মনবতাবিরোধী অপরাধ : জাপা’র সাবেক এমপি জব্বারের আমৃত্যু কারাদন্ড

- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
- / ৫২২ বার পঠিত
ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১, ২, ৩, ও ৫ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪ নম্বর অভিযোগে ২০ বছরের কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। এ আগে সকাল ১১টার পরে ১ শ’ ৪১ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
রায় পাঠ শুরু করার আগে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, উপস্থিত চিফ প্রসিকিউটর, সুধীজন ও সাংবাদিকবৃন্দ আজ ২৪ ফেব্রুয়ারী। আজকেই এই দিনে ২০১৩ সালের আমি এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করি। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পরে পাঁচটি রায় এবং তার আগে অত্র ট্রাইব্যুনালে আরো তিনটি মিলিয়ে মোট ৮টি রায় ঘোষণা করা হবে।
তার আগে গত বছর ৩ ডিসেম্বর এ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়। এটি হবে উভয় ট্রাইব্যুনালে মিলে ১৭তম রায় এবং ট্রাইব্যুনাল-১এ ঘোষিত ৮ম রায়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি অষ্টম রায়।
২৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বীন ট্রাইব্যুনাল উক্ত মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে আদেশ দেন। সে হিসেবে এদিন এই রায় ঘোষণা করা হবে।
প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম বলেন, আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। প্রসিকিউটরের দাবী আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তির হবে। ট্রাইব্যুনালে জব্বারের পক্ষে মামলায় শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান।
জব্বারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত বছর ১৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর শেষ হয়। জব্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনসহ ২৪ জন সাক্ষী।তাদের মধ্যে ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন ২২ জন।
গত বছর ৮ জুলাই ট্রাইব্যুনালের এক আদেশে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জব্বারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির হননি জব্বার। এ জন্য তাকে পলাতক ঘোষণা করা হলো। আবুল হাসানকে মামলায় পলাতক আসামী পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য রাষ্ট্র নিযুক্ত (স্ট্যাট ডিফেন্স) আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। এর আগে গত ১২ মে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এই আসামী যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন বলে তদন্ত সংস্থা সুত্র জানায়। গতবছর ১১ মে এ আসামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে প্রসিকিউশন।(দৈনিক সংগ্রাম)