নিউইয়র্ক ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইএসের শামীমা নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৬৪৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে ফেরার আকুতি জানিয়ে যাচ্ছেন শামীমা। এদিকে শামীমার নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, মা-বাবা সূত্রে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। যদিও শামীমা দাবি করেছেন, তিনি বাংলাদেশে কখনো ছিলেন না। গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, হোয়াইট হল জানিয়েছে যে ১৯ বছর বয়সী শামীমা এখন অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযোগী। এ অবস্থায় তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে শামীমার পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ‘সব আইনি পথ’ খতিয়ে দেখছেন তারা।

শামীমা বেগম ২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডন ছেড়ে আইএসে যোগ দেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। গত সপ্তাহে তাকে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে পাওয়া যায়। তিন দিন আগে তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। শামীমা বলেন, তিনি সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। তবে আইএসে যোগ দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত নন।
গত সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বলেন, তিনি কখনো আইএসের ‘পোস্টার গার্ল’ (প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মেয়ে) হতে চাননি। এখন তার একটাই সাধারণ চাওয়া, সন্তানকে যুক্তরাজ্যে বড় করা।
সন্ত্রাসবিষয়ক আইন পর্যবেক্ষক লর্ড চার্লি বলেছেন, শামীমা বেগমের মা যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন, তবে বাংলাদেশী আইন অনুসারে শামীমাও বাংলাদেশী। এদিকে শামীমার নবজাতক ছেলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আগে সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তানকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে বিবেচনা করা হবে। তবে সম্ভাব্য কোনো ঝুঁকির কথা তুলে ধরে সেই শিশুরও নাগরিকত্ব একসময় বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
শামীমা বলেন, আমি আসলে ব্রিটিশ মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করেছি। আমি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চাইছি। যুক্তরাজ্যে আবার বাস করতে চাই, পুনর্বাসিত হতে চাই। শামীমা স্বীকার করেন, ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার এরেনা হামলায় ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি ‘বেদনাহত’ হয়েছিলেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
সিরিয়া যোদ্ধারা আইএসের নারী ও শিশু হত্যা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঘুজে নির্বিচারে বোমা মেরে আইএসের নারী ও শিশু হত্যা করা হচ্ছে। শামীমা আরও বলেন, এটা এক ধরনের প্রতিশোধ। তাই আমি ভেবেছিলাম, ঠিক আছে, এটা ন্যায্য।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইএসের শামীমা নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হককথা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেওয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সন্তানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে ফেরার আকুতি জানিয়ে যাচ্ছেন শামীমা। এদিকে শামীমার নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, মা-বাবা সূত্রে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। যদিও শামীমা দাবি করেছেন, তিনি বাংলাদেশে কখনো ছিলেন না। গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, হোয়াইট হল জানিয়েছে যে ১৯ বছর বয়সী শামীমা এখন অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপযোগী। এ অবস্থায় তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে শামীমার পরিবারের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে ‘সব আইনি পথ’ খতিয়ে দেখছেন তারা।

শামীমা বেগম ২০১৫ সালে পূর্ব লন্ডন ছেড়ে আইএসে যোগ দেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। গত সপ্তাহে তাকে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে পাওয়া যায়। তিন দিন আগে তিনি একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। শামীমা বলেন, তিনি সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। তবে আইএসে যোগ দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত নন।
গত সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামীমা বলেন, তিনি কখনো আইএসের ‘পোস্টার গার্ল’ (প্রচারের জন্য ব্যবহৃত মেয়ে) হতে চাননি। এখন তার একটাই সাধারণ চাওয়া, সন্তানকে যুক্তরাজ্যে বড় করা।
সন্ত্রাসবিষয়ক আইন পর্যবেক্ষক লর্ড চার্লি বলেছেন, শামীমা বেগমের মা যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন, তবে বাংলাদেশী আইন অনুসারে শামীমাও বাংলাদেশী। এদিকে শামীমার নবজাতক ছেলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ বাবা-মায়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আগে সন্তান জন্ম নিলে সেই সন্তানকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে বিবেচনা করা হবে। তবে সম্ভাব্য কোনো ঝুঁকির কথা তুলে ধরে সেই শিশুরও নাগরিকত্ব একসময় বাতিল করার ক্ষমতা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
শামীমা বলেন, আমি আসলে ব্রিটিশ মূল্যবোধের পক্ষে কাজ করেছি। আমি যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে চাইছি। যুক্তরাজ্যে আবার বাস করতে চাই, পুনর্বাসিত হতে চাই। শামীমা স্বীকার করেন, ২০১৭ সালে ম্যানচেস্টার এরেনা হামলায় ২২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি ‘বেদনাহত’ হয়েছিলেন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল আইএস।
সিরিয়া যোদ্ধারা আইএসের নারী ও শিশু হত্যা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাঘুজে নির্বিচারে বোমা মেরে আইএসের নারী ও শিশু হত্যা করা হচ্ছে। শামীমা আরও বলেন, এটা এক ধরনের প্রতিশোধ। তাই আমি ভেবেছিলাম, ঠিক আছে, এটা ন্যায্য।