নিউইয়র্ক ১১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সহিংস আন্দোলনে মানুষ মাঠে নামবে না তবে তারা পরিবর্তন চায়

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৪
  • / ১০৬৩ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক ও টিভি ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, হরতাল ঘেরাও, সহিংস আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ মাঠে নামবে না, তবে তারা পরিবর্তন চায়। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বিতর্কিত। এই নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ধারনা নেতিবাচক। তিনি ক্ষমতাসীন দলকে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘রাষ্ট্র আমার জোর আমার’ এটা আর চলবে না। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার ভুলের কারণেই বিএনপির এই অবস্থা। শুধু ‘কেয়ারটেকার সরকার’-এর কথা বলে নির্বাচন থেকে দুরে থাকা বিএনপির ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ। তাই তারা তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চায়।
সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী ৩০ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় টাইম টিভি’র লাইভ অনুষ্ঠান ‘টাইম টক’ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন। ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন টাইম টিভি’র সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক আবু তাহের। উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ‘সোস্যাল বিজনেস সামিট’ অনুষ্ঠান কভার শেষে মেক্সিকো থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নিউইয়র্কে যাত্রাবিরতিকালে মতিউর রহমান চৌধুরী ‘টাইম টক’-এর মুখোমুখী হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন।
‘টাইম টক’-এ মতিউর রহমান চৌধুরী ‘মাইক্রো অর্থনীতি’র জনক, নোবেল পুরষ্কার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অতি সম্প্রতি মেক্সিকো সফরের সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ড. ইউনুস এখন এমন এক ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন যে, ব্যক্তি নয় বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। যেকোন সেমিনারে তিনি সবসময় এক নম্বর বক্তা।
ড. ইউনূসকে ‘সামাজিক ব্যবসা তত্ব’র জনক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ঝড়-ঝঞ্জার মধ্যেও বাংলাদেশ নিয়ে তিনি ভাবছেন। বিশ্বব্যাপী তার এমন জনপ্রিয়তা, যা ভাবা যায় না। কিন্তু আমরা নানা কারণেই তাঁকে কাজে লাগাতে পারছি না। গরীবি আর সামাজিক বৈষম্য দূর করতে তিনি ভূমিকা রাখছেন। তাঁর চিন্তা তিনি কাউকে চাপিয়ে দিচ্ছেন না, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, পথ দেখাচ্ছেন । তার চিন্তা নিয়ে এখন পৃথিবীর অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে। পুঁজিবাদী বিশ্বও তাঁর কথা নিয়ে ভাবছেন। আর  যারা তার বিরোধীতা করছেন তারও জবাব ড. ইউনূস দিয়েছেন তার বক্তব্যে। কঠোর সমালোচনার মধ্যেও ড. ইউনূস থেমে থাকেননি। তিনি বার বার বলেছেন, মুনাফা ছাড়া ব্যবসা চলবে না। তাই সামাজিক বান্ধবের মাধ্যমে গরীবি হঠাতে হবে। বিশ্বের বড় বড় মিডিয়াগুলো কেন তাকে কভার করছে তা বুঝতে হবে।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ইউনূস সেন্টার’ আর ছোট নেই। সেন্টরটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের রূপ পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশী নয়, বিদেশীরাও এই সেন্টারে কাজ করছেন। বিদেশীদের আগ্রহ বাড়ছে ‘ইউনূস সেন্টার’-এর প্রতি।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, পূঁজিবাদী বিশ্বসহ পৃথিবীর সকল দেশের মানুষই এখন অর্থনৈতিক পরিবর্তন চায়। আমেরিকায় ক্ষুদ্র ঋণ চালু হবে এটা কি আমরা জানতাম। এই প্রকল্প চালু করে ড. ইউনূস বিশ্বের আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন, বিশ্বে নতুন চিন্তার ধারনা দিয়েছেন। ড. ইউনূস সকল গরীব মানুষকে স্বাবলম্বী করতে চান। তার কথা সমাজের বৈষম্য দূর করতে হবে। ড. ইউনূস শুধু ধারনা দিচ্ছেন। তাঁর কথা যে গ্রহণ করতেই হবে এমনটি নয়, তবে তার কথা বিশ্বের অনেককেই ভাবাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনটি কারণে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। কারণ তিনটি হচ্ছে দারিদ্রতা, ধর্মীয় আর রাজনৈতিক কারণ।