নিউইয়র্ক ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধাদের নিয়ে একটি অনবদ্য সন্ধ্যা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৯৪২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সময়কালের তথা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের চার কন্ঠশিল্পীর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন আয়োজন প্রশংসিত হলো পুরো কমিউনিটিতে। কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান, কাদেরী কিবরীয়া আর মঞ্জুর আহমেদের গানে গানে শত শত দর্শক-শ্রোতা ফিরে গেলেন ৭১-এর বাংলাদেশে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আর কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ সকল শ্রেণীর পেশাজীবী, কবি-সাহিত্যক, সম্পাদক-সাংবাদিক, শিল্পী নর-নারীর ঢল নামে অনুষ্ঠানটিতে। অনেকেই আসেন সপরিবারে। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরও উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় ‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’ সঙ্গীতানুষ্ঠানের। এর আয়োজক ছিলেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। কী নোট স্পীকার ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আরেক জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা জামাল উদ্দীন হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গণি।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অনুষ্ঠানের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথির সাথে কন্ঠযোদ্ধাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্বের পর শুরু হয় কন্ঠযোদ্ধাদের সঙ্গীত পরিবেশনা। চার শিল্পীর গান পরিবেশনের আগে তাঁদের পরিচয় তুলে ধরা হয়। প্রবাসের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শারমিন রেজা ইভা, মনিকা রায়, আয়েশা তাহমিনা অধরা ও কৃষ্ণা তিথি খান কন্ঠশিল্পীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। শিল্পীরা একে একে মঞ্চে এসে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন স্মৃতি চারণ করেন এবং সেই সময়ের গান পরিবশেন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। তাদের স্মৃতি চারণ আর গানে গানে উঠে আসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ‘জাতির জনক’ শেখ মুজিবুর রহমান সহ সেই সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী আব্দুল জব্বারের নামের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পী, গীতিকার, সুরকারের নাম।
অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান ও বিশিষ্ট কলামিস্ট হাসান ফেরদৌদের সঞ্চালনায় চার কন্ঠযোদ্ধাদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলাপচারিতাও ছিলো অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন। অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শিল্পী সুবীর নন্দীসহ একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শিল্পী সুবীর নন্দীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বদরুন্নাহার খান মিতা, রথীন্দ্রনাথ রায়ের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নার্গিস আহমেদ, কাদেরী কিরীয়ার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দীবা হোসেন, শহীদ হাসানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন শাহানা রহমান আর মঞ্জুর আহমেদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সেলিমা আশরাফ। অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনায় ছিলেন আনতাকি রাইসা।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছাড়াও কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিক ড. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির আলী খান পল, বদরুল হোসেন খান, আজিমুর রহমান বুরহান, মাসুদুল হক সানু, মোস্তাক আহমেদ, হাসানুজ্জামান হাসান, বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট রাজনীতিক সৈয়দ বসারত আলী, আবুল কাশেম, আব্দুস সামাদ আজাদ, ফারুক আহমেদ, শাহীন আজমল, কাজী কয়েস, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মোহাম্মদ মনির হোসেন, শাহাদৎ হোসেন, শেখ আতিকুল ইসলাম, নূরে আলম জিকু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এইচ মতিন, দেওয়ান বজলু, ওয়াহিদ কাজী এলিন, বাহালুর সৈয়দ উজ্জল, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বেলাল চৌধুরী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে কন্ঠযোদ্ধারা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস আজো বিকৃত হচ্ছে। অনেক শিল্পীই আজ নিজেদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিচয় দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে মঞ্জুর আহমেদ বলেন, আব্দুল জব্বার, রথীন্দ্র নাথ রায়, শহীদ হাসান, কাদেরী কিবরিয়া, উমা খান প্রমুখ সহ সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে হাতে গোনা ১০/১২জন শিল্পী ছিলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল জব্বার, কোষাধ্যক্ষ ছিলেন কাদেরী কিবরীয়া আর আমি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। তাই কারা কন্ঠযোদ্ধা তা আমরা জানি।
‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’ অনুষ্ঠানের আয়োজক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেলেও কন্ঠযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না। তাঁদের সম্মানিত করতেই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন। তিনি কন্ঠযোদ্ধাদের দেশের জাতীয় বীর আখ্যায়িত করে বলেন, তাদের সম্মান জানানো ছাড়া আমাদের দেবার আর কিছুই নেই। তাদের সম্মান জানানো, স্মরণ করা, স্মরণ রাখা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, প্রবাস থেকেও দেশের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। অনুষ্ঠানটি সফল করায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সম্মিলিতকন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধাদের নিয়ে একটি অনবদ্য সন্ধ্যা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সময়কালের তথা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের চার কন্ঠশিল্পীর বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’। ব্যক্তিগত উদ্যোগে এমন আয়োজন প্রশংসিত হলো পুরো কমিউনিটিতে। কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান, কাদেরী কিবরীয়া আর মঞ্জুর আহমেদের গানে গানে শত শত দর্শক-শ্রোতা ফিরে গেলেন ৭১-এর বাংলাদেশে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল ছাড়াও দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আর কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ সকল শ্রেণীর পেশাজীবী, কবি-সাহিত্যক, সম্পাদক-সাংবাদিক, শিল্পী নর-নারীর ঢল নামে অনুষ্ঠানটিতে। অনেকেই আসেন সপরিবারে। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর-কিশোরীদেরও উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
