সোমবার, জুন ৫, ২০২৩
No Result
View All Result
হককথা
  • প্রচ্ছদ
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • এক স্লিপ
  • লাইফ স্টাইল
  • আরো
    • যুক্তরাষ্ট্র
    • স্বাস্থ্য
    • মুক্তাঙ্গন
    • সাহিত্য
    • সাক্ষাতকার
    • সম্পাদকীয়
    • মিডিয়া
    • জাতিসংঘ
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • স্মরণ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • ক্লাসিফাইড
  • প্রচ্ছদ
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • এক স্লিপ
  • লাইফ স্টাইল
  • আরো
    • যুক্তরাষ্ট্র
    • স্বাস্থ্য
    • মুক্তাঙ্গন
    • সাহিত্য
    • সাক্ষাতকার
    • সম্পাদকীয়
    • মিডিয়া
    • জাতিসংঘ
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • স্মরণ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • ক্লাসিফাইড
হককথা
No Result
View All Result
Home বাংলাদেশ

কামারুজ্জামানের মামলা : গ্রেফতার থেকে মৃত্যুদন্ডের চূড়ান্ত রায়

হক কথা by হক কথা
এপ্রিল ৮, ২০১৫
in বাংলাদেশ
0

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ চূড়ান্তভাবে বহাল থাকে। সর্বোচ্চ আদালতের সোমবারের (৬ এপ্রিল) এ রায়ের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটলো বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক কামারুজ্জামানের মামলার দীর্ঘ চার বছর নয় মাসের বিচারিক কার্যক্রমের। বিচার কিভাবে হয়েছে আর আসামীপক্ষের যুক্তি কিভাবে অগ্রাহ্য হয় ও রায় দেয়া হয় তার বিবরণ মামলা চলাকালে ছাপা হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। মামলার কার্যক্রমের ধারাবাহিক বিবরণ নীচে তুলে ধরা হলো-
ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম: ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে হাইকোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রেফতার করা হয়। ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক খান পিপিএম কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে তিনি ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর প্রসিকিউশনের কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৫ ডিসেম্বর কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে জমা দেন প্রসিকিউশন। তবে সেটি সঠিকভাবে বিন্যস্ত না হওয়ায় আমলে নেয়ার পরিবর্তে ফিরিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১২ সালের ১২ জানুয়ারী প্রসিকিউশন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুনরায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। ৩১ জানুয়ারী ৮৪ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১। ওই বছরের ১৬ এপ্রিল চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কামারুজ্জামানের মামলাটি প্রথম ট্রাইব্যুনাল থেকে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ১৬ মে আসামীপক্ষ এবং ২০ মে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন।
২০১২ সালের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়।
২ জুলাই কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৮১ পৃষ্ঠার ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উত্থাপন করেন প্রসিকিউটর একেএম সাইফুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম মুক্তা।
২০১২ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
তাদের মধ্যে ১৫ জন ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন, ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হামিদুল হক, শেরপুরে আলবদর ক্যাম্প ও নির্যাতন কেন্দ্রের দারোয়ান মনোয়ার হোসেন খান মোহন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সী বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ গোলাম মোস্তফা হোসেন তালুকদারের ছোট ভাই মোশাররফ হোসেন তালুকদার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামানের বড় ভাই ডা. মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের পুত্র জিয়াউল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, শেরপুর জেলার ‘বিধবাপল্লী’ নামে খ্যাত সোহাগপুর গ্রামের নির্যাতিত (ভিকটিম) তিন নারী সাক্ষী (ক্যামেরা ট্রায়াল), মুজিবুর রহমান খান পান্নু এবং দবির হোসেন ভূঁইয়া। আর জব্দ তালিকার প্রথম সাক্ষী হলেন বাংলা একাডেমির সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমেনা খাতুন। আসামীপক্ষের আইনজীবি কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও আব্দুস সুবহান তরফদার তাদের জেরা সম্পন্ন করেন।
অন্যদিকে কামারুজ্জামানের পক্ষে ২০১৩ সালের ৬ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত মোট ৫ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তারা হচ্ছেন মোহাম্মদ আরশেদ আলী, আশকর আলী, কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল, বড় ভাই কফিল উদ্দিন এবং আব্দুর রহিম। তাদের জেরা সম্পন্ন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারী মামলাটির পুনর্বিচারের আবেদন জানান কামারুজ্জামানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ বেলজিয়ামের ব্রাসেলস প্রবাসী বাংলাদেশী আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল-১ এর পদত্যাগী চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপি কথোপকথনের সূত্র ধরে এ আবেদন করেন আসামীপক্ষ।
ওই বছরের ৩ জানুয়ারী আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। বিপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর এ কে এম সাইফুল ইসলাম। ৭ জানুয়ারী এ আবেদন খারিজ করে দেন দু’টি ট্রাইব্যুনাল।
ওই বছরের ১০ জানুয়ারী এসব খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আসামীপক্ষ রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন। ১৫-১৬ জানুয়ারী শুনানি শেষে ২১ জানুয়ারী সেসব আবেদনও ট্রাইব্যুনাল খারিজ করে দেয়ায় মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রমের সকল প্রতিবন্ধকতা দূর হয়।
২০১৩ সালের ২৪ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং ১৬ এপ্রিল ৫ কার্যদিবসে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা। অন্যদিকে ৩ থেকে ১৬ এপ্রিল ৪ কার্যদিবসে আসামীপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ও এহসান এ সিদ্দিকী।
