এনএবিসি (নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশ কনভেনশন)-২০১৬। এর স্বাগতিক সংগঠন হচ্ছে কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি। স্থানীয় সেন্টার উলিয়াম হিন্সটন বিগ জিমনিসিয়াম এন্ড অডিটরিয়ামে সম্মেলন হবে দু’দিনব্যাপী অর্থাৎ ৩-৪ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে শনি ও রোববার। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে সেমিনার আর মেগা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উল্লেখ্য, এনএবিসি সম্মেলন গত কয়েক বছর ধরে আয়োজিত হলেও আয়োজকরা এবারের সম্মেলনকে ৩০তম সম্মেলন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রথমে আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্মেলন (এবিসি) নামেই এনএবিসি সম্মেলনের যাত্রা শুরু হয়। সম্মেলনগুলো হচ্ছে ফোবানা সম্মেলনের আদলেই।
আরো উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর থেকে ফোবানা দ্বিধা-বিভক্ত। মূলত: কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের ব্যক্তিগত ইগো, নেতৃত্বের কোন্দল, রাজনৈতিক চিন্তা-ধারার প্রতিফলন প্রভৃতি কারণে ফোবানা বিভক্ত হয়ে পড়ে। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দেখা যাচ্ছে ‘ফোবানা বনাম বাংলাদেশ কনভেনশন’। উত্তর আমেরিকার সচেতন প্রবাসীদের মতে এই দ্বিধা-বিভক্তির ফলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি, হারিয়ে ফেলেছে এক সময়ের আলোচিত ‘ফোবানা’ তার আসল চরিত্র। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর পর এবার ‘আইনগত’ কারণে ফোবানা’র ব্যানারে একটিই সম্মেলন হচ্ছে ওয়াশিংটনে। কেননা, আইনগতভাবে ফোবানা রেজিষ্টার্ড হওয়ার ফলে ফোবানা নামে অন্য কোন সংগঠন আর সম্মেলন করতে পারবে না বলে জানা গেছে। ফোবানা’র বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইতিপূর্বে ফোবানা সম্মেলনে নেতৃত্বদানকারী বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই ‘নিরব’ দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। অনেকে এই সম্মেলনগুলোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।