নিউইয়র্ক ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিচারকের প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীর অনাস্থা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৪
  • / ১০৩৭ বার পঠিত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

সোমবার বিচারক বাসুদেব রায়ের বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এই অনাস্থা প্রকাশ করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৬ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একই সঙ্গে ওই দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুটি মামলায় সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বাদীর আংশিক সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সোমবার বাকি সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন।

খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের দুই মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করে নতুন তারিখ রেখেছে আদালত। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের সাক্ষ্য শোনার জন্য ২৬ অক্টোবর নতুন তারিখ রেখে ওইদিন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদাকে অবশ্যই আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।

সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিনে খালেদার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে তিনি এই আদেশ দেন। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। হারুন অর রশিদ অপর মামলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও বাদী ও সাক্ষী। সকালে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবিসহ মামলা দু’টিতে মোট ৫টি আবেদন করেন আসামিপক্ষ। এর মধ্যে, সোমবার আদালতে খালেদার অনুপস্থিতির জন্য দুই মামলায় দু’টি আবেদন করা হয় এবং অপর দু’টি দরখাস্ত করা হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য। এছাড়া বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আপিলের জন্য সর্বশেষ আবেদনটি জানানো হয়েছিল এর আগের ধার্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বরে।

পাঁচটি আবেদনের ওপরই শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদার পক্ষে শুনানি করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। একই সঙ্গে এ দুটি মামলার বিষয়ে খালেদার লিভ টু আপিলের ওপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে শুনানির তারিখ থাকার কথা জানিয়ে তারা সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ দুটি মামলার বিচার কাজ চলছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন নাকচ করে তার অনুপস্থিতিতেই একটি মামলায় বাদীর আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য মুলতবি করে খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এ দুটি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এর মধ্যে এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদা ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জন এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো তিনজন আসামি হিসাবে রয়েছেন। এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে গেলেও তা খারিজ হয়ে যায়।অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও খালেদা দুটি রিভিশন আবেদন করেছিলেন, যেগুলো হাই কোর্টে খারিজ হয়। হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে করা খালেদার আবেদন বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিচারকের প্রতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীর অনাস্থা

প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

সোমবার বিচারক বাসুদেব রায়ের বিশেষ জজ আদালত-৩ এ এই অনাস্থা প্রকাশ করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২৬ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। একই সঙ্গে ওই দিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুটি মামলায় সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। গত ২২ সেপ্টেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বাদীর আংশিক সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সোমবার বাকি সাক্ষ্য নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন।

খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের দুই মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করে নতুন তারিখ রেখেছে আদালত। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদের সাক্ষ্য শোনার জন্য ২৬ অক্টোবর নতুন তারিখ রেখে ওইদিন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদাকে অবশ্যই আদালতে হাজির থাকতে বলেছেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ বাসুদেব রায়।

সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত দিনে খালেদার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে তিনি এই আদেশ দেন। খালেদার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। হারুন অর রশিদ অপর মামলা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও বাদী ও সাক্ষী। সকালে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবিসহ মামলা দু’টিতে মোট ৫টি আবেদন করেন আসামিপক্ষ। এর মধ্যে, সোমবার আদালতে খালেদার অনুপস্থিতির জন্য দুই মামলায় দু’টি আবেদন করা হয় এবং অপর দু’টি দরখাস্ত করা হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার জন্য। এছাড়া বিচারিক আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আপিলের জন্য সর্বশেষ আবেদনটি জানানো হয়েছিল এর আগের ধার্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বরে।

পাঁচটি আবেদনের ওপরই শুনানি শুরু হয় বেলা ১১টা ৫ মিনিটে। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন খালেদার পক্ষে শুনানি করেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। একই সঙ্গে এ দুটি মামলার বিষয়ে খালেদার লিভ টু আপিলের ওপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে শুনানির তারিখ থাকার কথা জানিয়ে তারা সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন। ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এ দুটি মামলার বিচার কাজ চলছে।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদন নাকচ করে তার অনুপস্থিতিতেই একটি মামলায় বাদীর আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্য মুলতবি করে খালেদাকে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এ দুটি মামলায় গত ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করে আদালত।

এর মধ্যে এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদা ও তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জন এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো তিনজন আসামি হিসাবে রয়েছেন। এ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপিল বিভাগে গেলেও তা খারিজ হয়ে যায়।অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেও খালেদা দুটি রিভিশন আবেদন করেছিলেন, যেগুলো হাই কোর্টে খারিজ হয়। হাই কোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে করা খালেদার আবেদন বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।