নিউইয়র্ক ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আ. লীগকে ঢাকা ছাড়া করতে ৩০ মিনিটও লাগবে না: সাদেক হোসেন খোকা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৭১৪ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: শহীদ রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফত রহমান কোকোর বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় যুক্তরাষ্ট্র জাসাস দোয়া মাহফিল এবং দেশব্যাপাী বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
সিটির ব্রুকলীনস্থ গ্রীন হাউজ রেষ্টুরেন্টে গত ১ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাস সভাপতি আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মিলাদ পরিচালনা এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি ও জাসাস নেতা আব্দুর রহমান। এরপর বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুল লতিফ স¤্রাট। দোয়ায় আরাফাত রহমান কোকো সহ বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের আতœার শান্তি কামনা, শেখ হাসিনা সরকারক ‘স্বৈরাচারী সরকার’ আখ্যায়িত করে সরকারের পতন দাবী করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, জাসাসসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হিউস্টন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ বশির, যুক্তরাষ্ট্র জিসাস সভাপতি আবুল বাসার, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরীন, ব্রুকলীন বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহরাওয়ার্দী, বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহ বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ কাওসার রূপম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, বিএনপি বা ২০ দলীয় জোট নয় গোটা বাংলাদেশই আজ হাসিনা সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ভোটার বিহীন নির্বাচনে গঠিত এই সরকারের আইনগত ভিত্তি নেই। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ২০৯টি আসনে বিনা প্রতিবন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছে। তাই এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা বিগত এক বছর ধরেই সরকারকে সময় দিয়ে আসছিলাম, কিন্তু সরকার আমাদের দাবী কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গুন্ডা, বদমাস, ডাকাতদের দল। সরকারের পতন আসন্ন।
বিএনপি’র জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, র‌্যাব-পুলিশ না থাকলে আওয়ামী লীগকে ঢাকা ছাড়া করতে ৩১ নয় ৩০ মিনিটও সময় লাগবে না। আর এজন্য আমাকে ঢাকায়ও যেতে হবে না। নিউইয়র্ক থেকে ফোনে নির্দেশ দিলেই দলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে ঢাকা ছাড়া করবে।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের প্রাণের দল, জনপ্রিয় দল। দেশের ক্রান্তিকালে জিয়া দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের ইতিহাসে জিয়ার মতো সৎ আর জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক আর নেই। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের জন্য আমরা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আজকের সংগ্রাম ৭১-এর সংগ্রামের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। দেশ, দেশের জনগণ, নতুন প্রজন্ম রক্ষার জন্য এই আন্দোলনের বিকল্প নেই। যার যার অবস্থান থেকে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ না হওয়ার আগেই সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ, দল আর দলের কর্মকান্ড ও দলের বক্তব্য নিয়ে গবেষণা করে গঠনমূলক রাজনীতি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের পারামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি অনেক বড় দল, দলের অনেক নেতা-কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রে দলের শক্তিশালী কমিটি দরকার। এজন্য এখানকার সিনিয়র নেতাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপি-জাসাস’র বিভক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসও যে দু’ভাগে বিভক্ত তা আগে জানলে আমি এই অনুষ্ঠানে আসতাম না। আমি কোন গ্রুপের পৃষ্টাপোষকতা করতে চাই না। কাউকে নেতা বানানো আমার দায়িত্ব নয়, কাউকে নেতৃত্ব থেকে সরানোও আমার দায়িত্ব নয়। কেন্দ্রও আমাকে সে দায়িত্ব দেয়নি।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উদ্যোগে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ করা হবে। এরপর অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ১৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবারে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাইজের সামনে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়াও ইউএস কংগ্রেসের বাংলাদেশ কংগ্রেসনাল ককাস সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সরকার পতনের জন্য নৈতিক চাপ প্রদান করা হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শেখ মুজিবের আদর্শ ছিলো বাকশাল, গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার হত্যা। তারই কন্যা শেখ হাসিনা বাকশালীয় কায়দায় সরকার পরিচালনা করছেন। আথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেন। হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, কয়েকদিন আগে দেশ থেকে ফিরে এসেছি। চলমান আন্দেলনেই হাসিনা সরকারের পতন হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্ব আর নির্দেশে আন্দেলন চলবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র পক্ষ থেকে জাতিসংঘ আর হোয়াইট হাউজের সামনে অচিরেই বিক্ষোভ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ বাংলাদেশ রক্তাক্ত। দেশে গণতন্ত্র নেই, নেই মানবাধিকার, আইনের শাসন। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলন চলছে, চলবে। এই সময়ে দলের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তি নয়, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালেও এসএসসি পরীক্ষার সময় আওয়মী লীগ আন্দোলন করেছিলো, ফলে তিন মাস পরীক্ষা পিছিয়েছিলো। তাই এসএসসি পরীক্ষার নামে চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না। বক্তারা দেশব্যাপী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপি নয়, সরকারী দলের লোকরাই পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষ হত্যা করছে।
বক্তারা বলেন, দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি আর সংকটের একটাই সমাধান হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও অবিলম্বে নির্বাচন। উল্লেখ্য, টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আ. লীগকে ঢাকা ছাড়া করতে ৩০ মিনিটও লাগবে না: সাদেক হোসেন খোকা

