নিউইয়র্ক ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘বাংলাদেশের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই : রাষ্ট্রদূত বার্নিকেট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০১৫
  • / ৬১৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকেট উৎফুল্লচিত্তে বললেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দিন যত যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়ে আমি অনেক আশাবাদি।’
বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে যোগদানের প্রাক্কালে খবরডটকমের সম্পাদক শিব্বির আহমেদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বার্নিকেট আরো বলেন, ‘উন্নয়ন-অগ্রগতির কৌশলগুলো এত দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করা হচ্ছে যে, সামগ্রিক উন্নয়নে আর কারো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকার প্রয়োজন হবে না। নিজেরাই নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবকিছু করতে সক্ষম।’
মার্সিয়া বার্নিকেট নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সবকিছু করা উচিত। তবে তা সংবিধানের পরিপূরক হওয়া জরুরী।’ ‘রাজনৈতিক স্থিতির ওপর উন্নয়ন-অগ্রগতি অনেকটাই নির্ভর করে। বাংলাদেশ তার অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ করবে বলে আমরা মনে করি।’-বলেন বার্নিকেট। রাষ্ট্রদূত বার্নিকেট সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্যে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ফল দিতে শুরু করেছে বলেও মনে করছেন এই রাষ্ট্রদূত।
BD Embassy_26 March'2015_Barnicotজানুয়ারীতে ঢাকায় নয়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের সময় থেকেই বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ চলছে এবং সে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে সে কর্মসূচিতে জনসমর্থন কতটা রয়েছে কিংবা কর্মসূচির প্রতি মানুষের সমর্থনের ব্যাপকতা কতটা প্রবল সে বিষয় খতিয়ে না দেখলেও রাষ্ট্রদূত বার্নিকেটের মন্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন।
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা। তিনি মিডিয়ার সাথে কথা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, ‘আই মিস বাংলাদেশ সো মাচ। এজন্যে এখানে এলাম সকলের সাথে মিলিত হতে। কারণ, আমি নিজেকে বাঙালী বলেই মনে করছি।’ মজেনা বলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে এশিয়ার রাইজিং টাইগার। তাকে আর কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।’ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ডিজিটাল বাংলাদেশের আদলে-মন্তব্য মজেনার।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসোয়াল। তিনিও বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভ’তপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তার শান্তিপূর্ণ অবসানে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সকলকে সমঝোতায় উপনীত হওয়া জরুরী বলেও মন্তব্য করেন নিশা দেশাই।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ রচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নীরব বিপ্লব চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সরকারের বিচক্ষণ নেতৃত্বে তা অপসারিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। সার্বিক উন্নয়ন পরিক্রমায় সমগ্র জনগোষ্ঠি আজ ঐক্যবদ্ধ।’ রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন উল্লেখ করেছেন যে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘বাংলাদেশের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই : রাষ্ট্রদূত বার্নিকেট

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকেট উৎফুল্লচিত্তে বললেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। দিন যত যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়ে আমি অনেক আশাবাদি।’
বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে যোগদানের প্রাক্কালে খবরডটকমের সম্পাদক শিব্বির আহমেদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বার্নিকেট আরো বলেন, ‘উন্নয়ন-অগ্রগতির কৌশলগুলো এত দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করা হচ্ছে যে, সামগ্রিক উন্নয়নে আর কারো মুখাপেক্ষি হয়ে থাকার প্রয়োজন হবে না। নিজেরাই নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবকিছু করতে সক্ষম।’
মার্সিয়া বার্নিকেট নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সবকিছু করা উচিত। তবে তা সংবিধানের পরিপূরক হওয়া জরুরী।’ ‘রাজনৈতিক স্থিতির ওপর উন্নয়ন-অগ্রগতি অনেকটাই নির্ভর করে। বাংলাদেশ তার অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ করবে বলে আমরা মনে করি।’-বলেন বার্নিকেট। রাষ্ট্রদূত বার্নিকেট সরকারের সন্ত্রাস বিরোধী বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠার জন্যে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ফল দিতে শুরু করেছে বলেও মনে করছেন এই রাষ্ট্রদূত।
BD Embassy_26 March'2015_Barnicotজানুয়ারীতে ঢাকায় নয়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের সময় থেকেই বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ চলছে এবং সে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তবে সে কর্মসূচিতে জনসমর্থন কতটা রয়েছে কিংবা কর্মসূচির প্রতি মানুষের সমর্থনের ব্যাপকতা কতটা প্রবল সে বিষয় খতিয়ে না দেখলেও রাষ্ট্রদূত বার্নিকেটের মন্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বলে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন।
অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা। তিনি মিডিয়ার সাথে কথা প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন, ‘আই মিস বাংলাদেশ সো মাচ। এজন্যে এখানে এলাম সকলের সাথে মিলিত হতে। কারণ, আমি নিজেকে বাঙালী বলেই মনে করছি।’ মজেনা বলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে এশিয়ার রাইজিং টাইগার। তাকে আর কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।’ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ডিজিটাল বাংলাদেশের আদলে-মন্তব্য মজেনার।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসোয়াল। তিনিও বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভ’তপূর্ব সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত রাখতে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তার শান্তিপূর্ণ অবসানে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সকলকে সমঝোতায় উপনীত হওয়া জরুরী বলেও মন্তব্য করেন নিশা দেশাই।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ রচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নীরব বিপ্লব চলছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের চাকা থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সরকারের বিচক্ষণ নেতৃত্বে তা অপসারিত হচ্ছে ক্রমান্বয়ে। সার্বিক উন্নয়ন পরিক্রমায় সমগ্র জনগোষ্ঠি আজ ঐক্যবদ্ধ।’ রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন উল্লেখ করেছেন যে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর।