নিউইয়র্ক ০৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবস্থান পরিষ্কার করতে পারলেন না মান্না, ‘আটকের ঘটনায়’ জিডি পরিবারের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৫১৩ বার পঠিত

ঢাকা: ফোনালাপ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে অবস্থান পরিষ্কার করতে পারলেন না নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ২৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল তার। ব্যাখ্যা দেয়ার কথা ছিল ফোনালাপের। কিন্তু এর আগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা আটক করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহের নিগার। ভাতিজি শাহনামা শারমিনের বাসা থেকে মান্নাকে আটক করা হয়।
শাহনামা শারমিন জানিয়েছেন, রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের ঘরের দরজা নক করা হয়। দরজা খোলার পর তারা মান্নাকে নিয়ে যায়। তাদেরকে বলা হয়, তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা মহানগর গোযেন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলামের দাবি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করেনি ডিবি পুলিশ। তিনি বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে একাধিক জিডি দায়ের করা হয়েছে। এসব ডিবির তদন্ত শেষেই হয়তো তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু তাকে ডিবি পুলিশ আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।’ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে তার পরিবার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিনি আসলে কোথায়?
ওদিকে, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার। মান্নার বড় ভাইয়ের স্ত্রী বেগম সুলতানা মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বনানী থানায় জিডি করেন। সুলতানা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ৩টা- সাড়ে ৩টার দিকে ৬-৭ জন লোক গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বনানীর বাসা থেকেই মান্নাকে নিয়ে যায়। তিনি মান্নার সন্ধান চাওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন। মান্নার মেয়ে নীলম মান্না বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না একসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারী রোববার বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ফোনালাপ প্রকাশিত হওয়ার পর নানা আলোচনা-সমালাচনা তৈরি হয়। (দৈনিক মানবজমিন)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অবস্থান পরিষ্কার করতে পারলেন না মান্না, ‘আটকের ঘটনায়’ জিডি পরিবারের

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: ফোনালাপ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে অবস্থান পরিষ্কার করতে পারলেন না নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ২৪ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল তার। ব্যাখ্যা দেয়ার কথা ছিল ফোনালাপের। কিন্তু এর আগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা আটক করেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী মেহের নিগার। ভাতিজি শাহনামা শারমিনের বাসা থেকে মান্নাকে আটক করা হয়।
শাহনামা শারমিন জানিয়েছেন, রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের ঘরের দরজা নক করা হয়। দরজা খোলার পর তারা মান্নাকে নিয়ে যায়। তাদেরকে বলা হয়, তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঢাকা মহানগর গোযেন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলামের দাবি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করেনি ডিবি পুলিশ। তিনি বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে একাধিক জিডি দায়ের করা হয়েছে। এসব ডিবির তদন্ত শেষেই হয়তো তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু তাকে ডিবি পুলিশ আটক বা গ্রেপ্তার করেনি।’ মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে তার পরিবার। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিনি আসলে কোথায়?
ওদিকে, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার। মান্নার বড় ভাইয়ের স্ত্রী বেগম সুলতানা মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে বনানী থানায় জিডি করেন। সুলতানা জিডিতে উল্লেখ করেছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ৩টা- সাড়ে ৩টার দিকে ৬-৭ জন লোক গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বনানীর বাসা থেকেই মান্নাকে নিয়ে যায়। তিনি মান্নার সন্ধান চাওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন। মান্নার মেয়ে নীলম মান্না বলেন, আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না একসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারী রোববার বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা ও এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ফোনালাপ প্রকাশিত হওয়ার পর নানা আলোচনা-সমালাচনা তৈরি হয়। (দৈনিক মানবজমিন)