২০১৩ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে এবং বিচারক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান মিয়া ও শাহিনুর ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ২১৫ পৃষ্ঠার রায়টি ঘোষণা করেন।
আপিল মামলার কার্যক্রম: ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৬ জুন আপিল বিভাগে আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে সর্বোচ্চ সাজা হওয়ায় কামারুজ্জামানের দন্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ।
১২৪টি যুক্তিতে আপিল করেন আসামীপক্ষ। তাদের মূল আবেদন ১০৫ পৃষ্ঠার। আর এর সঙ্গে দুই হাজার পাঁচশ’ ৬৪ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেয়া হয়।
২০১৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দেন আসামীপক্ষ।
সে সময়কার প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন নিজে এ আপিল মামলার শুনানিতে না থেকে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি (বর্তমান প্রধান বিচারপতি) এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের পৃথক আপিল বেঞ্চ গঠন করে দেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি আব্দুল ওহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
এ বেঞ্চে গত বছরের ৫ জুন থেকে আপিল শুনানি শুরু হয়। ওই দিন থেকে মোট ১৭ কার্যদিবসে আপিল শুনানি শেষ হয়। এর মধ্যে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ও ১৭ সেপ্টেম্বর ১৫ কার্যদিবসে আসামীপক্ষে শুনানি করেন কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষে ৪ কার্যদিবস শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আপিল শুনানি শেষ হওয়ায় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল মামলাটির রায় অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ। ৩ নবেম্বর কামারুজ্জামানকে ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে চূড়ান্ত রায় সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তবে ৪ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি ওহহাব মিয়া মৃত্যুদন্ডাদেশের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কামারুজ্জামানের এ ফাঁসির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওইদিন দুপুরে চার বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষর দেয়া শেষ করলে ৫৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়।
লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা: পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাতেই আপিল বিভাগ থেকে ফাঁসির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পৌঁছে দেয়া হয় বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। একই সঙ্গে পাঠানো হয় ট্রাইব্যুনালের রায় ও অন্যান্য ডকুমেন্টস, যেগুলো আপিল শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছিল আপিল বিভাগে।
ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান পূর্ণাঙ্গ রায় গ্রহণ করে মৃত্যু পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া শুরু করেন।
পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারী চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ট্রাইব্যুনাল-২ এর ৩ বিচারপতি মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন। অন্য দুই বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম।
পরে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। এরপর লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। মৃত্যু পরোয়ানার সঙ্গে আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপিও পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
কারাগারে পৌঁছানোর পর কামারুজ্জামানকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। তিনি আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে রিভিউ আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কপিটি আইজিপি (প্রিজন) এর বরাবরে পাঠানো হয়। এ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয় মৃত্যু পরোয়ানার অনুলিপি।
রিভিউ মামলার কার্যক্রম: আইন অনুসারে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের দিন থেকে রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করার জন্য ১৫ দিনের সময় পান আসামীপক্ষ। সে অনুসারে গত ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দাখিল করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। পরে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
মোট ৭০৫ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৪৪টি যুক্তি দেখিয়ে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বাতিল ও তার খালাস চান আসামীপক্ষ।
আসামীপক্ষের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে দু’দফায় পিছিয়েছে শুনানির দিন। গত ৯ মার্চ শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলে প্রথমবার চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানান আসামীপক্ষ। এর কারণ হিসেবে খন্দকার মাহবুব হোসেনের ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা বলা হয়েছিল। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি পিছিয়ে গত ১ এপ্রিল পুননির্ধারণ করেন সর্বোচ্চ আদালত।
১ এপ্রিল কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন অসুস্থ বলে উল্লেখ করে ফের চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানানো হয়। ওইদিন চারদিন পিছিয়ে রোববার (৫ এপ্রিল) দিন পুননির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
অবশেষে রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে শুনানি শেষ হলে সোমবার রায়ের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত। আসামীপক্ষে কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
সোমবারের রায়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়ায় কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় চূড়ান্তভাবে বহাল রয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।(দৈনিক সংগগ্রাম)

