নিউইয়র্ক ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুইই কমেছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০১৫
  • / ৮০৪ বার পঠিত

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর হার দুই-ই কমেছে। ৩০ মে শনিবার প্রকাশিত এবছরের ৮টি শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য মিলেছে। ফলাফলে দেখা যায়, গতবার পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবার গড় পাসের হার মাত্র ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। এতে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
গতবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী।এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ৯০১ পরীক্ষার্থী। হিসেব করে দেখা যায় এবার ৩১ হাজার ৩৭৫ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন। তবে সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমে গেলেও মাদরাসা বোর্ড সেরা ফল করেছে। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৩৩৮ পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ ও পাসের হারের পাশাপাশি শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও এবার কমেছে।
এ বছর সারাদেশে শতভাগ পাস করেছে ৫ হাজার ৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২১০টি। এ হিসাবে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ২১৫টি। ২০১৩ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯২টি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হরতাল-অবরোধে পরীক্ষার পাসের হার কমে গেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে এবং কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটেনি। এ অবস্থায় মোটাদাগে ফল একটু কমেছে, নতুবা পাসের হার আরো বেশি হতো। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থাতেও ৮৭ শতাংশ পাস করেছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শুধু জিপিএ-৫ ই শিক্ষার মান নির্ধারণ করে না। আসল হচ্ছে মেধার মূল্যায়ণ।
পাসের হার কমে যাওয়া বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্যের পর শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেশ উফুল্ল। তারা দাবি করছেন, ওই তিন মাস রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে না হলে পাসের হার ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতো।
২ ফেবব্রুয়ার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে তা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারী। হরতালে সীব (১৬ দিন) পরীক্ষা পেছানো হয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলে তা শেষ হয় ৩ এপ্রিল।(দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এসএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুইই কমেছে

প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০১৫

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ এর হার দুই-ই কমেছে। ৩০ মে শনিবার প্রকাশিত এবছরের ৮টি শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য মিলেছে। ফলাফলে দেখা যায়, গতবার পাসের হার ছিল ৯১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এবার গড় পাসের হার মাত্র ৮৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। এতে গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।
গতবার এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ পরীক্ষার্থী।এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার ৯০১ পরীক্ষার্থী। হিসেব করে দেখা যায় এবার ৩১ হাজার ৩৭৫ জন জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন। তবে সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমে গেলেও মাদরাসা বোর্ড সেরা ফল করেছে। এ বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৩৩৮ পরীক্ষার্থী। জিপিএ-৫ ও পাসের হারের পাশাপাশি শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও এবার কমেছে।
এ বছর সারাদেশে শতভাগ পাস করেছে ৫ হাজার ৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গতবার এ সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ২১০টি। এ হিসাবে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ২১৫টি। ২০১৩ সালে শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৯২টি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, হরতাল-অবরোধে পরীক্ষার পাসের হার কমে গেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে এবং কোনো শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটেনি। এ অবস্থায় মোটাদাগে ফল একটু কমেছে, নতুবা পাসের হার আরো বেশি হতো। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, এ অবস্থাতেও ৮৭ শতাংশ পাস করেছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শুধু জিপিএ-৫ ই শিক্ষার মান নির্ধারণ করে না। আসল হচ্ছে মেধার মূল্যায়ণ।
পাসের হার কমে যাওয়া বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্যের পর শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বেশ উফুল্ল। তারা দাবি করছেন, ওই তিন মাস রাজনৈতিক পরিবেশ ঘোলাটে না হলে পাসের হার ৯৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতো।
২ ফেবব্রুয়ার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে তা শুরু হয় ৬ ফেব্রুয়ারী। হরতালে সীব (১৬ দিন) পরীক্ষা পেছানো হয়। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এ পরীক্ষাগুলো নেওয়া হয়।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলে তা শেষ হয় ৩ এপ্রিল।(দৈনিক যুগান্তর)