মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল : পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রিভিউ করবে আসামীপক্ষ
- প্রকাশের সময় : ০৬:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০১৫
- / ৯১৩ বার পঠিত
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্রুদন্ড বহালের চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছে, আপিল আংশিক মঞ্জুর করা হলো। এক নম্বর অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেয়া সাজা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে। তিন নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদন্ড, পাঁচ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ছয় নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া সাত নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে। এখন নিয়মানুযায়ী এই আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হওয়ার পর তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার সুযোগ পাবেন। রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে রায় দেয়া শুরু হয়। দু’মিনিটেই সংক্ষিপ্ত রায় দেয়া শেষ হয়।
সরকারের এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রায়ের পর বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার অভিযোগ তার (মুজাহিদ) বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ। এই অভিযোগে তাকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন আপিল বিভাগ। আশা করছি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ রায় পাবো। পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মুজাহিদ আল বদর নেতা ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে এটর্নি জেনারেল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুজাহিদকে আলবদর নেতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলায় এটিই প্রথম রায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আদালতে মুজাহিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এডভোকেট এস এম শাহজাহান। তাদের সহায়তা করেন এডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রায় প্রদানের সময় মুজাহিদের পক্ষে আদালতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, এডভোকেট মসিউল আলম, এডভোকেট গিয়াসউদ্দিন মিঠু, এডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, এডভোকেট এস এম কামালউদ্দিন প্রমুখ।
গত ২৭ মে উভয়পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত ১৬ জুন রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার রায় দেয়া হয়। এর আগে ২৫, ২৬ ও ২৭ মেসহ তিন কার্যদিবসেই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ২৬ মে মুজাহিদের পক্ষে এডভোকেট এস এম শাহজাহান ও খন্দকার মাহবুব হোসেন যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। ২৭ মে এটর্নি জেনারেলের যুক্তি শেষ হলে এস এম শাহজাহান পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপরই রায়ের দিন নির্ধারণ করে আদালত। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল এবং ৪, ৫, ৬, ১৭ ও ১৮ মে আপিলের পেপারবুক পড়া শেষ করেন মুজাহিদের আইনজীবী।
যে অভিযোগে মৃত্যুদন্ড বহাল: প্রসিকিউশনের ৬ নম্বর অভিযোগ হলো বুদ্ধিজীবী হত্যার। ট্রাইব্যুনাল ১ নম্বর অভিযোগ (সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যা) এবং ৬ নম্বর অভিযোগ সমন্বিত করে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। আপিল বিভাগের রায়ে সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন হত্যার অভিযোগ থেকে মুজাহিদকে খালাস দেয়া হয়েছে। তবে বুদ্ধিজীবী হত্যার ৬ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখেছেন। আর ৭ নম্বর অভিযোগে (বাকচরের ঘটনা) ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তিন নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদন্ড ও পাঁচ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রয়েছে।
বুদ্ধিজীবী হত্যা সংক্রান্ত ৬ষ্ঠ অভিযোগের বিষয়ে মুজাহিদের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেছিলেন, এই অভিযোগটি সুনির্দিষ্ট নয়। মুজাহিদ কবে, কাকে, কিভাবে হত্যা বা অপহরণ করেছেন সুনির্দিষ্ট কোন দিন তারিখ উল্লেখ নাই। কোন আর্মি অফিসারের সঙ্গে কোথায় বসে এই পরামর্শ হয়েছে সে ব্যপারেও কোন উল্লেখ নেই। এই পরামর্শের সময় আর কেউ উপস্থিত ছিলো কিনা এই মর্মে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যও দেয়া হয়নি। এইভাবে অভিযোগ গঠন ১৯৭৩ সালের আইনের পরিপন্থী। ১৯৭৩ সালের আইনের ১৬(গ) ধারায় সুম্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে আনতে হবে। তাই এই অভিযোগটি ১৬(গ) ধারার সুম্পষ্ট লঙ্ঘন করে গঠন করা হয়েছে।
কোন বুদ্ধিজীবি পরিবারের কোন সদস্য, যারা এই ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের কথিত ঘটনার ভিকটিম তাদের কারও স্ত্রী বা সন্তান-সন্তুতি ট্রাইবুনালে এসে মুজাহিদের বিরুদ্ধে কোন স্বাক্ষ্য প্রদান করেননি।
