পুলিশ হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানজুড়ে চলা বিক্ষোভে প্রাণহানির কথা স্বীকার করেছে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিক্ষোভে ২০০ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যমতে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। জাতিসংঘের হিসেবে ৩০০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন এই বিক্ষোভে। এ ছাড়া ইরান হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ৩২৬ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। ইরানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রগতিশীল সংবিধান রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। শনিবার পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা বলেন রাইসি।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সঠিক নিয়মে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নীতি পুলিশের হাতে আটক হন ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনি। তিন দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজতে মারা যান তিনি। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর জেরে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে হতাহতের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।
ইরানি কর্তৃপক্ষের ব্যাপক দমন-পীড়নের মধ্যেও বিক্ষোভ গড়িয়েছে তিন মাসে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।