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিঅরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ‘ড্যান মজিনা, কাজের মেয়ে মর্জিনা’, বিশ বছরের নিশা চার আনাও না দুই আনার মন্ত্রী’ এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ‘কূটনৈতিক রিপোর্টার‘ হিসেবে খ্যাত মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে যা মন্তব্য করা হয়েছে তা দু:খজনক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিগত ৪৩ বছরের ইতিহাসে এমন মন্তব্য কোন কূটনৈতিক সম্পর্কে করা হয়নি। এতে জাতির লাভ নয় ক্ষতিই হবে। রাজনৈতিক কারণেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ আমেরিকা বার বার নির্বাচনের কথাই বলছেন। মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শাসক দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক ঘঠনা সম্পর্কে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপরটা নাটকীয়। তাকে ট্রাম কার্ড বানানো হতে পারে। তার (লতিফ সিদ্দিকী) প্রয়াজনে নয়, অন্যের কারণেই তাকে জেলে থাকতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বালাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি দরকার। তৃতীয় শক্তি মানে সেনাবাহিনী নয়। তৃতীয় শক্তি হবে দেশের তরুণ সমাজ, দেশের তরুণরা নতুন নেতৃত্ব চায়। তাদের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশে তরুণদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
সড়ক দূর্ঘটনায় সদ্য নিহত বিশিষ্ট সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী সম্পর্কে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিকমানের সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দলমত নির্বিশেষে সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, সম্মান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, দেশে প্রতি বছর ১৫/২০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে । দুর্ঘটনার পর রিপোর্ট হয়, হৈচৈ হয়, তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু কোন ফল নেই। দুর্ঘটনা বাড়ছেই।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সহিংস আন্দোলনে মানুষ মাঠে নামবে না তবে তারা পরিবর্তন চায়

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৪

নিউইয়র্ক: বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক ও টিভি ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, হরতাল ঘেরাও, সহিংস আন্দোলনে বাংলাদেশের মানুষ মাঠে নামবে না, তবে তারা পরিবর্তন চায়। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন বিতর্কিত। এই নির্বাচন সম্পর্কে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ধারনা নেতিবাচক। তিনি ক্ষমতাসীন দলকে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেন, ‘রাষ্ট্র আমার জোর আমার’ এটা আর চলবে না। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার ভুলের কারণেই বিএনপির এই অবস্থা। শুধু ‘কেয়ারটেকার সরকার’-এর কথা বলে নির্বাচন থেকে দুরে থাকা বিএনপির ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে দেশের মানুষ বিক্ষুব্ধ। তাই তারা তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান চায়।
সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী ৩০ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যায় টাইম টিভি’র লাইভ অনুষ্ঠান ‘টাইম টক’ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন। ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন টাইম টিভি’র সিইও এবং সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র সম্পাদক আবু তাহের। উল্লেখ্য, মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ‘সোস্যাল বিজনেস সামিট’ অনুষ্ঠান কভার শেষে মেক্সিকো থেকে ঢাকায় ফেরার পথে নিউইয়র্কে যাত্রাবিরতিকালে মতিউর রহমান চৌধুরী ‘টাইম টক’-এর মুখোমুখী হন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন।
‘টাইম টক’-এ মতিউর রহমান চৌধুরী ‘মাইক্রো অর্থনীতি’র জনক, নোবেল পুরষ্কার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অতি সম্প্রতি মেক্সিকো সফরের সফলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ড. ইউনুস এখন এমন এক ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন যে, ব্যক্তি নয় বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। যেকোন সেমিনারে তিনি সবসময় এক নম্বর বক্তা।
