নিউইয়র্ক ১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তিস্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মমতার আশ্বাস

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৫৫ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ আসা মমতার এ সফরে তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তির জট খোলার আশা করে আসছে বাংলাদেশ। গণভবনে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বেলা সোয়া দুইটার দিকে তিনি গণভবন থেকে বের হন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তিতে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি (মমতা) বলেছেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে সংবিধান সংশোধনের বিল ভারতের পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনেই পাস হতে পারে।
ইকবাল সোবহান বলেন, “পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ সংরক্ষণ করে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তথ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মমতাকে ছিটমহলের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
“পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ছিটমহলে গেছেন এবং তাদের দুর্ভোগ নিজ চোখে দেখেছেন।”
ইকবাল সোবহান জানান, গণভবনে প্রথমে দুই পক্ষের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আধা ঘণ্টা একান্তে বৈঠক করেন মমতা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে মমতা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি অনেক ছোট ছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত শুনতেন তিনি। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ভাষাশহীদ ও মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ বছর পর ঢাকায় এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
গণভবনে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন মমতা, যেখানে ইলিশও পরিবেশন করা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।তার আগে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রিয় ইলিশ না পাওয়ার বিষয়টি শেখ হাসিনার কাছে তোলেন মমতা। মমতাকে ঊষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো শেখ হাসিনা তখন বলেন, “পানি এলে ইলিশও যাবে।”
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা আটকে যায়। স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেও বিরোধিতা ছিল তার।তবে চার বছর পর ভারতের রাজনীতির পালাবদলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সুর এখন এই দুই বিষয়ে অনেকটাই নরম। (দৈনিক যুগান্তর)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

তিস্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মমতার আশ্বাস

প্রকাশের সময় : ০২:০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ আসা মমতার এ সফরে তিস্তা চুক্তি ও স্থলসীমান্ত চুক্তির জট খোলার আশা করে আসছে বাংলাদেশ। গণভবনে মধ্যাহ্নভোজেও অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বেলা সোয়া দুইটার দিকে তিনি গণভবন থেকে বের হন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের কোন আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তিতে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি (মমতা) বলেছেন, স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে সংবিধান সংশোধনের বিল ভারতের পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনেই পাস হতে পারে।
ইকবাল সোবহান বলেন, “পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ সংরক্ষণ করে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তথ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী মমতাকে ছিটমহলের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
“পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ছিটমহলে গেছেন এবং তাদের দুর্ভোগ নিজ চোখে দেখেছেন।”
ইকবাল সোবহান জানান, গণভবনে প্রথমে দুই পক্ষের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আধা ঘণ্টা একান্তে বৈঠক করেন মমতা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মরণ করে মমতা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি অনেক ছোট ছিলেন। কিন্তু স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো নিয়মিত শুনতেন তিনি। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ভাষাশহীদ ও মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ বছর পর ঢাকায় এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
গণভবনে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন মমতা, যেখানে ইলিশও পরিবেশন করা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।তার আগে বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রিয় ইলিশ না পাওয়ার বিষয়টি শেখ হাসিনার কাছে তোলেন মমতা। মমতাকে ঊষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো শেখ হাসিনা তখন বলেন, “পানি এলে ইলিশও যাবে।”
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে তা আটকে যায়। স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরেও বিরোধিতা ছিল তার।তবে চার বছর পর ভারতের রাজনীতির পালাবদলে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সুর এখন এই দুই বিষয়ে অনেকটাই নরম। (দৈনিক যুগান্তর)