এই মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী রুস্তম আলী মোল্লা। ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১৪ বছর। তার বাবা রহম আলী মোল্লা ঐ ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। তিনি এখনও জীবিত আছেন। কিন্তু প্রসিকিউটর তাকে স্বাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির করেনি। ঐ সময়কার প্রিন্সিপাল বা অধ্যক্ষ এখনও জীবিত আছেন। তাকেও এই মামলার স্বাক্ষী করা হয়নি। তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে, তৎকালীন কোয়ার্টারে থাকা কোন স্টাফ, অধ্যাপক বা অন্য কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তিনি এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। প্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে এই ঘটনায় স্বাক্ষী না করে ১৪ বছরের একজন বালককে স্বাক্ষী করা আইনের দৃষ্টিতে গর্হিত কাজ। সাক্ষী ছিলেন নাবালক। সাক্ষী নিজেই স্বীকার করেছে তার বাবা সার্বক্ষণিক গার্ডের কাজ করতেন। জবানবন্দিতে সাক্ষী বলেছে, এই ঘটনা সংক্রান্তে তিনি তার বাবার চেয়েও বেশি জানেন। এমন পরিস্থিতিতে এই স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে বেআইনীভাবে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেছেন। অধিকন্তু তার বাবা রহম আলী বিভিন্ন টিভি সাক্ষাৎকারে ঘটনার বর্ণনা করলেও মুজাহিদকে তার সাথে সম্পৃক্ত করেননি।
স্বাক্ষী রুস্তম আলী ট্রাইব্যুনালে জেরায় বলেছে, ১৯৭১ সালে ফিজিক্যাল ট্রেনিং কলেজের টর্চার সেন্টারে নির্যাতিত এমন কারো নাম আমি বলতে পারব না। যাদেরকে টর্চার সেলে নির্যাতন করা হতো তারা বুদ্ধিজীবি ছিলো শুনেছি। এরকম মানের কোন স্বাক্ষ্য দিয়ে কোন ব্যক্তিকে আদৌ অভিযুক্ত করা বা এমন কোন সাক্ষ্যকে গুরুত্ব দিয়ে যদি কোন সিদ্ধান্তে আসা হয়, তা কি আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে? সাক্ষী জেরায় স্বীকার করে যে, পূর্বে কোন সাক্ষাৎকারে সে বা তার পিতা ১৯৭১ সালে মুজাহিদকে চিনতো, তাকে দেখেছেন এবং মুজাহিদ ফিজিক্যাল কলেজে যাতায়াত করতেন মর্মে বিটিভি বা পত্রিকায় কোন বক্তব্য দেননি।
মুজাহিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ২৬ মে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা বিস্তারিত সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে দেখিয়েছি যে, মুজাহিদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষীরা যা বলেছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে কাউকে সাজা দেয়া যায় না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন- মুজাহিদ আল-বদরের কোন পদে ছিলেন না। তিনি ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের সাজা সঙ্গত ছিল না। তিনি বলেন, আদালত জানতে চেয়েছেন তিনি বেনিফিট অফ ডাউট পাবেন কি না? আমরা বলেছি- এক্ষেত্রে তিনি অবশ্যই বেনিফিট অফ ডাউট পাবেন। আমরা আশা করি মুজাহিদ সাহেব আপিল বিভাগে ন্যায় বিচার পাবেন এবং খালাস পাবেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন তখন বলেন, দুটি অভিযোগে (চার্জে) মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে এটি ৭ নম্বর চার্জ। এই চার্জটি ফরমাল চার্জ বা অনুষ্ঠানিক অভিযোগে ছিল না এবং আদালত এই অভিযোটি আমলেও নেননি। অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বলেছে- মুজাহিদ আল-বদর কমান্ডার ছিল না। আমরা এ বিষয়ে মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের মামলার আপিল বিভাগের রায় দেখিয়েছি। কমান্ড বা সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি হতে হলে সে পর্যায়ে আসামীর দায়িত্বে ঘটনা সংঘটিত হতে হবে। অন্যথায় তাকে সাজা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ’৭১ সালে রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল। কিন্তু বুদ্ধিজীবী হত্যা বা কোন ধরণের হত্যাকান্ড ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান আর্মিরা যখন কোনখানে যেতো তখন তারা স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে ছাড়া ঘটনাস্থলে যেতো না। কিন্তু তখন যারা পুলিশে ছিলেন, প্রশাসনে ছিলেন, ডিসি ছিলেন তাদের কেউ অভিযুক্ত বা বিচারের মুখোমুখি হননি। বঙ্গবন্ধু কলাবরেটরদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। এখানে পাকিস্তানের যেসব সেনা কর্মকর্তারা ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে ১৯৭৩ সালে সেই ১৯৫ জন পাকিস্তান সেনা কর্মকর্তাকে বিচার না করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ওই অপরাধীদের বিচার না করে বঙ্গবন্ধু তাদের ক্ষমা করেছেন। প্রধান আসামীদের ছেড়ে দেয়ার পর এদের বিচার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মুজাহিদ ব্যক্তিগতভাবে ফিজিক্যালী কোন হত্যাকান্ড বা অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি তখন ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। এ কারণে তাকে সাজা দেয়া যাবে না।
২০১৩ সালের ১১ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ। মোট ৯৫ পৃষ্ঠার ১১৫টি গ্রাউন্ডে আপিল আবেদন করা হয়। মূল আবেদনের সঙ্গে ৩ হাজার ৮শ পৃষ্ঠার নথিপত্র সংযুক্ত রয়েছে। এডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন তুহিন এ আপিল দাখিল করেন।
এর আগে গত বছরের ১৭ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মামলায় রায় দেন। রায়ে মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা সাতটি অভিযোগের মধ্যে দুটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। অন্যদিকে একটি অভিযোগে যাবজ্জীবন, একটিতে পাঁচ বছরের জেল এবং দুটি অভিযোগে মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। রায়ে উল্লেখ করা হয় মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনীত সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ তথা- প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ দুই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি বা খালাস দেয়া হয়েছে। এক নম্বর অভিযোগকে ৬ এর সঙ্গে সংযুক্ত করে এ দু’টি অভিযোগে সমন্বিতভাবে ও ৭ নম্বর অভিযোগে মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ড, ৫ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং ৩ নম্বর অভিযোগে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার একটি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।(দৈনিক সংগ্রাম)