নিউইয়র্ক ১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৩৪৩ বার পঠিত

ঢাকা: জামায়াত নেতা কামারুামানের ফাঁসির রায় কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বুধবার (৮ এপ্রিল) এ আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যদন্ড স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার রায়ের বিরুদ্ধে করা তার আপিল সুপ্রিমকোর্ট বাতিল করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে বলে, ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি বাস্তবায়ন থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরত থাকা উচিত।
২০১০ সালে বিচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ অভিযুক্তের ১২ জনকেই মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা সবাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা। তাদের মধ্যে ২০১৩ সালে আবদুল কাদের মোল্লা নামে জামায়াতের এক নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিচারকার্য ঝুলে ছিল। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। কিন্তু কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দেন আদালত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অধিকার সম্পর্কিত চুক্তি র‌্যাটিফাই করেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। (দৈনিক যুগান্তর)
দৈনিক যুগান্তর, প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল, ২০১৫
কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান
হককথা ডেস্ক
ঢাকা: জামায়াত নেতা কামারুামানের ফাঁসির রায় কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বুধবার (৮ এপ্রিল) এ আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যদন্ড স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার রায়ের বিরুদ্ধে করা তার আপিল সুপ্রিমকোর্ট বাতিল করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে বলে, ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি বাস্তবায়ন থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরত থাকা উচিত।
২০১০ সালে বিচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ অভিযুক্তের ১২ জনকেই মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা সবাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা। তাদের মধ্যে ২০১৩ সালে আবদুল কাদের মোল্লা নামে জামায়াতের এক নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিচারকার্য ঝুলে ছিল। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। কিন্তু কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দেন আদালত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অধিকার সম্পর্কিত চুক্তি র‌্যাটিফাই করেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।(দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান

প্রকাশের সময় : ১০:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: জামায়াত নেতা কামারুামানের ফাঁসির রায় কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বুধবার (৮ এপ্রিল) এ আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যদন্ড স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার রায়ের বিরুদ্ধে করা তার আপিল সুপ্রিমকোর্ট বাতিল করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে বলে, ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি বাস্তবায়ন থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরত থাকা উচিত।
২০১০ সালে বিচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ অভিযুক্তের ১২ জনকেই মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা সবাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা। তাদের মধ্যে ২০১৩ সালে আবদুল কাদের মোল্লা নামে জামায়াতের এক নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিচারকার্য ঝুলে ছিল। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। কিন্তু কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দেন আদালত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অধিকার সম্পর্কিত চুক্তি র‌্যাটিফাই করেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। (দৈনিক যুগান্তর)
দৈনিক যুগান্তর, প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল, ২০১৫
কামারুজ্জামানের ফাঁসি: স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন : রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের আহ্বান
হককথা ডেস্ক
ঢাকা: জামায়াত নেতা কামারুামানের ফাঁসির রায় কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বুধবার (৮ এপ্রিল) এ আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতা কামারুজ্জামানের মৃত্যদন্ড স্থগিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার রায়ের বিরুদ্ধে করা তার আপিল সুপ্রিমকোর্ট বাতিল করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাটি বিবৃতিতে বলে, ট্রাইব্যুনালের দেয়া আগের রায়গুলোর স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি বাস্তবায়ন থেকে বাংলাদেশ সরকারের বিরত থাকা উচিত।
২০১০ সালে বিচার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪ অভিযুক্তের ১২ জনকেই মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা সবাই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতা। তাদের মধ্যে ২০১৩ সালে আবদুল কাদের মোল্লা নামে জামায়াতের এক নেতার ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সবাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, গণহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কামারুজ্জামানের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিচারকার্য ঝুলে ছিল। চলতি বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবীরা। কিন্তু কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই রিভিউ পিটিশনটি খারিজ করে দেন আদালত।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল অধিকার সম্পর্কিত চুক্তি র‌্যাটিফাই করেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি মৃত্যুদন্ডের মতো অমানবিক শাস্তি কার্যকর থেকে বিরত থাকতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।(দৈনিক যুগান্তর)