নিউইয়র্ক ১১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দেশে কোন সঙ্কট নেই, সংলাপ হবে না : হানিফ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০১৫
  • / ৩৭৮ বার পঠিত

ঢাকা: দেশে কোন ‘সাংবিধানিক’ ও ‘রাজনৈতিক’ সঙ্কট নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, যে পরিস্থিতি বর্তমানে চলছে তা অনাদিকাল চলবে না। দেশে কোন সংকট নেই এবং খুনি মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন সংলাপও হবে না। শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হানিফ এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের পর ধানমন্ডিস্থ দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একজন মিথ্যাবাদী হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত হয়েছেন। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে যতই মিথ্যাচার করেন না কেন আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার দায় থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে। কিছু ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সন্ত্রাসী আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। এটা কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড হতে পারে না। যে কোন মূল্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার তথাকথিত হরতাল অবরোধ বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আর প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই খালেদা জিয়া প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মানুষ হত্যা করছেন। খালেদা জিয়া খুনি, মানুষ হত্যাকারী। তার সঙ্গে কোন সংলাপ হতে পারে না।
হানিফ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না-কি বলেছিলেন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। এরপর সংসদ ভেঙে দিয়ে আরেকটি নির্বাচন হবে। তার কাছে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবে কোথায় একথা বলেছিলেন? বিএনপি-জামায়াতকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা তাদের প্রভু পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে উচ্চ আদালত জামায়াতের নিবন্ধ বাতিল করেছিল। যে কারণে জামায়াত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিল। আর জামায়াত যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, তাই বিএনপিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ‘জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে’ খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার খালেদা জিয়াই কেড়ে নিয়েছিলেন। যদি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেই এ অভিযোগ উঠবে। ভবিষ্যতে হয়তো এ কারণে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গণমাধ্যম প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি বলেছেন গণমাধ্যমের নাকি স্বাধীনতা নেই। খালেদা জিয়া একজন ফেরারি আসামি হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত। একজন ফেরারি আসামি হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে সংবাদ সম্মেলন করলেন। তাই তার এই বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কি হতে পারে?
খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এজন্য একটু সময় লাগছে। আমরা চাই আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

দেশে কোন সঙ্কট নেই, সংলাপ হবে না : হানিফ

প্রকাশের সময় : ১০:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: দেশে কোন ‘সাংবিধানিক’ ও ‘রাজনৈতিক’ সঙ্কট নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, যে পরিস্থিতি বর্তমানে চলছে তা অনাদিকাল চলবে না। দেশে কোন সংকট নেই এবং খুনি মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন সংলাপও হবে না। শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হানিফ এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের পর ধানমন্ডিস্থ দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। এসব বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি একজন মিথ্যাবাদী হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত হয়েছেন। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যের মাধ্যমে যতই মিথ্যাচার করেন না কেন আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যার দায় থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চলছে। কিছু ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সন্ত্রাসী আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমা দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করছে। এটা কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড হতে পারে না। যে কোন মূল্যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার তথাকথিত হরতাল অবরোধ বাংলার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আর প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই খালেদা জিয়া প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মানুষ হত্যা করছেন। খালেদা জিয়া খুনি, মানুষ হত্যাকারী। তার সঙ্গে কোন সংলাপ হতে পারে না।
হানিফ বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না-কি বলেছিলেন ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। এরপর সংসদ ভেঙে দিয়ে আরেকটি নির্বাচন হবে। তার কাছে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবে কোথায় একথা বলেছিলেন? বিএনপি-জামায়াতকে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত একে অপরের পরিপূরক। তারা তাদের প্রভু পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত। ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের আগে উচ্চ আদালত জামায়াতের নিবন্ধ বাতিল করেছিল। যে কারণে জামায়াত নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিল। আর জামায়াত যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি, তাই বিএনপিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ‘জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে’ খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার খালেদা জিয়াই কেড়ে নিয়েছিলেন। যদি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার কথা বলা হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধেই এ অভিযোগ উঠবে। ভবিষ্যতে হয়তো এ কারণে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। গণমাধ্যম প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি বলেছেন গণমাধ্যমের নাকি স্বাধীনতা নেই। খালেদা জিয়া একজন ফেরারি আসামি হিসেবে জাতির কাছে চিহ্নিত। একজন ফেরারি আসামি হয়ে তিনি সাংবাদিকদের সামনে সংবাদ সম্মেলন করলেন। তাই তার এই বক্তব্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কি হতে পারে?
খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। এজন্য একটু সময় লাগছে। আমরা চাই আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। (দৈনিক মানবজমিন)