নিউইয়র্ক ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এমপি আমানুর ও ভাইদের বাড়িতে মূল্যবান কিছু নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬
  • / ৭৭৩ বার পঠিত

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আমানুর রহমান খান ওরফে রানা এমপি ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল ২০ মে শুক্রবার জব্দ করেছে পুলিশ। তবে তেমন মূল্যবান জিনিস মেলেনি বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, আদালত থেকে মালামাল জব্দের (ক্রোক) পরোয়ানা জারির আদেশের পরই এমপি ও তাঁর ভাইদের বাড়ি থেকে মূল্যবান অস্থাবর সব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। তাই অভিযানে মূল্যবান কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে ওই অভিযান চালানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, শহরের কলেজপাড়ার পৈতৃক বাড়িতে থাকেন তিন ভাই আমানুর রহমান খান এমপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাঁকন। পাশেই এমপি’র আরেক ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির বাড়ি। অভিযান চালিয়ে এই বাড়িগুলো থেকে একটি ফ্রিজ, আলমারিসহ কিছু পুরোনো আসবাব জব্দ করা হয়। এ সময় বাসায় এমপি’র বাবা আতাউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
কলেজপাড়া এলাকায় মামলায় অভিযুক্ত পলাতক অন্য আসামি আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলমগীর হোসেনের বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। মালামাল জব্দ করতে পলাতক সব আসামির বাড়িতেই অভিযান চালানো হবে বলে সদর থানার ওসি জানিয়েছেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আদালতের আদেশের পর কয়েক দিন ধরে আমানুর ও তাঁর ভাইদের বাড়ির মালামাল ভ্যানগাড়িতে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফারুক হত্যা মামলায় ১৬ মে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এমপি আমানুরসহ পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি এবং তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদালত পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
Rana_Mukti_Kakon_Bappaউল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারী রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েদা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের এমপি আমানুরের দুই ঘনিষ্ঠজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে এমপি আমানুর ও তাঁর ভাইদের ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমানুর, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। (প্রথম আলো)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এমপি আমানুর ও ভাইদের বাড়িতে মূল্যবান কিছু নেই

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ মে ২০১৬

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি আমানুর রহমান খান ওরফে রানা এমপি ও তাঁর তিন ভাইয়ের বাড়ির মালামাল ২০ মে শুক্রবার জব্দ করেছে পুলিশ। তবে তেমন মূল্যবান জিনিস মেলেনি বলে জানিয়েছে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানিয়েছে, আদালত থেকে মালামাল জব্দের (ক্রোক) পরোয়ানা জারির আদেশের পরই এমপি ও তাঁর ভাইদের বাড়ি থেকে মূল্যবান অস্থাবর সব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। তাই অভিযানে মূল্যবান কোনো মালামাল পাওয়া যায়নি। শুক্রবার দুপুরে ওই অভিযান চালানো হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভুঁইয়া বলেন, শহরের কলেজপাড়ার পৈতৃক বাড়িতে থাকেন তিন ভাই আমানুর রহমান খান এমপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পা ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাঁকন। পাশেই এমপি’র আরেক ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির বাড়ি। অভিযান চালিয়ে এই বাড়িগুলো থেকে একটি ফ্রিজ, আলমারিসহ কিছু পুরোনো আসবাব জব্দ করা হয়। এ সময় বাসায় এমপি’র বাবা আতাউর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
কলেজপাড়া এলাকায় মামলায় অভিযুক্ত পলাতক অন্য আসামি আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলমগীর হোসেনের বাড়িতেও অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকেও তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। মালামাল জব্দ করতে পলাতক সব আসামির বাড়িতেই অভিযান চালানো হবে বলে সদর থানার ওসি জানিয়েছেন।
কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আদালতের আদেশের পর কয়েক দিন ধরে আমানুর ও তাঁর ভাইদের বাড়ির মালামাল ভ্যানগাড়িতে করে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফারুক হত্যা মামলায় ১৬ মে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এমপি আমানুরসহ পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি এবং তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদালত পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
Rana_Mukti_Kakon_Bappaউল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারী রাতে শহরের কলেজ পাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে থেকে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েদা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের এমপি আমানুরের দুই ঘনিষ্ঠজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতে এমপি আমানুর ও তাঁর ভাইদের ফারুক হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমানুর, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। (প্রথম আলো)