নিউইয়র্ক ০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের দিনভর ভোগান্তি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬
  • / ৬০১ বার পঠিত

ঢাকা: কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান সোমবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়েছে। তবে এই অভিযানের সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এ সময় সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। ৫ নম্বর সড়কের সব কটি প্রবেশপথেই ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছাড়া ওই পথ দিয়ে কাউকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত ৫০টি বাড়ির সদস্যরা ছিল অবরুদ্ধ।
কল্যাণপুর ৫ নম্বর সড়কের বাসিন্দা জামিনুর রহমান বলেন, পুলিশের অভিযান শুরুর পর থেকে তাঁরা বাসা থেকে বের হতে পারেননি। সোমবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত বাসায় বন্দী ছিলেন। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। বাসায় অবরুদ্ধ থাকার কারণে তিনি গতকাল কর্মস্থলে যেতে পারেননি।
জামিনুরের মতো প্রধান সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুলের পাশের বাসা থেকে শুরু করে ৫ নম্বর সড়কের শেষ মাথা পর্যন্ত অন্তত ৫০টি বাড়ির পাঁচ শতাধিক সদস্য নিজ নিজ বাসায় আটকে ছিল। অভিযানের কারণে তারা কর্মস্থলে যাওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারেনি।
দুপুরে কল্যাণপুর প্রধান সড়কের ৩৭ নম্বর বাসার সামনে এক যুবক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘কিছুতেই পুলিশ বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছিল না। জরুরি কাজের কথা বলে অনেক অনুরোধ করে বাসা থেকে বের হয়েছি। পরে অন্যপথ দিয়ে ঘুরে এখানে এসেছি।’
যে ভবনে অভিযান চালানো হয় তার দুই পাশে দুটি স্কুল। পুলিশের অভিযানের কারণে এই দুই স্কুলসহ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। পূর্বঘোষণা না থাকায় গতকাল সকালে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে তাদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। সাইফুন্নাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, স্কুল যাওয়ার পথে সে আরেকজনের কাছে স্কুল বন্ধের খবর জানতে পারে। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
বন্ধ ঘোষিত স্কুলগুলোর মধ্যে ছিল কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুল, দীন কেজি স্কুল, শিশুকল্যাণ স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুল, কল্যাণপুর ল্যাবরেটরি হাইস্কুল প্রভৃতি। কল্যাণপুর ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের তত্ত্বাবধায়ক হেনা বেগম বলেন, প্রতিদিন স্কুলে প্লে থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই শিফটে পড়ানো হয়। তবে আজ নিরাপত্তার কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে কল্যাণপুর প্রধান সড়কের ৩৭ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে ৫ নম্বর সড়কের দীন কেজি স্কুল পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত দোকান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পাশাপাশি প্রধান সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুলের সামনে থেকে ৫ নম্বর সড়কের শেষ মাথা পর্যন্ত সব কটি ভবনের বাসিন্দারা নিজ নিজ ভবনে আটকে ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের দিনভর ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০১৬

ঢাকা: কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযান সোমবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়েছে। তবে এই অভিযানের সময় ওই এলাকার বাসিন্দাদের বেশ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। এ সময় সেখানকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। ৫ নম্বর সড়কের সব কটি প্রবেশপথেই ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য ছাড়া ওই পথ দিয়ে কাউকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের আশপাশের অন্তত ৫০টি বাড়ির সদস্যরা ছিল অবরুদ্ধ।
কল্যাণপুর ৫ নম্বর সড়কের বাসিন্দা জামিনুর রহমান বলেন, পুলিশের অভিযান শুরুর পর থেকে তাঁরা বাসা থেকে বের হতে পারেননি। সোমবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত বাসায় বন্দী ছিলেন। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। বাসায় অবরুদ্ধ থাকার কারণে তিনি গতকাল কর্মস্থলে যেতে পারেননি।
জামিনুরের মতো প্রধান সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুলের পাশের বাসা থেকে শুরু করে ৫ নম্বর সড়কের শেষ মাথা পর্যন্ত অন্তত ৫০টি বাড়ির পাঁচ শতাধিক সদস্য নিজ নিজ বাসায় আটকে ছিল। অভিযানের কারণে তারা কর্মস্থলে যাওয়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো কাজ করতে পারেনি।
দুপুরে কল্যাণপুর প্রধান সড়কের ৩৭ নম্বর বাসার সামনে এক যুবক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘কিছুতেই পুলিশ বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছিল না। জরুরি কাজের কথা বলে অনেক অনুরোধ করে বাসা থেকে বের হয়েছি। পরে অন্যপথ দিয়ে ঘুরে এখানে এসেছি।’
যে ভবনে অভিযান চালানো হয় তার দুই পাশে দুটি স্কুল। পুলিশের অভিযানের কারণে এই দুই স্কুলসহ ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। পূর্বঘোষণা না থাকায় গতকাল সকালে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলের উদ্দেশে রওনা হয়। পরে তাদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। সাইফুন্নাহার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, স্কুল যাওয়ার পথে সে আরেকজনের কাছে স্কুল বন্ধের খবর জানতে পারে। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
বন্ধ ঘোষিত স্কুলগুলোর মধ্যে ছিল কল্যাণপুর গার্লস হাইস্কুল, দীন কেজি স্কুল, শিশুকল্যাণ স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুল, কল্যাণপুর ল্যাবরেটরি হাইস্কুল প্রভৃতি। কল্যাণপুর ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের তত্ত্বাবধায়ক হেনা বেগম বলেন, প্রতিদিন স্কুলে প্লে থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুই শিফটে পড়ানো হয়। তবে আজ নিরাপত্তার কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে কল্যাণপুর প্রধান সড়কের ৩৭ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে ৫ নম্বর সড়কের দীন কেজি স্কুল পর্যন্ত অন্তত অর্ধশত দোকান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পাশাপাশি প্রধান সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুলের সামনে থেকে ৫ নম্বর সড়কের শেষ মাথা পর্যন্ত সব কটি ভবনের বাসিন্দারা নিজ নিজ ভবনে আটকে ছিল।