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: শহীদ রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফত রহমান কোকোর বিদেহী আতœার শান্তি কামনায় যুক্তরাষ্ট্র জাসাস দোয়া মাহফিল এবং দেশব্যাপাী বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
সিটির ব্রুকলীনস্থ গ্রীন হাউজ রেষ্টুরেন্টে গত ১ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাস সভাপতি আবু তাহের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ স¤্রাট, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মিলাদ পরিচালনা এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপি ও জাসাস নেতা আব্দুর রহমান। এরপর বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুল লতিফ স¤্রাট। দোয়ায় আরাফাত রহমান কোকো সহ বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের আতœার শান্তি কামনা, শেখ হাসিনা সরকারক ‘স্বৈরাচারী সরকার’ আখ্যায়িত করে সরকারের পতন দাবী করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, জাসাসসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হিউস্টন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ বশির, যুক্তরাষ্ট্র জিসাস সভাপতি আবুল বাসার, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরীন, ব্রুকলীন বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহরাওয়ার্দী, বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহ বাচ্চু, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ কাওসার রূপম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, বিএনপি বা ২০ দলীয় জোট নয় গোটা বাংলাদেশই আজ হাসিনা সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতন, জুলুম-অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ভোটার বিহীন নির্বাচনে গঠিত এই সরকারের আইনগত ভিত্তি নেই। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ২০৯টি আসনে বিনা প্রতিবন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছে। তাই এই নির্বাচনকে নির্বাচন বলার কোন কারণ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, আমরা বিগত এক বছর ধরেই সরকারকে সময় দিয়ে আসছিলাম, কিন্তু সরকার আমাদের দাবী কর্ণপাত করছে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে গুন্ডা, বদমাস, ডাকাতদের দল। সরকারের পতন আসন্ন।
বিএনপি’র জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, র‌্যাব-পুলিশ না থাকলে আওয়ামী লীগকে ঢাকা ছাড়া করতে ৩১ নয় ৩০ মিনিটও সময় লাগবে না। আর এজন্য আমাকে ঢাকায়ও যেতে হবে না। নিউইয়র্ক থেকে ফোনে নির্দেশ দিলেই দলের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে ঢাকা ছাড়া করবে।
সাদেক হোসেন খোকা বলেন, শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠিত বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের প্রাণের দল, জনপ্রিয় দল। দেশের ক্রান্তিকালে জিয়া দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশের ইতিহাসে জিয়ার মতো সৎ আর জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক আর নেই। তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের জন্য আমরা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আজকের সংগ্রাম ৭১-এর সংগ্রামের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। দেশ, দেশের জনগণ, নতুন প্রজন্ম রক্ষার জন্য এই আন্দোলনের বিকল্প নেই। যার যার অবস্থান থেকে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ না হওয়ার আগেই সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ, দল আর দলের কর্মকান্ড ও দলের বক্তব্য নিয়ে গবেষণা করে গঠনমূলক রাজনীতি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের পারামর্শ দেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি অনেক বড় দল, দলের অনেক নেতা-কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রে দলের শক্তিশালী কমিটি দরকার। এজন্য এখানকার সিনিয়র নেতাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে। বিএনপি-জাসাস’র বিভক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসও যে দু’ভাগে বিভক্ত তা আগে জানলে আমি এই অনুষ্ঠানে আসতাম না। আমি কোন গ্রুপের পৃষ্টাপোষকতা করতে চাই না। কাউকে নেতা বানানো আমার দায়িত্ব নয়, কাউকে নেতৃত্ব থেকে সরানোও আমার দায়িত্ব নয়। কেন্দ্রও আমাকে সে দায়িত্ব দেয়নি।
আব্দুল লতিফ স¤্রাট বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র উদ্যোগে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ করা হবে। এরপর অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ১৩ ফেব্রুয়ারী শুক্রবারে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাইজের সামনে বিক্ষোভ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এছাড়াও ইউএস কংগ্রেসের বাংলাদেশ কংগ্রেসনাল ককাস সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সরকার পতনের জন্য নৈতিক চাপ প্রদান করা হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, শেখ মুজিবের আদর্শ ছিলো বাকশাল, গণতন্ত্র হত্যা, মানবাধিকার হত্যা। তারই কন্যা শেখ হাসিনা বাকশালীয় কায়দায় সরকার পরিচালনা করছেন। আথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেন। হাসিনা দেশে ফেরার পর থেকেই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু। তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, কয়েকদিন আগে দেশ থেকে ফিরে এসেছি। চলমান আন্দেলনেই হাসিনা সরকারের পতন হবে। তারেক রহমানের নেতৃত্ব আর নির্দেশে আন্দেলন চলবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র পক্ষ থেকে জাতিসংঘ আর হোয়াইট হাউজের সামনে অচিরেই বিক্ষোভ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আজ বাংলাদেশ রক্তাক্ত। দেশে গণতন্ত্র নেই, নেই মানবাধিকার, আইনের শাসন। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলন চলছে, চলবে। এই সময়ে দলের মধ্যে বিভেদ-বিভক্তি নয়, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালেও এসএসসি পরীক্ষার সময় আওয়মী লীগ আন্দোলন করেছিলো, ফলে তিন মাস পরীক্ষা পিছিয়েছিলো। তাই এসএসসি পরীক্ষার নামে চলমান আন্দোলনকে দমানো যাবে না। বক্তারা দেশব্যাপী বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা-মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপি নয়, সরকারী দলের লোকরাই পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষ হত্যা করছে।
বক্তারা বলেন, দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতি আর সংকটের একটাই সমাধান হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও অবিলম্বে নির্বাচন। উল্লেখ্য, টাইম টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।