সিটির উডসাইডস্থ কুইন্স প্যালেসে ১৩ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় ‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’ সঙ্গীতানুষ্ঠানের। এর আয়োজক ছিলেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের আরেক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। কী নোট স্পীকার ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আরেক জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা জামাল উদ্দীন হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল শামীম আহসান। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী এবিএম ওসমান গণি।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে অনুষ্ঠানের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথির সাথে কন্ঠযোদ্ধাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্বের পর শুরু হয় কন্ঠযোদ্ধাদের সঙ্গীত পরিবেশনা। চার শিল্পীর গান পরিবেশনের আগে তাঁদের পরিচয় তুলে ধরা হয়। প্রবাসের কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শারমিন রেজা ইভা, মনিকা রায়, আয়েশা তাহমিনা অধরা ও কৃষ্ণা তিথি খান কন্ঠশিল্পীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন। শিল্পীরা একে একে মঞ্চে এসে মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন স্মৃতি চারণ করেন এবং সেই সময়ের গান পরিবশেন করে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। তাদের স্মৃতি চারণ আর গানে গানে উঠে আসে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ‘জাতির জনক’ শেখ মুজিবুর রহমান সহ সেই সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী আব্দুল জব্বারের নামের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পী, গীতিকার, সুরকারের নাম।
অনুষ্ঠানে সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান ও বিশিষ্ট কলামিস্ট হাসান ফেরদৌদের সঞ্চালনায় চার কন্ঠযোদ্ধাদের নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক আলাপচারিতাও ছিলো অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন। অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শিল্পী সুবীর নন্দীসহ একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শিল্পী সুবীর নন্দীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বদরুন্নাহার খান মিতা, রথীন্দ্রনাথ রায়ের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন নার্গিস আহমেদ, কাদেরী কিরীয়ার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন দীবা হোসেন, শহীদ হাসানের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন শাহানা রহমান আর মঞ্জুর আহমেদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সেলিমা আশরাফ। অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনায় ছিলেন আনতাকি রাইসা।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ছাড়াও কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিক ড. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহীম হাওলাদার, সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির আলী খান পল, বদরুল হোসেন খান, আজিমুর রহমান বুরহান, মাসুদুল হক সানু, মোস্তাক আহমেদ, হাসানুজ্জামান হাসান, বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট রাজনীতিক সৈয়দ বসারত আলী, আবুল কাশেম, আব্দুস সামাদ আজাদ, ফারুক আহমেদ, শাহীন আজমল, কাজী কয়েস, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মোহাম্মদ মনির হোসেন, শাহাদৎ হোসেন, শেখ আতিকুল ইসলাম, নূরে আলম জিকু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এইচ মতিন, দেওয়ান বজলু, ওয়াহিদ কাজী এলিন, বাহালুর সৈয়দ উজ্জল, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, বেলাল চৌধুরী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে কন্ঠযোদ্ধারা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস আজো বিকৃত হচ্ছে। অনেক শিল্পীই আজ নিজেদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিচয় দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে মঞ্জুর আহমেদ বলেন, আব্দুল জব্বার, রথীন্দ্র নাথ রায়, শহীদ হাসান, কাদেরী কিবরিয়া, উমা খান প্রমুখ সহ সেই সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে হাতে গোনা ১০/১২জন শিল্পী ছিলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সভাপতি ছিলেন আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল জব্বার, কোষাধ্যক্ষ ছিলেন কাদেরী কিবরীয়া আর আমি সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। তাই কারা কন্ঠযোদ্ধা তা আমরা জানি।
‘একাত্তরের কন্ঠযোদ্ধা’ অনুষ্ঠানের আয়োজক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেলেও কন্ঠযোদ্ধারা যথাযথ সম্মান পাচ্ছেন না। তাঁদের সম্মানিত করতেই এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন। তিনি কন্ঠযোদ্ধাদের দেশের জাতীয় বীর আখ্যায়িত করে বলেন, তাদের সম্মান জানানো ছাড়া আমাদের দেবার আর কিছুই নেই। তাদের সম্মান জানানো, স্মরণ করা, স্মরণ রাখা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, প্রবাস থেকেও দেশের জন্য আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। অনুষ্ঠানটি সফল করায় তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সম্মিলিতকন্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।