নিউইয়র্ক ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ১০৪৯ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে সমস্ত অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশকে সাহিত্য-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করবে।’
শেখ হাসিনা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ ও ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫’ উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারী শনিবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা একাডেমি ১ ফেব্রুয়ারী থেকে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ এবং ১৯৭৪ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫’ আয়োজন করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ মহতি উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন,মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করা বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে রাজপথ রঞ্জিত করার অসামান্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর-এর মতো বীর বাঙালী বিশ্বকে জানিয়ে দেয় ‘বাঙালী অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না’।
শেখ হাসিনা বলেন,বাঙালী জাতি ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়-দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও ওই নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়লাভ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
তিনি বলেন,ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফসল হিসেবে ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর গড়ে ওঠে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী। এবছর বাংলা একাডেমীর ঐতিহ্য ও গৌরবের ৬০ বছর পূর্তি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে আমি স্মরণ করছি’।
প্রদানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রবর্তন করেছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। শুধুমাত্র গ্রন্থকে উপলক্ষ করে মাসব্যাপী এমন মেলার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। এটি আমাদের জন্য পরম আনন্দের, অত্যন্ত গৌরবের।
শেখ হাসিনা বলেন, এবছর বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম চারদিন ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন এ মেলাকে বিশেষভাবে তাৎপর্যমন্ডিত করবে বলে আমি মনে করি। আমার প্রত্যাশা সাহিত্য সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার চল্লিশের অধিক লেখক-সমাগম বাংলা ও সমকালীন বিশ্বসাহিত্যের মেলবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রন্থমেলা উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশের সাংস্কৃতিক জগতে নতুন চাঞ্চল্য বয়ে আনবে। গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে বইয়ের বিপুল বিপণন ও বাণিজ্য আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বাংলা একাডেমী আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান

প্রকাশের সময় : ০৯:২০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের তরুণ প্রজন্ম গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়ে সমস্ত অজ্ঞানতা, অন্ধকার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বাংলাদেশকে সাহিত্য-সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করবে।’
শেখ হাসিনা ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ ও ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫’ উপলক্ষে ৩১ জানুয়ারী শনিবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।
‘প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা একাডেমি ১ ফেব্রুয়ারী থেকে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ এবং ১৯৭৪ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫’ আয়োজন করছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ মহতি উদ্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন,মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করা বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে রাজপথ রঞ্জিত করার অসামান্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর-এর মতো বীর বাঙালী বিশ্বকে জানিয়ে দেয় ‘বাঙালী অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না’।
শেখ হাসিনা বলেন,বাঙালী জাতি ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়-দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের ঐতিহাসিক নির্বাচন ও ওই নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়লাভ এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করেছে কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা।
তিনি বলেন,ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফসল হিসেবে ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর গড়ে ওঠে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী। এবছর বাংলা একাডেমীর ঐতিহ্য ও গৌরবের ৬০ বছর পূর্তি হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয় দশক পূর্তি উপলক্ষে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে আমি স্মরণ করছি’।
প্রদানমন্ত্রী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলা একাডেমী বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রবর্তন করেছে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। শুধুমাত্র গ্রন্থকে উপলক্ষ করে মাসব্যাপী এমন মেলার দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল। এটি আমাদের জন্য পরম আনন্দের, অত্যন্ত গৌরবের।
শেখ হাসিনা বলেন, এবছর বাংলা একাডেমী আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম চারদিন ‘আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন এ মেলাকে বিশেষভাবে তাৎপর্যমন্ডিত করবে বলে আমি মনে করি। আমার প্রত্যাশা সাহিত্য সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার চল্লিশের অধিক লেখক-সমাগম বাংলা ও সমকালীন বিশ্বসাহিত্যের মেলবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। গ্রন্থমেলা উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশের সাংস্কৃতিক জগতে নতুন চাঞ্চল্য বয়ে আনবে। গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে বইয়ের বিপুল বিপণন ও বাণিজ্য আমাদের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে আরো মজবুত করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বাংলা একাডেমী আয়োজিত ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০১৫- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।