নিউইয়র্ক ০১:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাজনীতি ও নির্বাচন: হঠাৎ আলোচনায় খালেদা জিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪ বার পঠিত

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ডেস্ক : হঠাৎ আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সরকার দলের একাধিক মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যে নতুন ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। অবশ্য আলোচনার শুরু ভিন্নভাবে। গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় সংসদে বলেন,
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, তার মুক্তির সময় এমন মুচলেকা দেয়া হয়েছে। এরপর এ বক্তব্যের বিপক্ষে মত দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় এমন কোনো শর্ত ছিল না। তবে দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটি শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে।

আরোও পড়ুন । খালেদা জিয়ার রাজনীতি আবারও আলোচনায়

আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি কী করবেন, সেটা আমার বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে যখন (ফৌজদারি কার্যবিধি) ৪০১ ধারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় মুক্তি দেয়া হয়েছিল, অসুস্থ হিসেবে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেখানে লিখে রাখিনি তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি কার্যক্রমের কথাই বলি—তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, তাহলে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যেতে হবে। ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তাহলে কি খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন? এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় যে চিঠি লেখা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, তার শারীরিক অবস্থা এমন, সুচিকিৎসা না হলে তার জীবন বিপন্ন হবে। আপনারাই বিচার করেন, যিনি অসুস্থ, তিনি কি রাজনীতি করতে পারেন? যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) বিবেচনায় মনে হয় তিনি রাজনীতি করতে পারেন, তাহলে আপনাদের বিবেচনা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি অসুস্থ, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, এটাই মনে হচ্ছে বেস্ট জাজমেন্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম জিয়ার কারাদণ্ড আছে। এই অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। তিনি নির্বাচন করার জন্য যোগ্য নন। তবে বিএনপির নেতা হিসেবে যদি রাজনীতি করতে চান, সেক্ষেত্রে যে শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেটি মেনে তাকে করতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আরোও পড়ুন । খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবেন না, এমন কথা ছিল না: আইনমন্ত্রী

এদিকে গত ১৯ ফ্রেবুয়ারি রাজধানীর জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জেএটিআই) আয়োজিত নবনিযুক্ত সহকারী জজদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তিনি দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থাকার কারণে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মানুষকে বিভান্ত করার জন্য তারা এসব কথা বলছে। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তারপর তার প্রাপ্য জামিন বয়স্ক নারী হিসাবে পাওয়ার কথা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাওযার কথা। তা তিনি পাননি। হঠাৎ করে তারা এসব কথা কেন বলছে তা বোধগম্য নয়।

আরোও পড়ুন । রাজনীতি নিয়ে অকপট মাহি

তবে বিশেষ উদ্যেশ্য নিয়ে এসব কথা বলছে। তিনি তো এখন কারাগারেই আছেন। জামিন দিলে মামলা চলমান থাকত, তখন নির্বাচন না করার তো কারণ নাই। সরকার নানাবিধ চাপের মধ্য থেকে নতুন কোনো ফন্দি তৈরি করার জন্য এসব কথা বলছে। আরেক প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিদেশি চাপের চেয়ে জনগণের চাপ বেশি। কারণ সব কিছুর দামে বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না। দুটি পাতানো নির্বাচন করেছে। নতুন করে আরেকটা নির্বাচন আসছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে নয়। ব্যাংকে টাকা নাই। সব মিলে তারা জনগণকে বিভান্ত করছে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

সাথী/ হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাজনীতি ও নির্বাচন: হঠাৎ আলোচনায় খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : হঠাৎ আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সরকার দলের একাধিক মন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন মন্তব্যে নতুন ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। অবশ্য আলোচনার শুরু ভিন্নভাবে। গত ২৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম জাতীয় সংসদে বলেন,
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি করবেন না, তার মুক্তির সময় এমন মুচলেকা দেয়া হয়েছে। এরপর এ বক্তব্যের বিপক্ষে মত দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় এমন কোনো শর্ত ছিল না। তবে দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটি শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে।

আরোও পড়ুন । খালেদা জিয়ার রাজনীতি আবারও আলোচনায়

আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি কী করবেন, সেটা আমার বলে দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে যখন (ফৌজদারি কার্যবিধি) ৪০১ ধারায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় মুক্তি দেয়া হয়েছিল, অসুস্থ হিসেবে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেখানে লিখে রাখিনি তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি কার্যক্রমের কথাই বলি—তিনি নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, তাহলে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যেতে হবে। ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি নৈতিক স্খলনের দায়ে কেউ দুই বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি সাজা ভোগের পর পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

তাহলে কি খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন? এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় যে চিঠি লেখা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল, তার শারীরিক অবস্থা এমন, সুচিকিৎসা না হলে তার জীবন বিপন্ন হবে। আপনারাই বিচার করেন, যিনি অসুস্থ, তিনি কি রাজনীতি করতে পারেন? যদি আপনাদের (সাংবাদিকদের) বিবেচনায় মনে হয় তিনি রাজনীতি করতে পারেন, তাহলে আপনাদের বিবেচনা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি অসুস্থ, তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না, এটাই মনে হচ্ছে বেস্ট জাজমেন্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেগম জিয়ার কারাদণ্ড আছে। এই অবস্থানটা তার নির্বাচন করার পক্ষে নয়। তিনি নির্বাচন করার জন্য যোগ্য নন। তবে বিএনপির নেতা হিসেবে যদি রাজনীতি করতে চান, সেক্ষেত্রে যে শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে, সেটি মেনে তাকে করতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আরোও পড়ুন । খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি করবেন না, এমন কথা ছিল না: আইনমন্ত্রী

এদিকে গত ১৯ ফ্রেবুয়ারি রাজধানীর জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জেএটিআই) আয়োজিত নবনিযুক্ত সহকারী জজদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনীতি করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু তিনি দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে থাকার কারণে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, মানুষকে বিভান্ত করার জন্য তারা এসব কথা বলছে। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তারপর তার প্রাপ্য জামিন বয়স্ক নারী হিসাবে পাওয়ার কথা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাওযার কথা। তা তিনি পাননি। হঠাৎ করে তারা এসব কথা কেন বলছে তা বোধগম্য নয়।

আরোও পড়ুন । রাজনীতি নিয়ে অকপট মাহি

তবে বিশেষ উদ্যেশ্য নিয়ে এসব কথা বলছে। তিনি তো এখন কারাগারেই আছেন। জামিন দিলে মামলা চলমান থাকত, তখন নির্বাচন না করার তো কারণ নাই। সরকার নানাবিধ চাপের মধ্য থেকে নতুন কোনো ফন্দি তৈরি করার জন্য এসব কথা বলছে। আরেক প্রশ্নেন জবাবে তিনি বলেন, সরকারের কাছে বিদেশি চাপের চেয়ে জনগণের চাপ বেশি। কারণ সব কিছুর দামে বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না। দুটি পাতানো নির্বাচন করেছে। নতুন করে আরেকটা নির্বাচন আসছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে নয়। ব্যাংকে টাকা নাই। সব মিলে তারা জনগণকে বিভান্ত করছে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

সাথী/ হককথা