নিউইয়র্ক ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমাদের চেয়ে প্রবাসীদের দেশপ্রেম অনেক বেশী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬
  • / ৯২৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের চেয়ে প্রবাসীদের দেশপ্রেম অনেক বেশী। আমরা দেশ নিয়ে যতনা ভাবি প্রবাসীরা তার চেয়ে বেশী ভাবেন বলেই তারা কঠোর পরিশ্রম করে পরিবার-পরিজনদের কাছে অর্থ পাঠিয়ে পক্ষান্তরে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করছেন। ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক মহলে এখন বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ভিক্ষা চাইতে হতো। আর এখন ভিক্ষা নয়, ঋণ সাহায্য নেই। আমাদের রিজার্ভ ফান্ড বিশাল। এখন আমরা পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারি। এসব প্রবাসীদের অবদান।
ইউনেস্কোর সহ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত সর্বজনীন সম্বর্ধনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৮ জুন বুধবার বিকেলে সিটির উডহ্যাভেনস্থ জয়া পার্টি হলে এই সভার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রবাসী বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জবাসীদের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
সম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সম্বর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ ও আব্দুল বাসিত, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুর রহমান মুক্তা, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মাসুদুল হক সানু, গোলাপগঞ্জ সমিতির সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবদীন।
সভায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট হেলিম উদ্দিন, সারোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম মর্তুজা, জাহিদ ইবনে জাহিন প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন সম্বর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হাসিব মামুন। তাকে সহযোগিতা করেন সম্বর্ধনা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব খসরুজ্জামান খসরু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাজী শামসুল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতার আন্দোলন সহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় মানপত্র পাঠ করেন প্রবাসের জয়া পার্টি হলের অন্যতম স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ আলিম। মানপত্রে শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাফল্যে সকল সিলেটবাসী গর্বিত উল্লেখ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সভায় সিলেটের দাবী-দাওয়া সম্বলিত সিলেট গণদাবী পরিষদের একটি স্মারকলিপি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন সংগঠনের সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান। সম্বর্ধনা উপলক্ষ্যে সফল শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নূরুল ইসলাম নাহিদের কর্মকান্ড তুলে ধরে ‘আলোকধারা’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। স্মরণিকাটি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন সম্পাদক মোহাম্মদ তুলন।
Minister Nahid at NYসভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে প্রবাসীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোর উন্নয়নে বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এখন বাংলাদেশীরা বসবাস করছেন। দেশ মাতৃকার প্রতি তাদের অবদান আমরা যারা সরকার পরিচালনায় আছি তারা সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত না হয়ে প্রবাসে দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য রাখা মোটেও ঠিক নয়। এতে দেশের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় যা উন্নয়ন হয় জেলা শহর না হয়েও বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে তাই হয়। তিনি উপস্থিত সকল প্রবাসীকে অন্তত একবার দেশে গিয়ে নিজ চোখে সে উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে আসার আমন্ত্রণ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ আরো বলেন, ২০১৭ সালের আগেই দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুত পৌছে যাবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এক সময় যে এলাকা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে ছিলো সেই বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের ছাত্র-ছাত্রীরা এখন লেখাপড়ায় অনেক ভালো করছে। সাধারণ শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকার যতটুকু সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্য দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় সিলেট অঞ্চলের মানুষ লেখাপড়ায় তেমন আগ্রহী ছিলেন না। কিভাবে বিলেত সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায় সেদিকেই তাদের নজর ছিলো বেশী। কিন্তু সম্প্রতি এই অবস্থার পরিবর্তণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এলাকার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসীদের ভূমিকাও দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্য যেকোন অঞ্চলের তুলনায় বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ এলাকার উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশী। আর এই উপজেলার মানুষের ভালোবাসায় আমি মন্ত্রী হয়েছি।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের কাছে হস্তান্তরকৃত বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র ইনক’র পক্ষে সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত ১০ দফা দাবী-দাওয়ার মধ্যে রয়েছে: ওসমানী বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান উঠা-নামার অনুমতি প্রদান, ওসমানী বিমান বন্দরের উভয় পাশের দুই পাশের বাইপাস সড়ক সুপ্রশস্ত বাইপাশে উন্নীত করা, সিলেট বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিম্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর করা এবং সিলেট-ঢাকা রেল লাইনের সিলেট-আখাউড়াররমধ্যে ডাবল রেলাইন নির্মাণ ও বর্তমান রেল লাইন অধুনিকায়ন করা।
এছাড়া বিয়ানীবাজার সংশ্লিষ্ট অপর ৫দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে: সিলেট-কুশিয়ারা নদীর উপর দু’টি ব্রীজ নির্মাণ, বিয়ানীবাজার সরকারী ডিগ্রী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর, মহিলা কলেজকে সরকারী করণ, উপজেলা সদরে কারিগরী স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর সহ অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা।
সবশেষে ইফতারের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আমাদের চেয়ে প্রবাসীদের দেশপ্রেম অনেক বেশী

প্রকাশের সময় : ০১:১৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০১৬

