নিউইয়র্ক ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

খালেদা জিয়ার জামিন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৫৫০ বার পঠিত

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার (৫ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন। বিচারক জামিনের আদেশে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে কারাগারে দেয়া আদালতের উদ্দেশ্য নয়। তিনি ন্যায়বিচার পান, এটাই আদালতের প্রত্যাশা। তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হলো। মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে এই দুই মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে যান তিনি। রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি গুলশানের কার্যালয় থেকে রওনা দিয়ে ১০টা ৩২ মিনিটে বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে পৌঁছেন। আদালত থেকে জামিন পেলে নিজ বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গত ৫ মার্চ আদালতে হাজিরের নির্দেশ থাকলেও খালেদা জিয়া যাননি। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত ওইদিন ৫ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ দিনে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় না যাওয়ার বিষয় নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের বিভ্রান্তি ও ধূ¤্রজাল। আদালতের কর্মচারীরা বলছেন, পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের উপ-কমিশনার (গুলশান) খন্দকার লুত্ফুল কবীর শনিবার (৪ এপ্রিল) জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছায়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আইন মান্যকারী নাগরিক। তিনি আদালতে যেতে চান, আদালতে যাবেন। তবে এটা নির্ভর করছে বর্তমান পরিস্থিতি বিশেষ করে ম্যাডামের নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর।’ কেননা গত ২৪ ডিসেম্বর যখন তিনি আদালতে যান, তখন পথে তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছিল।’
বিএনপি প্রধানের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আদালত জামিন দিলে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গোছগাছসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। বাসার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিকঠাকসহ পরিচ্ছন্নতার কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। জামিন পেলে বাসায় যাওয়ার আগে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নিজের গুলশান কার্যালয়ও ঘুরে যেতে পারেন। গুলশান কার্যালয় থেকেও অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে আদালতে গেলে এবং জামিন পেলেও খালেদা জিয়া আর গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার খবরে সরকারি মহলেও নানা হিসাব-নিকাশ কষা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য জানান, আদালতে তার হাজির হওয়ার বিষয়টিকে সরকার ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। কারণ এনিয়ে সৃষ্ট আইনি সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে। তবে আদালতে হাজির হলে জামিন বা জেল, যা-ই হোক তা নিয়ে সরকারের নিজস্ব কোনো ভাবনা নেই। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে সরকার নিজ থেকে কিছু করতে আগ্রহী নয়, সরকার চায় আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হোক। আদালত তাকে জামিন না দিলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই সরকার সতর্ক রয়েছে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন/দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

খালেদা জিয়ার জামিন

প্রকাশের সময় : ১২:৫০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রোববার (৫ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন। বিচারক জামিনের আদেশে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে কারাগারে দেয়া আদালতের উদ্দেশ্য নয়। তিনি ন্যায়বিচার পান, এটাই আদালতের প্রত্যাশা। তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হলো। মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী। এর আগে এই দুই মামলায় হাজিরা দিতে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে যান তিনি। রোববার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি গুলশানের কার্যালয় থেকে রওনা দিয়ে ১০টা ৩২ মিনিটে বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে পৌঁছেন। আদালত থেকে জামিন পেলে নিজ বাসায় ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ঢাকার বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গত ৫ মার্চ আদালতে হাজিরের নির্দেশ থাকলেও খালেদা জিয়া যাননি। তার অনুপস্থিতিতেই আদালত ওইদিন ৫ এপ্রিল শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।
এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ দিনে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় না যাওয়ার বিষয় নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের বিভ্রান্তি ও ধূ¤্রজাল। আদালতের কর্মচারীরা বলছেন, পরোয়ানা থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের উপ-কমিশনার (গুলশান) খন্দকার লুত্ফুল কবীর শনিবার (৪ এপ্রিল) জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় পৌঁছায়নি।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াও সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আইন মান্যকারী নাগরিক। তিনি আদালতে যেতে চান, আদালতে যাবেন। তবে এটা নির্ভর করছে বর্তমান পরিস্থিতি বিশেষ করে ম্যাডামের নিরাপত্তার বিষয়টির ওপর।’ কেননা গত ২৪ ডিসেম্বর যখন তিনি আদালতে যান, তখন পথে তার গাড়িবহরে হামলা হয়েছিল।’
বিএনপি প্রধানের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আদালত জামিন দিলে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসায় ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গোছগাছসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। বাসার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিকঠাকসহ পরিচ্ছন্নতার কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে। জামিন পেলে বাসায় যাওয়ার আগে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও নিজের গুলশান কার্যালয়ও ঘুরে যেতে পারেন। গুলশান কার্যালয় থেকেও অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে আদালতে গেলে এবং জামিন পেলেও খালেদা জিয়া আর গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার খবরে সরকারি মহলেও নানা হিসাব-নিকাশ কষা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য জানান, আদালতে তার হাজির হওয়ার বিষয়টিকে সরকার ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে। কারণ এনিয়ে সৃষ্ট আইনি সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে। তবে আদালতে হাজির হলে জামিন বা জেল, যা-ই হোক তা নিয়ে সরকারের নিজস্ব কোনো ভাবনা নেই। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়ে সরকার নিজ থেকে কিছু করতে আগ্রহী নয়, সরকার চায় আদালতের মাধ্যমেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হোক। আদালত তাকে জামিন না দিলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অবশ্যই সরকার সতর্ক রয়েছে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন/দৈনিক ইত্তেফাক)