Tags: Kamaruzzaman A-Z
Previous Post

কামারুজ্জামানের দন্ডাদেশের কপি কারাগারে ॥ আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাৎ বৃহস্প্রতিবার ॥ প্রতিবাদে হরতাল ॥ গ্রেফতার ছয় শতাধিক

Next Post

কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান

Related Posts

ঢাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ৪৪
বাংলাদেশ

ঢাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ৪৪

by হক কথা ডেস্ক
জুন ৫, ২০২৩
গণভবনে গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ

গণভবনে গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

by হক কথা ডেস্ক
জুন ৫, ২০২৩
বিএনপির রাজনীতি নড়বড়ে হয়ে গেছে : ড. সেলিম মাহমুদ
বাংলাদেশ

বিএনপির রাজনীতি নড়বড়ে হয়ে গেছে : ড. সেলিম মাহমুদ

by হক কথা
জুন ৩, ২০২৩
সরকার সুবোধ বালকের অভিনয় করছে : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বাংলাদেশ

সরকার সুবোধ বালকের অভিনয় করছে : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

by হক কথা
জুন ৩, ২০২৩
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রশীদ আহমদের পিতৃবিয়োগ
নিউইয়র্ক

নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ রশীদ আহমদের পিতৃবিয়োগ

by হক কথা
জুন ৩, ২০২৩
Next Post

কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান

শিগগিরই ১০,০০০ নার্স নিয়োগ ॥ আমি বিদেশে নয় এই হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা নেব : প্রধানমন্ত্রী

Please login to join discussion

সর্বশেষ খবর

শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর দোয়া ও তবারক বিতরণ

শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীতে জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর দোয়া ও তবারক বিতরণ

জুন ৫, ২০২৩
বন্যা ও খরায় ৫০ বছরে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

বন্যা ও খরায় ৫০ বছরে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

জুন ৫, ২০২৩
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বনভোজন ১৫ জুলাই

নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের বনভোজন ১৫ জুলাই

জুন ৫, ২০২৩
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জন উদ্দিনের ইন্তেকাল

জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি জন উদ্দিনের ইন্তেকাল

জুন ৫, ২০২৩
‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

জুন ৫, ২০২৩
বিয়ে করলেই তো বাসি হয়ে গেলাম: জায়েদ খান

বিয়ে করলেই তো বাসি হয়ে গেলাম: জায়েদ খান

জুন ৫, ২০২৩
বার্নাব্যুতে শেষ ম্যাচে রাঙালেন বেনজেমা

বার্নাব্যুতে শেষ ম্যাচে রাঙালেন বেনজেমা

জুন ৫, ২০২৩
ঢাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ৪৪

ঢাকায় পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেফতার ৪৪

জুন ৫, ২০২৩
ADVERTISEMENT
হককথা

Editor: ABM Salahuddin Ahmed
Ass. Editor: Samiul Islam

Mailing Address: 87-50 Kingston Pl,
Apt #5H, Jamaica, NY 11432
Contact: +1 347-848-3834
E-mail: hakkathany@gmail.com
Published by WEEKLY HAKKATHA Inc.

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ১১:২৪)
  • ৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
  • ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 ১২৩৪
৫৬৭৮৯১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  

হককথা বিশেষ সংখ্যা

  • Terms
  • Policy
  • Contact Us

© 2021 Hakkatha - Develop by Tech Avalon.

No Result
View All Result
  • হক কথা
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • ক্লাসিফাইড
  • এক স্লিপ
  • আরো খবর
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • ইতিহাসের এই দিনে
    • জাতিসংঘ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • মিডিয়া
    • মুক্তাঙ্গন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাতকার
    • সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • স্মরণ

© 2021 Hakkatha - Develop by Tech Avalon.