নিউইয়র্ক: গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের চেয়ে প্রবাসীদের দেশপ্রেম অনেক বেশী। আমরা দেশ নিয়ে যতনা ভাবি প্রবাসীরা তার চেয়ে বেশী ভাবেন বলেই তারা কঠোর পরিশ্রম করে পরিবার-পরিজনদের কাছে অর্থ পাঠিয়ে পক্ষান্তরে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করছেন। ফলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। আন্তর্জাতিক মহলে এখন বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই মডেল দেশে পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আগে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ভিক্ষা চাইতে হতো। আর এখন ভিক্ষা নয়, ঋণ সাহায্য নেই। আমাদের রিজার্ভ ফান্ড বিশাল। এখন আমরা পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করতে পারি। এসব প্রবাসীদের অবদান।
ইউনেস্কোর সহ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত সর্বজনীন সম্বর্ধনা সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৮ জুন বুধবার বিকেলে সিটির উডহ্যাভেনস্থ জয়া পার্টি হলে এই সভার আয়োজন করা হয়। মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রবাসী বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জবাসীদের উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
সম্বর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিয়ানীবাজার সামাজিক সাংস্কৃতিক সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সম্বর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ ও আব্দুল বাসিত, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুর রহমান মুক্তা, বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাস্কৃতিক সমিতির সভাপতি মাসুদুল হক সানু, গোলাপগঞ্জ সমিতির সাবেক সভাপতি বেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবদীন।
সভায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট হেলিম উদ্দিন, সারোয়ার হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা গোলাম মর্তুজা, জাহিদ ইবনে জাহিন প্রমুখ। সভাটি পরিচালনা করেন সম্বর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হাসিব মামুন। তাকে সহযোগিতা করেন সম্বর্ধনা কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব খসরুজ্জামান খসরু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাজী শামসুল ইসলাম। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতার আন্দোলন সহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় মানপত্র পাঠ করেন প্রবাসের জয়া পার্টি হলের অন্যতম স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ আলিম। মানপত্রে শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাফল্যে সকল সিলেটবাসী গর্বিত উল্লেখ করে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সভায় সিলেটের দাবী-দাওয়া সম্বলিত সিলেট গণদাবী পরিষদের একটি স্মারকলিপি মন্ত্রীকে হস্তান্তর করেন সংগঠনের সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান। সম্বর্ধনা উপলক্ষ্যে সফল শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নূরুল ইসলাম নাহিদের কর্মকান্ড তুলে ধরে ‘আলোকধারা’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। স্মরণিকাটি মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন সম্পাদক মোহাম্মদ তুলন।
Minister Nahid at NYসভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে প্রবাসীদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ও অবকাঠামোর উন্নয়নে বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এখন বাংলাদেশীরা বসবাস করছেন। দেশ মাতৃকার প্রতি তাদের অবদান আমরা যারা সরকার পরিচালনায় আছি তারা সবসময় কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পর্কে সঠিকভাবে অবহিত না হয়ে প্রবাসে দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বক্তব্য রাখা মোটেও ঠিক নয়। এতে দেশের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় যা উন্নয়ন হয় জেলা শহর না হয়েও বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জে তাই হয়। তিনি উপস্থিত সকল প্রবাসীকে অন্তত একবার দেশে গিয়ে নিজ চোখে সে উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে আসার আমন্ত্রণ জানান।
শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ আরো বলেন, ২০১৭ সালের আগেই দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুত পৌছে যাবে। শিক্ষার ক্ষেত্রে এক সময় যে এলাকা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে ছিলো সেই বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জের ছাত্র-ছাত্রীরা এখন লেখাপড়ায় অনেক ভালো করছে। সাধারণ শিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকার যতটুকু সম্ভব সাহায্য-সহযোগিতা করছে। তবে দু:খজনক হলেও সত্য দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় সিলেট অঞ্চলের মানুষ লেখাপড়ায় তেমন আগ্রহী ছিলেন না। কিভাবে বিলেত সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায় সেদিকেই তাদের নজর ছিলো বেশী। কিন্তু সম্প্রতি এই অবস্থার পরিবর্তণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এলাকার উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি প্রবাসীদের ভূমিকাও দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্য যেকোন অঞ্চলের তুলনায় বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ এলাকার উন্নয়ন হয়েছে সবচেয়ে বেশী। আর এই উপজেলার মানুষের ভালোবাসায় আমি মন্ত্রী হয়েছি।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী নাহিদের কাছে হস্তান্তরকৃত বৃহত্তর সিলেট গণদাবী পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র ইনক’র পক্ষে সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত ১০ দফা দাবী-দাওয়ার মধ্যে রয়েছে: ওসমানী বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান উঠা-নামার অনুমতি প্রদান, ওসমানী বিমান বন্দরের উভয় পাশের দুই পাশের বাইপাস সড়ক সুপ্রশস্ত বাইপাশে উন্নীত করা, সিলেট বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিম্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর করা এবং সিলেট-ঢাকা রেল লাইনের সিলেট-আখাউড়াররমধ্যে ডাবল রেলাইন নির্মাণ ও বর্তমান রেল লাইন অধুনিকায়ন করা।
এছাড়া বিয়ানীবাজার সংশ্লিষ্ট অপর ৫দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে: সিলেট-কুশিয়ারা নদীর উপর দু’টি ব্রীজ নির্মাণ, বিয়ানীবাজার সরকারী ডিগ্রী কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তর, মহিলা কলেজকে সরকারী করণ, উপজেলা সদরে কারিগরী স্কুল প্রতিষ্ঠা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর সহ অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা।
সবশেষে ইফতারের আয়োজন করা হয়। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।