নিউইয়র্ক ১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতার ঈদ কারাগারে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০১৫
  • / ৫৭০ বার পঠিত

ঢাকা: বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাও বেশ কয়েক বছর ধরে কারাবন্দিদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। এদের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছেন দলটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তালিকায় আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব। কারাগারে আছেন বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও। ২০১০ সালের পর আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হয়নি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রভাবশালী নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর। কারণ তখন থেকে অদ্যাবধি তিনি কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাভোগ করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে কারাগারে আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র এমএ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সবশেষ কারাগারে গেছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু।
এছাড়া দুর্নীতির মামলায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে আছেন। নানা আলোচনার ইতি ঘটিয়ে মুক্তি মেলায় পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ পেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে বিএনপির আরেক যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ আছেন ভারতের শিলংয়ে। অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। তাই অন্যান্য সময় পরিবার-পরিজন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেও এবার দেশের বাইরে ঈদ করতে হবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকের টানা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদের কেউ ঢাকায় কেউ আবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।
সীতাকুন্ডে হরতালে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে তিনি আটক হন।
অন্যদের মধ্যে গত ১১ জানুয়ারি মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন শামসুজ্জামান দুদু, ৩০ জানুয়ারী গুলশানের একটি বাসা থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে অবরোধে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কারাগারে আগেও ঈদ করেছেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে ২০১৪ সালের ১২মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নান গ্রেপ্তার হন গত ১১ ফেব্রæয়ারী রাতে। অবরোধে গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঢাকায় ঈদ করবেন বলে জানান।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদের দিন সকালের দিকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানটি হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতার ঈদ কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১০:০২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০১৫

ঢাকা: বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাও বেশ কয়েক বছর ধরে কারাবন্দিদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। এদের সঙ্গে এবার যোগ হয়েছেন দলটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তালিকায় আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব। কারাগারে আছেন বিএনপি সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও। ২০১০ সালের পর আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হয়নি মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রভাবশালী নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর। কারণ তখন থেকে অদ্যাবধি তিনি কারাগারে আছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মামলায় কারাগারে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাভোগ করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। সরকারবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে কারাগারে আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও গাজীপুরের মেয়র এমএ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সবশেষ কারাগারে গেছেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু।
এছাড়া দুর্নীতির মামলায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী এ এস এম কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারাগারে আছেন। নানা আলোচনার ইতি ঘটিয়ে মুক্তি মেলায় পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির সুযোগ পেলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে বিএনপির আরেক যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ আছেন ভারতের শিলংয়ে। অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলায় জামিন নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন। তাই অন্যান্য সময় পরিবার-পরিজন ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলেও এবার দেশের বাইরে ঈদ করতে হবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকের টানা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-দফতর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এদের কেউ ঢাকায় কেউ আবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।
সীতাকুন্ডে হরতালে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার মামলায় ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৯ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডের আদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় কারাগারে আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে তিনি আটক হন।
অন্যদের মধ্যে গত ১১ জানুয়ারি মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন শামসুজ্জামান দুদু, ৩০ জানুয়ারী গুলশানের একটি বাসা থেকে রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদেরকে অবরোধে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কারাগারে আগেও ঈদ করেছেন স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে ২০১৪ সালের ১২মার্চ গ্রেপ্তার করা হয়।
গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নান গ্রেপ্তার হন গত ১১ ফেব্রæয়ারী রাতে। অবরোধে গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে আছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমানসহ বেশ কয়েকজন ঢাকায় ঈদ করবেন বলে জানান।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও ঈদের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদের দিন সকালের দিকে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানটি হবে।