ড. ইউনূসকে ‘সামাজিক ব্যবসা তত্ব’র জনক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ঝড়-ঝঞ্জার মধ্যেও বাংলাদেশ নিয়ে তিনি ভাবছেন। বিশ্বব্যাপী তার এমন জনপ্রিয়তা, যা ভাবা যায় না। কিন্তু আমরা নানা কারণেই তাঁকে কাজে লাগাতে পারছি না। গরীবি আর সামাজিক বৈষম্য দূর করতে তিনি ভূমিকা রাখছেন। তাঁর চিন্তা তিনি কাউকে চাপিয়ে দিচ্ছেন না, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন, পথ দেখাচ্ছেন । তার চিন্তা নিয়ে এখন পৃথিবীর অনেক দেশেই গবেষণা হচ্ছে। পুঁজিবাদী বিশ্বও তাঁর কথা নিয়ে ভাবছেন। আর  যারা তার বিরোধীতা করছেন তারও জবাব ড. ইউনূস দিয়েছেন তার বক্তব্যে। কঠোর সমালোচনার মধ্যেও ড. ইউনূস থেমে থাকেননি। তিনি বার বার বলেছেন, মুনাফা ছাড়া ব্যবসা চলবে না। তাই সামাজিক বান্ধবের মাধ্যমে গরীবি হঠাতে হবে। বিশ্বের বড় বড় মিডিয়াগুলো কেন তাকে কভার করছে তা বুঝতে হবে।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ইউনূস সেন্টার’ আর ছোট নেই। সেন্টরটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের রূপ পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশী নয়, বিদেশীরাও এই সেন্টারে কাজ করছেন। বিদেশীদের আগ্রহ বাড়ছে ‘ইউনূস সেন্টার’-এর প্রতি।
মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, পূঁজিবাদী বিশ্বসহ পৃথিবীর সকল দেশের মানুষই এখন অর্থনৈতিক পরিবর্তন চায়। আমেরিকায় ক্ষুদ্র ঋণ চালু হবে এটা কি আমরা জানতাম। এই প্রকল্প চালু করে ড. ইউনূস বিশ্বের আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন, বিশ্বে নতুন চিন্তার ধারনা দিয়েছেন। ড. ইউনূস সকল গরীব মানুষকে স্বাবলম্বী করতে চান। তার কথা সমাজের বৈষম্য দূর করতে হবে। ড. ইউনূস শুধু ধারনা দিচ্ছেন। তাঁর কথা যে গ্রহণ করতেই হবে এমনটি নয়, তবে তার কথা বিশ্বের অনেককেই ভাবাচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনটি কারণে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে। কারণ তিনটি হচ্ছে দারিদ্রতা, ধর্মীয় আর রাজনৈতিক কারণ।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিঅরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ‘ড্যান মজিনা, কাজের মেয়ে মর্জিনা’, বিশ বছরের নিশা চার আনাও না দুই আনার মন্ত্রী’ এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ‘কূটনৈতিক রিপোর্টার‘ হিসেবে খ্যাত মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে যা মন্তব্য করা হয়েছে তা দু:খজনক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিগত ৪৩ বছরের ইতিহাসে এমন মন্তব্য কোন কূটনৈতিক সম্পর্কে করা হয়নি। এতে জাতির লাভ নয় ক্ষতিই হবে। রাজনৈতিক কারণেই এমন মন্তব্য করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারণ আমেরিকা বার বার নির্বাচনের কথাই বলছেন। মন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শাসক দলই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সাম্প্রতিক ঘঠনা সম্পর্কে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর ব্যাপরটা নাটকীয়। তাকে ট্রাম কার্ড বানানো হতে পারে। তার (লতিফ সিদ্দিকী) প্রয়াজনে নয়, অন্যের কারণেই তাকে জেলে থাকতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বালাদেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি দরকার। তৃতীয় শক্তি মানে সেনাবাহিনী নয়। তৃতীয় শক্তি হবে দেশের তরুণ সমাজ, দেশের তরুণরা নতুন নেতৃত্ব চায়। তাদের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে। বাংলাদেশে তরুণদের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
সড়ক দূর্ঘটনায় সদ্য নিহত বিশিষ্ট সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী সম্পর্কে মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিকমানের সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর দলমত নির্বিশেষে সবাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, সম্মান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, দেশে প্রতি বছর ১৫/২০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে । দুর্ঘটনার পর রিপোর্ট হয়, হৈচৈ হয়, তদন্ত কমিটি হয়, কিন্তু কোন ফল নেই। দুর্ঘটনা বাড়ছেই।